সিসি টিভির ফুটেজে এক ধর্ষক চিহ্নিত
আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এক ধর্ষককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর গতকাল ওই ধর্ষককে চিহ্নিত করেন নির্যাতিতা তরুণী। নির্যাতিতার কর্মস্থল যমুনা ফিউচার পার্কের একটি সিসি টিভির ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। ধর্ষকদের একজন চিহ্নিত হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় নির্যাতিতার স্বজন ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার দাবি করেছে। গতকাল এই দাবিতে ভাটারা থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। অন্যদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা দাবি করেছেন তদন্ত অনেক এগিয়েছে। যে কোন সময়ে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
গতকাল সকালে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ওই নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ সময় তরুণীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। ওই সময়ে তাকে কিছু ছবি দেখান তিনি। যা যমুনা ফিউচার পার্কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নেয়া। এসব ছবি দেখে এক দর্শককে শনাক্ত করেছেন তরুণী। ঘটনার কয়েক দিন আগে ভিনদেশী দুই ব্যক্তির সঙ্গে যুমনা ফিউচার পার্কে তরুণীর কর্মস্থলে গিয়েছিলেন ওই যুবক।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুমনা ফিউচার পার্কে তার অবস্থান ছিল সন্দেহমূলক। ভিনদেশী দুজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাঁটছিল সে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বের হয় ওই যুবক। এ সময় অনেকবার সে পিছু তাকিয়েছে। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া তরুণীদের প্রতি তার দেহভঙ্গি দেখেই তাকে সন্দেহ করে পুলিশ। তার ছবি দেখানোর পর শনাক্ত করেন তরুণী। জোর করে গাড়িতে তুলে ওই যুবকসহ পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানান তিনি। কে এই যুবক তা নিশ্চিত হতে গতকাল সকাল থেকেই মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সূত্রমতে, বনানী, বারিধারা, গুলশান ও উত্তরা এলাকায় কারা এ ঘটনা ঘটাতে সেরকম একটা ধারণা পাওয়া গেছে। সন্দেহমূলক ব্যক্তিদের মধ্যে ওই যুবক একজন। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্যাতিতার সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষাতের পরই নতুন ছকে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ বিষয়ে ভাটার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধর্ষকদের একজনের চেহারা সনাক্ত হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করলে এই গ্রুপের সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। দ্রুত ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
ন্যক্কারজনক এই ঘটনার পাঁচ দিন পর ধর্ষক চিহ্নিত হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নির্যাতিতার স্বজনরা। ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল বিকালে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনসহ আদিবাসীরা ভাটার থানা ঘেরাও করেন। অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন তারা। ধর্ষকদের কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গারো সম্প্রদায়ের নেতা সঞ্জিত রং বলেন, এ ঘটনায় সরকারের কোন ভূমিকা দেখছি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করছে বলেই মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি না হলে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
একইভাবে নির্যাতিতা তরুণীর বড় বোন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিচার চেয়ে হতাশ হচ্ছি আমরা। পুলিশ শুধু বলছে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে সময় লাগবে। ধর্ষকরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা আতঙ্কে আছেন বলে জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করছে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া নানা কৌশল অবলম্বন করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বলেন, সময়ক্ষেপণের প্রশ্নই ওঠে না। যে কোন সময় ধর্ষকরা গ্রেপ্তার হতে পারে বলে জানান তিনি।
গত ২১শে মে রাত ৯টায় কর্মস্থল থেকে রাজধানীর উত্তরার বাসায় ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হন আদিবাসী ওই তরুণী। যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার সিনহা মটরসের সামনে থেকে জোর করে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। গাড়িতে গণধর্ষণ শেষে রাত পৌনে ১১টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার জসিমউদ্দিন সড়কে নামিয়ে দেয় তাকে। পরদিন ভাটার থানায় পাঁচ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী।
গতকাল সকালে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ওই নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ সময় তরুণীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। ওই সময়ে তাকে কিছু ছবি দেখান তিনি। যা যমুনা ফিউচার পার্কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নেয়া। এসব ছবি দেখে এক দর্শককে শনাক্ত করেছেন তরুণী। ঘটনার কয়েক দিন আগে ভিনদেশী দুই ব্যক্তির সঙ্গে যুমনা ফিউচার পার্কে তরুণীর কর্মস্থলে গিয়েছিলেন ওই যুবক।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যুমনা ফিউচার পার্কে তার অবস্থান ছিল সন্দেহমূলক। ভিনদেশী দুজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাঁটছিল সে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে বের হয় ওই যুবক। এ সময় অনেকবার সে পিছু তাকিয়েছে। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া তরুণীদের প্রতি তার দেহভঙ্গি দেখেই তাকে সন্দেহ করে পুলিশ। তার ছবি দেখানোর পর শনাক্ত করেন তরুণী। জোর করে গাড়িতে তুলে ওই যুবকসহ পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানান তিনি। কে এই যুবক তা নিশ্চিত হতে গতকাল সকাল থেকেই মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সূত্রমতে, বনানী, বারিধারা, গুলশান ও উত্তরা এলাকায় কারা এ ঘটনা ঘটাতে সেরকম একটা ধারণা পাওয়া গেছে। সন্দেহমূলক ব্যক্তিদের মধ্যে ওই যুবক একজন। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্যাতিতার সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষাতের পরই নতুন ছকে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ বিষয়ে ভাটার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধর্ষকদের একজনের চেহারা সনাক্ত হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করলে এই গ্রুপের সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। দ্রুত ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।
ন্যক্কারজনক এই ঘটনার পাঁচ দিন পর ধর্ষক চিহ্নিত হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নির্যাতিতার স্বজনরা। ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল বিকালে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনসহ আদিবাসীরা ভাটার থানা ঘেরাও করেন। অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন তারা। ধর্ষকদের কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গারো সম্প্রদায়ের নেতা সঞ্জিত রং বলেন, এ ঘটনায় সরকারের কোন ভূমিকা দেখছি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করছে বলেই মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি না হলে এ দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
একইভাবে নির্যাতিতা তরুণীর বড় বোন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিচার চেয়ে হতাশ হচ্ছি আমরা। পুলিশ শুধু বলছে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে সময় লাগবে। ধর্ষকরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা আতঙ্কে আছেন বলে জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করছে জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া নানা কৌশল অবলম্বন করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বলেন, সময়ক্ষেপণের প্রশ্নই ওঠে না। যে কোন সময় ধর্ষকরা গ্রেপ্তার হতে পারে বলে জানান তিনি।
গত ২১শে মে রাত ৯টায় কর্মস্থল থেকে রাজধানীর উত্তরার বাসায় ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হন আদিবাসী ওই তরুণী। যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার সিনহা মটরসের সামনে থেকে জোর করে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। গাড়িতে গণধর্ষণ শেষে রাত পৌনে ১১টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার জসিমউদ্দিন সড়কে নামিয়ে দেয় তাকে। পরদিন ভাটার থানায় পাঁচ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী।
No comments