অবহেলার প্রমাণ পায়নি ঢাবি তদন্ত কমিটি by ফররুখ মাহমুদ
বর্ষবরণে
যৌন হয়রানির ঘটনার পেরিয়েছে এক মাস। ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি
এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মাস পার হলেও
এখন রিপোর্ট জমা দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি। হাইকোর্ট থেকে সময়
বাড়ানোর কারণে রিপোর্ট এখনও জমা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির
আহ্বায়ক প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। ওই দিনের ঘটনায়
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও
মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের
কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান তারেক ও প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শাখার সভাপতি লিটন নন্দী।
গত ১৭ই মে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। বাকি সদস্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, সিন্ডিকেট সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, সিন্ডিকেট সদস্য আফরিন চেীধুরী। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বেঁধে দেয় হাইকোর্ট। পরবর্তীকালে কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও কিছু সময় বাড়িয়ে আগামী ২৮শে জুনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তবে রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। গতকাল বিকালে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পহেলা বৈশাখ একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠান। এখানে শ’ শ’ মানুষ এসেছে। এই শ’ শ’ মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া কি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাজ? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মূল কাজ ছাত্রদের পড়ানো। প্রক্টরের দায়িত্বটিও বাড়তি। তিনি বলেন, নারী নির্যাতনের ধরন বিভিন্ন ধরনের হয়। কেউ গালাগাল দিলেও সেটাও এক ধরনের নির্যাতন। আবার ধর্ষণের ঘটনাও নির্যাতন। টিএসসির ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজে শাড়ি ধরে টানাটানির দৃশ্য পাওয়া গেছে। এটা অবশ্যই নির্যাতন।
ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন কি না এমন প্রশ্নে অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, কাউকে চিহ্নিত করা আমাদের কাজ না। আমাদের পক্ষ থেকে কোন দুর্বলতা ছিল কি না সেটার বিষয়ে তদন্ত করেছি। তিনি বলেন, যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেটি সিটি করপোরেশনের এলাকা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ই আসে না। তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, কিছু কিছু লোক এক ঘণ্টা ধরে একই স্থানে ঘুরছিল। যার থেকে এটি প্রমাণ হয়। অধ্যাপক নাসরীন বলেন, ঘটনার পর ফেসবুকে যেভাবে এর বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা বলার অযোগ্য। সেখানে তারা লিখেছে পহেলা বৈশাখ হিন্দুয়ানি কালচার। মুসলমানদের সেখানে যাওয়া উচিত হবে না। এছাড়া হেফাজতে ইসলামসহ এমন আরও যারা রয়েছে, যারা মনে করে নারীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জন ও চাকরি করতে হলে আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে তারাই এটি ঘটিয়েছে। আগামীদিনে নারীদের এমন অনুষ্ঠানে নিরুৎসাহিত করার জন্য তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, কিছু কিছু মানুষের মনোবৃত্তিই এমন যে, একটু ভিড়ের মধ্যে গেলেই বয়স ১২ কিংবা ৬২ কোন কিছু দেখে না।
এদিকে অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক বলেন, প্রক্টরের অবহেলা ছিল দৃশ্যমান। দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা ঘটনার কোন ব্যবস্থা তিনি নেননি। নিরাপত্তা দেয়ার যে দায়িত্ব সেটিও তিনি পালন করেননি। ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত- অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের এমন বক্তব্যে হাসান তারেক বলেন, যারা এমন বক্তব্য দেন তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান ভিসি পুরোপুরি ‘দলকানা’। সরকারের পদলেহী। তাদের পক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সম্ভব নয়। পুলিশ প্রধান ‘দুষ্ট বালক’দের ধরিয়ে দেয়ার জন্য লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। অথচ তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বে কোন অবহেলা খুঁজে পান না এবং ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। যা সত্যিই দুঃখজনক। এর মাধ্যমে প্রশাসন নিজেদের ‘দলকানা’ পরিচয় দিয়েছে।
হাসান তারেক বলেন, এমন প্রশাসন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করলে এর চেয়ে ভাল ফল পাওয়া যাবে না। যৌন হয়রানির ঘটনা সিটি করপোরেশনের এলাকায় ঘটেছে- এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে হাসান তারেক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কখনোই এমন ছিল না। স্বল্প ব্যবধানে সংগঠিত এই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় আমলে নেবে না এটা মানা যায় না। এছাড়া ওই এলাকা যদি সিটি করপোরেশনের হয়ে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করে কেন? ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দী বলেন, কমিটির আহ্বায়কের এই বক্তব্য ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি। দেড় মাস পরে এসে তার এই ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত। এ ধরনের বক্তব্য নারী নির্যাতনের ঘটনাকে আরও উসকে দেবে।
গত ১৭ই মে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। বাকি সদস্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, সিন্ডিকেট সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, সিন্ডিকেট সদস্য আফরিন চেীধুরী। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বেঁধে দেয় হাইকোর্ট। পরবর্তীকালে কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও কিছু সময় বাড়িয়ে আগামী ২৮শে জুনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তবে রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। গতকাল বিকালে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পহেলা বৈশাখ একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠান। এখানে শ’ শ’ মানুষ এসেছে। এই শ’ শ’ মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া কি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাজ? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মূল কাজ ছাত্রদের পড়ানো। প্রক্টরের দায়িত্বটিও বাড়তি। তিনি বলেন, নারী নির্যাতনের ধরন বিভিন্ন ধরনের হয়। কেউ গালাগাল দিলেও সেটাও এক ধরনের নির্যাতন। আবার ধর্ষণের ঘটনাও নির্যাতন। টিএসসির ঘটনায় সিসি টিভি ফুটেজে শাড়ি ধরে টানাটানির দৃশ্য পাওয়া গেছে। এটা অবশ্যই নির্যাতন।
ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন কি না এমন প্রশ্নে অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বলেন, কাউকে চিহ্নিত করা আমাদের কাজ না। আমাদের পক্ষ থেকে কোন দুর্বলতা ছিল কি না সেটার বিষয়ে তদন্ত করেছি। তিনি বলেন, যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেটি সিটি করপোরেশনের এলাকা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ই আসে না। তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, কিছু কিছু লোক এক ঘণ্টা ধরে একই স্থানে ঘুরছিল। যার থেকে এটি প্রমাণ হয়। অধ্যাপক নাসরীন বলেন, ঘটনার পর ফেসবুকে যেভাবে এর বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা বলার অযোগ্য। সেখানে তারা লিখেছে পহেলা বৈশাখ হিন্দুয়ানি কালচার। মুসলমানদের সেখানে যাওয়া উচিত হবে না। এছাড়া হেফাজতে ইসলামসহ এমন আরও যারা রয়েছে, যারা মনে করে নারীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জন ও চাকরি করতে হলে আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে তারাই এটি ঘটিয়েছে। আগামীদিনে নারীদের এমন অনুষ্ঠানে নিরুৎসাহিত করার জন্য তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, কিছু কিছু মানুষের মনোবৃত্তিই এমন যে, একটু ভিড়ের মধ্যে গেলেই বয়স ১২ কিংবা ৬২ কোন কিছু দেখে না।
এদিকে অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক বলেন, প্রক্টরের অবহেলা ছিল দৃশ্যমান। দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা ঘটনার কোন ব্যবস্থা তিনি নেননি। নিরাপত্তা দেয়ার যে দায়িত্ব সেটিও তিনি পালন করেননি। ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত- অধ্যাপক নাসরীন আহমাদের এমন বক্তব্যে হাসান তারেক বলেন, যারা এমন বক্তব্য দেন তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান ভিসি পুরোপুরি ‘দলকানা’। সরকারের পদলেহী। তাদের পক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সম্ভব নয়। পুলিশ প্রধান ‘দুষ্ট বালক’দের ধরিয়ে দেয়ার জন্য লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। অথচ তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বে কোন অবহেলা খুঁজে পান না এবং ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। যা সত্যিই দুঃখজনক। এর মাধ্যমে প্রশাসন নিজেদের ‘দলকানা’ পরিচয় দিয়েছে।
হাসান তারেক বলেন, এমন প্রশাসন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করলে এর চেয়ে ভাল ফল পাওয়া যাবে না। যৌন হয়রানির ঘটনা সিটি করপোরেশনের এলাকায় ঘটেছে- এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে হাসান তারেক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কখনোই এমন ছিল না। স্বল্প ব্যবধানে সংগঠিত এই ঘটনাকে বিশ্ববিদ্যালয় আমলে নেবে না এটা মানা যায় না। এছাড়া ওই এলাকা যদি সিটি করপোরেশনের হয়ে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করে কেন? ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দী বলেন, কমিটির আহ্বায়কের এই বক্তব্য ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছি। দেড় মাস পরে এসে তার এই ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত। এ ধরনের বক্তব্য নারী নির্যাতনের ঘটনাকে আরও উসকে দেবে।
No comments