বঙ্গবন্ধু পরিবার নিরাপত্তাসহ যেসব সুবিধা পাবেন
বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয়ভাবে আজীবন নিরাপত্তা
নিশ্চিতে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ এর গেজেট
প্রকাশ করেছে সরকার। গত রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ গেজেট প্রকাশ
করা হয়। আইন অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য ১৩টি ও
আনুষঙ্গিক আরও ছয়টি সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
আদেশে বলা হয়েছে, জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের আবাসস্থলে সার্বক্ষণিক
প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত রাখতে হবে। সরকার বরাদ্দকৃত বা
নিজেদের মালিকাধীন আবাস্থলের প্রয়োজনীয় মেরামত, সম্প্রসারণ ও
রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। বঙ্গবন্ধু
পরিবারের সদস্যরা একজন ড্রাইভার ও প্রয়োজনীয় পেট্রলসহ গাড়ি পাবেন। তারা
সরকারি খরচে টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন
ইন্টারনেট সুবিধাও পাবেন। জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের তাৎক্ষণিক
চিকিৎসার জন্য আবাসস্থলে সব সময় স্বয়ংসম্পূর্ণ চিকিৎসা অ্যাম্বুলেন্স রাখতে
বলা হয়েছে। এছাড়া দেশে এবং প্রয়োজনে বিদেশে সরকারি খরচে চিকিৎসা সুবিধা
পাবেন তারা। সরকারি খরচে একজন ব্যক্তিগত সহকারী, দুইজন বেয়ারা, একজন
বাবুর্চি, একজন মালী ও একজন ঝাড়ুদার পাবেন তারা। জাতির পিতার
পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তার লক্ষ্যে অন্য কোন প্রকার সহায়তা বা আনুষঙ্গিক
সরঞ্জাম বা দ্রব্যের প্রয়োজন হলে সরকারের অন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা
তা দেবে। এ পরিবারের সদস্যদের আবাসস্থলে ‘হুমকি ও অন্তর্ঘাতমূলক অবস্থা’
মোকাবেলায় সুরক্ষিত ও নিরাপদ বেষ্টনী প্রস্তুত রাখা ছাড়াও আবাসস্থলের
চারদিকে নিরাপত্তাকর্মীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে বলেছে সরকার। এছাড়া তাদের
আবাসস্থলের আশপাশের কোন ভবন, স্থাপনা বা অবস্থান থেকে কোন প্রকার হুমকি
সৃষ্টির মত অবস্থা থাকলে তা অপসারণ অথবা পরিবর্তন করে দিতে বলা হয়েছে। আদেশ
অনুযায়ী, এদের আবাসস্থলের আশাপাশে সুউচ্চ ভবনে বসবাসকারীদের উপর
সার্বক্ষণিক গোয়েদ্দা নজরদারী রাখতে হবে। এছাড়া আবাসস্থলে যাতায়াতের পথ সব
ধরনের আক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখার ব্যবস্থাও করতে হবে। আবাসস্থলে সব সময়
প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রস্তুত রাখা এবং আবাসস্থলে
ভেতর যেসব স্থানে তারা (জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা) চলাফেরা করেন সেসব
স্থানে সব সময় ‘সুইপিং’ নিরাপত্তা রাখতে বলা হয়েছে। এসব আবাস্থল সিসি
ক্যামেরার আওতায় আনা ছাড়াও ভেতরে-বাইরে নিরাপত্তা এলার্ম বসানো, আবাসস্থলে
প্রবেশের সময় সবাইকে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে পরীক্ষা করার নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। এছাড়া আবাস্থলে যে কোন
বস্তু, দ্রব্য বা সরঞ্জাম ঢোকানোর আগে স্ক্যান করতে হবে এবং আবাসস্থল থেকে
তাৎক্ষণিক নির্গমণের জন্য এক বা একাধিক বিশেষ পথের ব্যবস্থা রাখতে বলেছে
সরকার।
No comments