রাহুল উল্টোপাল্টা কথা বলেই যাচ্ছেন
ভারতের
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রায় দুই মাসের ‘অজ্ঞাতবাস’ শেষে ফেরার পর
বিজ্ঞজনেরা ভেবেছিলেন, এবার অভিজ্ঞতার ভান্ডার ভারী করে এসেছেন তিনি। অনেকে
তো উন্মুখ ছিলেন—না জানি এবার কী চমক দেখান রাহুল! কিন্তু সে গুড়ে বালি।
সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকায় প্রকাশিত খ্যাতিমান সাংবাদিক শেখর গুপ্তের
এক নিবন্ধে রাহুলের বিভিন্ন মন্তব্য বিশ্লেষণ করে তাঁর জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও
দায়িত্বশীলতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
ছুটি থেকে ফিরে রাহুল তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহাস করেছেন। তাঁকে (মোদি) নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার করা প্রশংসারও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বিশেষ করে, এই প্রসঙ্গে মোদিকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাহুল বলেছেন, আমেরিকা একমাত্র সেই সব বিদেশি নেতার প্রশংসা করে, যাঁরা তাদের অনুগত। এ ক্ষেত্রে মিখাইল গর্বাচেভ ও বরিস ইয়েলৎসিনের উদাহরণ টেনেছেন তিনি।
রাহুলের এমন মন্তব্যে তাঁর জ্ঞান, বিশ্বাস ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক শেখর গুপ্ত। তাঁর ভাষ্য, রাহুল কি ইতিহাস জানেন? তিনি যা বলেছেন, তা কি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাস করেন?
শেখর গুপ্তের যুক্তি, তাঁর তোলা এসব প্রশ্নের উত্তর যদি ‘না’ হয়, তা হলে বলতে হয়, রাহুল যে ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ দলের নেতা, তা হয়তো ভুলে গেছেন।
শেখর গুপ্তের ভাষ্য, সত্যিই কি রাহুল বিশ্বাস করেন, গর্বাচেভ যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধাভোগী বা বিশ্বাসঘাতক এবং বিশ্বনেতা নন। এই তিনিই আফগানিস্তানে একটি অন্যায্য যুদ্ধের ইতি টেনেছেন, সোভিয়েত ইউনিয়নকে করেছেন প্রজাতন্ত্র। একই কথা ইয়েলৎসিনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিনিও কি আমেরিকার দালাল?
কংগ্রেস দলের সহসভাপতির দিকে যুক্তির বাণ ছুড়ে সাংবাদিক শেখর গুপ্ত বলেন, রাহুলের কাছে বার্লিন প্রাচীরের পতন ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক? এটা মানবতা ও স্বাধীনতার পক্ষে নাকি বিপক্ষে গেছে?
শেখর গুপ্তের ভাষ্য, দল সংকটে পড়লে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মার্কিনবিরোধী অবস্থান নেওয়া কংগ্রেসের একটি পুরোনো অভ্যাস। অথচ, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের অধিকাংশ সময়ই চমৎকার কেটেছে। এর একমাত্র ব্যতিক্রম সত্তরের দশক। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ওই সময়ে তলানিতে চলে যায়।
রাহুলের ভাষ্য অনুযায়ী, কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসা পাওয়া ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রীর জন্য নেতিবাচক দিক।
কথার খাতিরে কংগ্রেস সহসভাপতির এমন দাবি মেনে নিলে নিজ দলের পূর্বসূরিদের ব্যাপারে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নেহরু বৈশ্বিক নেতার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। নিক্সন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সবার কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন ইন্দিরা গান্ধী। রাজীব গান্ধী এবং সবশেষ মনমোহন সিংও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রশংসিত হয়েছেন।
নিজ দলের এই ইতিহাসের আলোকে এখন কী বলবেন রাহুল?
ছুটি থেকে ফিরে রাহুল তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহাস করেছেন। তাঁকে (মোদি) নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার করা প্রশংসারও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বিশেষ করে, এই প্রসঙ্গে মোদিকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাহুল বলেছেন, আমেরিকা একমাত্র সেই সব বিদেশি নেতার প্রশংসা করে, যাঁরা তাদের অনুগত। এ ক্ষেত্রে মিখাইল গর্বাচেভ ও বরিস ইয়েলৎসিনের উদাহরণ টেনেছেন তিনি।
রাহুলের এমন মন্তব্যে তাঁর জ্ঞান, বিশ্বাস ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক শেখর গুপ্ত। তাঁর ভাষ্য, রাহুল কি ইতিহাস জানেন? তিনি যা বলেছেন, তা কি সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাস করেন?
শেখর গুপ্তের যুক্তি, তাঁর তোলা এসব প্রশ্নের উত্তর যদি ‘না’ হয়, তা হলে বলতে হয়, রাহুল যে ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ দলের নেতা, তা হয়তো ভুলে গেছেন।
শেখর গুপ্তের ভাষ্য, সত্যিই কি রাহুল বিশ্বাস করেন, গর্বাচেভ যুক্তরাষ্ট্রের সুবিধাভোগী বা বিশ্বাসঘাতক এবং বিশ্বনেতা নন। এই তিনিই আফগানিস্তানে একটি অন্যায্য যুদ্ধের ইতি টেনেছেন, সোভিয়েত ইউনিয়নকে করেছেন প্রজাতন্ত্র। একই কথা ইয়েলৎসিনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিনিও কি আমেরিকার দালাল?
কংগ্রেস দলের সহসভাপতির দিকে যুক্তির বাণ ছুড়ে সাংবাদিক শেখর গুপ্ত বলেন, রাহুলের কাছে বার্লিন প্রাচীরের পতন ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক? এটা মানবতা ও স্বাধীনতার পক্ষে নাকি বিপক্ষে গেছে?
শেখর গুপ্তের ভাষ্য, দল সংকটে পড়লে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মার্কিনবিরোধী অবস্থান নেওয়া কংগ্রেসের একটি পুরোনো অভ্যাস। অথচ, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের অধিকাংশ সময়ই চমৎকার কেটেছে। এর একমাত্র ব্যতিক্রম সত্তরের দশক। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ওই সময়ে তলানিতে চলে যায়।
রাহুলের ভাষ্য অনুযায়ী, কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসা পাওয়া ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রীর জন্য নেতিবাচক দিক।
কথার খাতিরে কংগ্রেস সহসভাপতির এমন দাবি মেনে নিলে নিজ দলের পূর্বসূরিদের ব্যাপারে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নেহরু বৈশ্বিক নেতার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। নিক্সন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সবার কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন ইন্দিরা গান্ধী। রাজীব গান্ধী এবং সবশেষ মনমোহন সিংও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রশংসিত হয়েছেন।
নিজ দলের এই ইতিহাসের আলোকে এখন কী বলবেন রাহুল?
No comments