প্রতিনিয়তই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারী
বর্তমানে
দেশের কোনো নারীই নিরাপদ নন। ঘরে কিংবা বাইরে নারীরা প্রতিনিয়তই নানা
নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। গারো উপজাতি কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩০ উপজাতি
সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এ কথা বলেন। রোববার বিকালে
রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে
উপজাতি সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা
অংশ নেন।
উপজাতি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রংর সভাপতিত্বে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন, উপজাতিবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা, সংসদ সদস্য হাজেরা সুলতানা, বিশিষ্ট নাট্যকার মামুনুর রশিদ, নারীনেত্রী খুশি কবির, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নেতা আবদুল্লাহ আল কাফি রতন ও রুহিন হোসেন প্রিন্স, মহিলা পরিষদের নেত্রী রাখি দাশ, ড. বিদালোক সিংহ, নির্মল রোজারিও, রূপচান বর্মন প্রমুখ। সভায় সিদ্ধান্ত হয় ৩০ মে সকাল ১০টায় জাতীয় শহীদ মিনারে গারো নারী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
দুপুরের পর থেকেই উপজাতি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা হাজির হতে থাকেন রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায়। কারও হাতে ব্যানার আবার কারও হাতে ফেস্টুন। কারও মাথায় লাল ফিতা, কারোর হাতে লাল নিশান।
গারো উপজাতি নারী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সমাবেশে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্র, সরকার ও তার পুলিশ প্রশাসনের। রাষ্ট্র, সরকার তথা পুলিশ প্রশাসন নারী নির্যাতন রোধে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছে না। নারী নির্যাতনকারীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দিনের পর দিন এমন ন্যক্কার কর্মকাণ্ড করে গেলেও প্রশাসন কিছুই করতে পারছে না। তিনি বলেন, সরকার যদি গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ তথা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী হয় তাহলে নারী নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের নিরাপত্তাই যদি কোনো সরকার নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে ওই সরকার কিসের গণতান্ত্রিক সরকার। তিনি বলেন, নির্যাতনের শিকার নারীরা পুলিশের ওপর ভরসা করতে পারছেন না, থানায় মামলা করতে গিয়েও নানাভাবে হয়রানির শিকার হন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সম্প্রতি গণপরিবহনে ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ছে, যা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, রাজধানীতে গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে যে গণধর্ষণ করা হল তা সরকার কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারে না। এটা সরকার তথা রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা, কারণ নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বিশিষ্ট নাট্যকার মামুনুর রশিদ বলেন, দেশে নারী ধর্ষণকারী তথা নির্যাতনকারীদের কোনো বিচারই হয় না। বরং তাদের রাজনৈতিক প্রভাবে ছাড় দেয়া হয়। দিনের পর দিন নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও সরকার ও পুলিশ প্রশাসন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, জাবিতে পহেলা বৈশাখে নারী নির্র্যাতনকারী ৫ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করে সমাজের মধ্যে ঢেলে দেয়া হয়েছে। এসব নারী নির্যাতনকারীরা এখন সমাজের মধ্যে থেকে নারী নির্যাতন চালাবে। সভার সভাপতি সঞ্জিব দ্রং বলেন, উপজাতি নারীদের ওপর নির্যাতন ধর্ষণ দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। রাষ্ট্র তথা সরকার এমন নির্যাতন বন্ধে কোনো যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছে না। তিনি বলেন, উপজাতিদের দেশ থেকে উচ্ছেদ কিংবা তাদের জমি ও সম্পদ দখলের একটি অংশ হচ্ছে নারীদের ওপর নির্যাতন।
উপজাতি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রংর সভাপতিত্বে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন, উপজাতিবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা, সংসদ সদস্য হাজেরা সুলতানা, বিশিষ্ট নাট্যকার মামুনুর রশিদ, নারীনেত্রী খুশি কবির, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নেতা আবদুল্লাহ আল কাফি রতন ও রুহিন হোসেন প্রিন্স, মহিলা পরিষদের নেত্রী রাখি দাশ, ড. বিদালোক সিংহ, নির্মল রোজারিও, রূপচান বর্মন প্রমুখ। সভায় সিদ্ধান্ত হয় ৩০ মে সকাল ১০টায় জাতীয় শহীদ মিনারে গারো নারী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
দুপুরের পর থেকেই উপজাতি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা হাজির হতে থাকেন রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায়। কারও হাতে ব্যানার আবার কারও হাতে ফেস্টুন। কারও মাথায় লাল ফিতা, কারোর হাতে লাল নিশান।
গারো উপজাতি নারী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সমাবেশে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্র, সরকার ও তার পুলিশ প্রশাসনের। রাষ্ট্র, সরকার তথা পুলিশ প্রশাসন নারী নির্যাতন রোধে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছে না। নারী নির্যাতনকারীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দিনের পর দিন এমন ন্যক্কার কর্মকাণ্ড করে গেলেও প্রশাসন কিছুই করতে পারছে না। তিনি বলেন, সরকার যদি গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ তথা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী হয় তাহলে নারী নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের নিরাপত্তাই যদি কোনো সরকার নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে ওই সরকার কিসের গণতান্ত্রিক সরকার। তিনি বলেন, নির্যাতনের শিকার নারীরা পুলিশের ওপর ভরসা করতে পারছেন না, থানায় মামলা করতে গিয়েও নানাভাবে হয়রানির শিকার হন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সম্প্রতি গণপরিবহনে ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ছে, যা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, রাজধানীতে গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে যে গণধর্ষণ করা হল তা সরকার কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারে না। এটা সরকার তথা রাষ্ট্রের চরম ব্যর্থতা, কারণ নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বিশিষ্ট নাট্যকার মামুনুর রশিদ বলেন, দেশে নারী ধর্ষণকারী তথা নির্যাতনকারীদের কোনো বিচারই হয় না। বরং তাদের রাজনৈতিক প্রভাবে ছাড় দেয়া হয়। দিনের পর দিন নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও সরকার ও পুলিশ প্রশাসন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, জাবিতে পহেলা বৈশাখে নারী নির্র্যাতনকারী ৫ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করে সমাজের মধ্যে ঢেলে দেয়া হয়েছে। এসব নারী নির্যাতনকারীরা এখন সমাজের মধ্যে থেকে নারী নির্যাতন চালাবে। সভার সভাপতি সঞ্জিব দ্রং বলেন, উপজাতি নারীদের ওপর নির্যাতন ধর্ষণ দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। রাষ্ট্র তথা সরকার এমন নির্যাতন বন্ধে কোনো যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছে না। তিনি বলেন, উপজাতিদের দেশ থেকে উচ্ছেদ কিংবা তাদের জমি ও সম্পদ দখলের একটি অংশ হচ্ছে নারীদের ওপর নির্যাতন।
No comments