এক-তৃতীয়াংশের বেশি ব্যয় বেতন ভর্তুকি ও সুদ বাবদ by মিজান চৌধুরী
আসন্ন
বাজেটের এক-তৃতীয়াংশের বেশি ব্যয় হবে ভর্তুকি, সুদ ও বেতন খাতে। ওই তিন
খাতে ব্যয় করা হবে এক লাখ ২ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। মোট বাজেটের প্রায় ৩৫
শতাংশ চলে যাচ্ছে এসব খাতে। ব্যয়ের দিক থেকে চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৫
হাজার ৬২৫ কোটি টাকা বেশি গুণতে হবে সরকারকে। মূলত নতুন পে-স্কেল
বাস্তবায়নের কারণে চলতি বাজেটের তুলনায় ব্যয় বেশি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে
পাওয়া গেছে এ তথ্য।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৩ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু সর্বশেষ উপস্থাপনকৃত প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাজেটের আকার দেখানো হয় ২ লাখ ৯৫ হাজার ১৮ কোটি টাকা। আগামী ৪ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করবেন। ইতিমধ্যে ভর্তুকি, বেতন ও সুদ খাতের বরাদ্দ ঠিক করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সম্ভাব্য এ ব্যয়ের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনুন্নয়ন ব্যয়ের এক লাখ ২ হাজার ২২৭ কোটি টাকার মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যয় হবে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা খাতে। এ খাতে ব্যয় হবে ৪২ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা- যা উল্লিখিত ব্যয়ের ৪১ দশমিক ২৪ শতাংশ। দ্বিতীয় ব্যয় হবে ঋণের সুদেও পেছনে। এ খাতে ব্যয় হবে ৩৫ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা- যা উল্লিখিত ব্যয়ের ৩৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এছাড়া ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। এটি উল্লিখিত ব্যয়ের ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। পাশাপাশি সরকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করবে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এ ব্যয় উল্লিখিত ব্যয়ের ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সাধারণত বাজেটে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণকে এক সঙ্গে হিসাবে দেখানো হয়। এই ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা।
সর্বোচ্চ ব্যয় বেতন-ভাতা খাতে : আগামী বাজেটে মোট ব্যয়ের ১৪ দশমিক ২৮ যাবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। এ হিসাবে নতুন অর্থবছরে এ খাতে ১২ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা বাড়ছে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী আগামী পহেলা জুলাই থেকে সাড়ে ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নতুন বেতন-ভাতার পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন কাঠামোতে সর্বোচ্চ বেতন একশ’ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন। যে কারণে বাজেটে বাড়তি প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ থাকছে এ খাতে। নতুন বেতন কাঠামো অবশ্য দু’দফায় বাস্তবায়ন করা হবে।
সুদ পরিশোধে ৩৫ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয় : আসন্ন বাজেটের ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার। এ জন্য সরকারকে সুদ গুণতে হবে ৭ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ঋণ নেয়া হয় ২৩ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এ জন্য সুদ গুণতে হয়েছে ৭ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থাৎ ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ঋণ গ্রহণ করা হবে। এরমধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে ৩৮ হাজার ৩০৩ কোটি এবং সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হবে ৩৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ফলে এসব ঋণের বিপরীতে সরকারকে আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য সুদ পরিশোধ করতে হবে ৩৫ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা।
ভর্তুকি ও প্রণোদনা : ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে আসন্ন বাজেটে সরকারের ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মোট ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ব্যয় হয় ১৬ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বা ব্যয় কমছে ১ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। মূলত দাতা সংস্থাগুলোর চাপের মুখে ভর্তুকি কমাচ্ছে সরকার। আসন্ন বাজেটে খাদ্য খাতে ভর্তুকি দেয়া হবে ১৮শ’ কোটি, কৃষি খাতে ৯ হাজার কোটি, রফতানি খাতে নগদ সহায়তা বাবদ আড়াই হাজার কোটি, পাটজাত দ্রব্যে নগদ সহায়তা বাবদ ৫শ’ কোটি এবং অন্যান্য খাতে দেয়া হবে ১০০৯ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে রফতানিতে নগদ সহায়তা চলতি বাজেটের চেয়ে ৮০০ কোটি এবং পাটজাত দ্রব্যে সহায়তা কমছে ২০০ কোটি টাকা।
নগদ ঋণ প্রদান : সরকার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশনকে নগদ ঋণ ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। অবশ্য এ খাতে নতুন বাজেটে ১১শ’ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আসন্ন বাজেটে পিডিবিকে নগদ ঋণ দেয়া হবে ৮ হাজার কোটি টাকা, বিপিসিকে দেয়া হবে ৮০০ কোটি এবং বিজেএমসি ও অন্যান্যকে দেয়া হবে এক হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকির ব্যাখ্যায় বলা হয়, স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বেশি হওয়ায় বিপিসি বর্তমানে লাভ করছে। তবে বিপিসি গত বছরগুলোতে অনিষ্পত্তিকৃত বকেয়া দাবি মেটানোর বিষয়টি বিবেচনা করে নগদ ঋণের পরিমাণ ৮শ’ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া তৈরি পোশাক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং চামড়াজাত দ্রব্যের নগদ সহায়তার পরিমাণ কমবে। এ জন্য রফতানি খাতের সহায়তা হ্রাস পাবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৩ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু সর্বশেষ উপস্থাপনকৃত প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাজেটের আকার দেখানো হয় ২ লাখ ৯৫ হাজার ১৮ কোটি টাকা। আগামী ৪ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী বাজেট পেশ করবেন। ইতিমধ্যে ভর্তুকি, বেতন ও সুদ খাতের বরাদ্দ ঠিক করা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সম্ভাব্য এ ব্যয়ের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অনুন্নয়ন ব্যয়ের এক লাখ ২ হাজার ২২৭ কোটি টাকার মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যয় হবে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা খাতে। এ খাতে ব্যয় হবে ৪২ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা- যা উল্লিখিত ব্যয়ের ৪১ দশমিক ২৪ শতাংশ। দ্বিতীয় ব্যয় হবে ঋণের সুদেও পেছনে। এ খাতে ব্যয় হবে ৩৫ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা- যা উল্লিখিত ব্যয়ের ৩৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এছাড়া ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। এটি উল্লিখিত ব্যয়ের ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। পাশাপাশি সরকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান করবে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এ ব্যয় উল্লিখিত ব্যয়ের ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সাধারণত বাজেটে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণকে এক সঙ্গে হিসাবে দেখানো হয়। এই ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা।
সর্বোচ্চ ব্যয় বেতন-ভাতা খাতে : আগামী বাজেটে মোট ব্যয়ের ১৪ দশমিক ২৮ যাবে শুধু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৯ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। এ হিসাবে নতুন অর্থবছরে এ খাতে ১২ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা বাড়ছে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী আগামী পহেলা জুলাই থেকে সাড়ে ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নতুন বেতন-ভাতার পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন কাঠামোতে সর্বোচ্চ বেতন একশ’ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন। যে কারণে বাজেটে বাড়তি প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ থাকছে এ খাতে। নতুন বেতন কাঠামো অবশ্য দু’দফায় বাস্তবায়ন করা হবে।
সুদ পরিশোধে ৩৫ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয় : আসন্ন বাজেটের ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার। এ জন্য সরকারকে সুদ গুণতে হবে ৭ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ঋণ নেয়া হয় ২৩ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। এ জন্য সুদ গুণতে হয়েছে ৭ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থাৎ ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ঋণ গ্রহণ করা হবে। এরমধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেয়া হবে ৩৮ হাজার ৩০৩ কোটি এবং সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হবে ৩৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ফলে এসব ঋণের বিপরীতে সরকারকে আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য সুদ পরিশোধ করতে হবে ৩৫ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা।
ভর্তুকি ও প্রণোদনা : ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে আসন্ন বাজেটে সরকারের ব্যয় হবে ১৪ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মোট ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ব্যয় হয় ১৬ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বা ব্যয় কমছে ১ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। মূলত দাতা সংস্থাগুলোর চাপের মুখে ভর্তুকি কমাচ্ছে সরকার। আসন্ন বাজেটে খাদ্য খাতে ভর্তুকি দেয়া হবে ১৮শ’ কোটি, কৃষি খাতে ৯ হাজার কোটি, রফতানি খাতে নগদ সহায়তা বাবদ আড়াই হাজার কোটি, পাটজাত দ্রব্যে নগদ সহায়তা বাবদ ৫শ’ কোটি এবং অন্যান্য খাতে দেয়া হবে ১০০৯ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে রফতানিতে নগদ সহায়তা চলতি বাজেটের চেয়ে ৮০০ কোটি এবং পাটজাত দ্রব্যে সহায়তা কমছে ২০০ কোটি টাকা।
নগদ ঋণ প্রদান : সরকার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশনকে নগদ ঋণ ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। অবশ্য এ খাতে নতুন বাজেটে ১১শ’ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আসন্ন বাজেটে পিডিবিকে নগদ ঋণ দেয়া হবে ৮ হাজার কোটি টাকা, বিপিসিকে দেয়া হবে ৮০০ কোটি এবং বিজেএমসি ও অন্যান্যকে দেয়া হবে এক হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকির ব্যাখ্যায় বলা হয়, স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বেশি হওয়ায় বিপিসি বর্তমানে লাভ করছে। তবে বিপিসি গত বছরগুলোতে অনিষ্পত্তিকৃত বকেয়া দাবি মেটানোর বিষয়টি বিবেচনা করে নগদ ঋণের পরিমাণ ৮শ’ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া তৈরি পোশাক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং চামড়াজাত দ্রব্যের নগদ সহায়তার পরিমাণ কমবে। এ জন্য রফতানি খাতের সহায়তা হ্রাস পাবে।
No comments