ভয়াবহ ভূমিকম্পের সেই মুহূর্তকে স্মরণ করল নেপাল
প্রলয়ংকরী
সেই ভূমিকম্পের এক মাস পরও অনেক গৃহহীন মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র বৌদ্ধমঠটি।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর এই মঠে আরও অনেক ভাগ্যহীন মানুষের সঙ্গে
গাদাগাদি করে থাকছেন নিমা লামা। এক মাস আগের সেই ভূমিকম্পে নিমা হারিয়েছেন
স্ত্রী ও বাবা-মাকে। লাংতাং উপত্যকায় তাদের বাড়িটি তুষার আর পাথরের আঘাতে
গুঁড়িয়ে যায়। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
২৫ এপ্রিলের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি নেপালের ৮০ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহতম ভূমিকম্প। মহা এই দুর্যোগে প্রাণ হারায় ৮ হাজার ৬০০ মানুষ। সেই দিনটিকে স্মরণ করতে গতকাল সোমবার শত শত নেপালি ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় ঠিক বেলা ১১টা ৫৬তে ৫৬ সেকেন্ডের নীরবতা পালন করে। তারা জড়ো হয় ঊনবিংশ শতকে তৈরি ধরাহরা টাওয়ারের নিচে। ভূমিকম্পে এ টাওয়ারটি পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। কেবল এটিই নয়, ভূমিকম্প ধ্বংস করেছে মন্দির, প্রাচীন প্রাসাদসহ ঐতিহাসিক নানা স্থাপনা।
হাজারো মানুষের নীরবতা পালনের আগে বেজে ওঠে হিমালয় দুহিতা নেপালের জাতীয় সংগীত। একসময়ের নয়তলা কাঠামো ধরাহরার সামনে ছোট একটি জাতীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী নিমা শ্রেষ্ঠা। বললেন, ‘কাঠমান্ডুতে বিমান থেকে নামার সময় এই ভবনটিই আগে চোখে পড়ত। ভেঙে পড়া স্থাপনাটি আমাদের ভয়াবহ ক্ষতির চিহ্নই বহন করছে।’
১৬৫ ফুট উচ্চতার ধরাহরা টাওয়ারের সামনের বাগানে মালির কাজ করতেন রামচন্দ্র শ্রেষ্ঠা। তিনি বলছিলেন, ‘টাওয়ারটি এখন নেই। এখন এদিকে আর তাকাতেই পারি না। তাকালেই মনটা কেঁদে ওঠে।’
গতকাল ধরাহরার সামনে স্মরণসভার আয়োজন করে নতুন একটি রাজনৈতিক দল বিবেকশীল নেপালি। দলটির কর্মীরা বলেন, ভূমিকম্প কেবল তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করেই ক্ষান্ত হয়নি, অসংখ্য মানুষকে করেছে কর্মহীন।
৪১ বছর বয়সী দিল মায়া রাই এখনো একটি তাঁবুতে থাকেন। তিনি বললেন, ‘কোথাও একটা বাড়ি ভাড়া পাইনি। যে কার্পেট কারখানায় কাজ করতাম তাও ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন কেমন করে চলব তা জানি না।’
২৫ এপ্রিলের পর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আবার ভূমিকম্প আঘাত হানে গত ১২ মে। সরকারি হিসাবে, নেপালে ভূমিকম্পে ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার। নেপালের বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) এটি অর্ধেক। ভূমিকম্পে দেশটির আয়ের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন খাত একেবারে পঙ্গু হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খাত পুনর্গঠন করা দুরূহ একটি বিষয়।
দুই দফার ভূমিকম্পে প্রায় পাঁচ লাখ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। খাদ্য, সুপেয় পানি এবং আশ্রয়ের জন্য এখনো হাহাকার করছে হাজার হাজার মানুষ। নেপালে জাতিসংঘের মানবিক সহযোগিতা কর্মসূচির প্রধান জেমি ম্যাকগোল্ডরিক বলছেন, আগামী মাসের বন্যা আসার আগেই এসব মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত খাদ্যের সংস্থান করতে হবে।
নেপালে ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে ২০টির বেশি দেশ। ত্রাণ তৎপরতা চালাতে প্রয়োজনীয় ৪১৫ কোটি ডলারের মধ্যে মাত্র এক-পঞ্চমাংশ পাওয়া গেছে এ যাবৎ।
নেপালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থনীতিবিদ চন্দন সাপকোতা বলছেন, এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নামবে।
২৫ এপ্রিলের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি নেপালের ৮০ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহতম ভূমিকম্প। মহা এই দুর্যোগে প্রাণ হারায় ৮ হাজার ৬০০ মানুষ। সেই দিনটিকে স্মরণ করতে গতকাল সোমবার শত শত নেপালি ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় ঠিক বেলা ১১টা ৫৬তে ৫৬ সেকেন্ডের নীরবতা পালন করে। তারা জড়ো হয় ঊনবিংশ শতকে তৈরি ধরাহরা টাওয়ারের নিচে। ভূমিকম্পে এ টাওয়ারটি পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। কেবল এটিই নয়, ভূমিকম্প ধ্বংস করেছে মন্দির, প্রাচীন প্রাসাদসহ ঐতিহাসিক নানা স্থাপনা।
হাজারো মানুষের নীরবতা পালনের আগে বেজে ওঠে হিমালয় দুহিতা নেপালের জাতীয় সংগীত। একসময়ের নয়তলা কাঠামো ধরাহরার সামনে ছোট একটি জাতীয় পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ২৩ বছর বয়সী শিক্ষার্থী নিমা শ্রেষ্ঠা। বললেন, ‘কাঠমান্ডুতে বিমান থেকে নামার সময় এই ভবনটিই আগে চোখে পড়ত। ভেঙে পড়া স্থাপনাটি আমাদের ভয়াবহ ক্ষতির চিহ্নই বহন করছে।’
১৬৫ ফুট উচ্চতার ধরাহরা টাওয়ারের সামনের বাগানে মালির কাজ করতেন রামচন্দ্র শ্রেষ্ঠা। তিনি বলছিলেন, ‘টাওয়ারটি এখন নেই। এখন এদিকে আর তাকাতেই পারি না। তাকালেই মনটা কেঁদে ওঠে।’
গতকাল ধরাহরার সামনে স্মরণসভার আয়োজন করে নতুন একটি রাজনৈতিক দল বিবেকশীল নেপালি। দলটির কর্মীরা বলেন, ভূমিকম্প কেবল তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করেই ক্ষান্ত হয়নি, অসংখ্য মানুষকে করেছে কর্মহীন।
৪১ বছর বয়সী দিল মায়া রাই এখনো একটি তাঁবুতে থাকেন। তিনি বললেন, ‘কোথাও একটা বাড়ি ভাড়া পাইনি। যে কার্পেট কারখানায় কাজ করতাম তাও ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন কেমন করে চলব তা জানি না।’
২৫ এপ্রিলের পর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আবার ভূমিকম্প আঘাত হানে গত ১২ মে। সরকারি হিসাবে, নেপালে ভূমিকম্পে ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলার। নেপালের বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) এটি অর্ধেক। ভূমিকম্পে দেশটির আয়ের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন খাত একেবারে পঙ্গু হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খাত পুনর্গঠন করা দুরূহ একটি বিষয়।
দুই দফার ভূমিকম্পে প্রায় পাঁচ লাখ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। খাদ্য, সুপেয় পানি এবং আশ্রয়ের জন্য এখনো হাহাকার করছে হাজার হাজার মানুষ। নেপালে জাতিসংঘের মানবিক সহযোগিতা কর্মসূচির প্রধান জেমি ম্যাকগোল্ডরিক বলছেন, আগামী মাসের বন্যা আসার আগেই এসব মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত খাদ্যের সংস্থান করতে হবে।
নেপালে ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে ২০টির বেশি দেশ। ত্রাণ তৎপরতা চালাতে প্রয়োজনীয় ৪১৫ কোটি ডলারের মধ্যে মাত্র এক-পঞ্চমাংশ পাওয়া গেছে এ যাবৎ।
নেপালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থনীতিবিদ চন্দন সাপকোতা বলছেন, এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে নামবে।
No comments