বামদের ফসল ডানদের ঘরে by নুরুল আমিন
ছাত্র ইউনিয়নের মিছিলে পুলিশি নির্যাতনের
কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ওই দানবীয় নির্যাতনের ছবি দেখে বারবার মনে
হচ্ছিল, দেশের বড় বড় বিরোধী দলের প্রতিবাদ কই? এ বামরাই তো যুগে যুগে
দেশের মানুষকে সজাগ করে দেখিয়েছে সঠিক পথের দিশা এবং নিজেরা সয়েছে কষ্ট ও
দিয়েছে প্রাণ। আর এর ফল ভোগ করেছে এবং করছে ডান রাজনীতিকেরা, যাঁরা দেশকে
বানিয়েছেন ভোগের রঙ্গমঞ্চ।
পেছনে তাকালে দেখি, ৩০-৩১ সালে বাম বিপ্লবীরা ব্রিটিশরাজের ভিত নাড়িয়ে তাঁদের বিদায় ত্বরান্বিত করেছিলেন, ফলভোগী হলো কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ। পাকিস্তানের শুরুতেই ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুক্তফ্রন্টের বিজয় অবধি বামরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানিদের বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দিতে অসংখ্য বাম রাজনীতিক ও ছাত্রকর্মীদের জেল-জুলুম এবং প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়, ফল যায় ডানদের ঘরে। স্বাধীনতার পর একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু কমিউনিস্ট নেতাদের ক্ষমতা নিতে আহ্বান করেও সাড়া পাননি। ১৯৭৫-এর পটপরিবর্তনে বামরা জেনারেল জিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়ে প্রতারিত হন। এরশাদের নয় বছরের স্বৈরশাসনে তাজুল, সেলিম ও দেলওয়ারসহ অসংখ্য বাম ছাত্রকর্মীদের প্রাণের বিনিময়ে স্বৈরশাসনের পতন হলে ক্ষমতা যায় অতি ডান বিএনপির হাতে।
এ সময় আবার গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় বাম রাজনীতিক ও ছাত্রকর্মীদের যথেষ্ট ত্যাগ ও অবদান থাকলেও ক্ষমতার ছিটেফোঁটাও তাঁদের ভাগ্যে জোটেনি। অথচ জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দলকে শক্ত অবস্থানে নিতে সক্ষম হয়েছিল। বছর খানেক আগে তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির নেতা আনু মুহাম্মদের ওপর পুলিশি হামলার পরও প্রতিক্রিয়া তথৈবচ। কেন এমন হচ্ছে?
আমরা সচেতন জনগণ মনে করি, বামদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভক্তি, দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও জনসম্পৃক্তহীনতাই এর মূল কারণ। কয়টি দলের দু-চারজন নেতা একসঙ্গে একই মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দিতেও ব্যর্থ হচ্ছেন।
তাই বাম নেতাদের অনুরোধ করব, আপনারা ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতির ঊর্ধ্বে উঠে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুন এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হোন। প্রয়োজনে সমমনা দল ও বড় নেতাদের সঙ্গে নিন এবং বিভিন্ন মানবিক সংগঠনগুলোকে যুক্ত করার চেষ্টা করুন। সমাজতন্ত্রের চেয়ে সুস্থ গণতন্ত্রচর্চার কথা বেশি বলুন।
লেখক: ব্যবসায়ী, ঢাকা।
পেছনে তাকালে দেখি, ৩০-৩১ সালে বাম বিপ্লবীরা ব্রিটিশরাজের ভিত নাড়িয়ে তাঁদের বিদায় ত্বরান্বিত করেছিলেন, ফলভোগী হলো কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ। পাকিস্তানের শুরুতেই ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুক্তফ্রন্টের বিজয় অবধি বামরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানিদের বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দিতে অসংখ্য বাম রাজনীতিক ও ছাত্রকর্মীদের জেল-জুলুম এবং প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়, ফল যায় ডানদের ঘরে। স্বাধীনতার পর একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু কমিউনিস্ট নেতাদের ক্ষমতা নিতে আহ্বান করেও সাড়া পাননি। ১৯৭৫-এর পটপরিবর্তনে বামরা জেনারেল জিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়ে প্রতারিত হন। এরশাদের নয় বছরের স্বৈরশাসনে তাজুল, সেলিম ও দেলওয়ারসহ অসংখ্য বাম ছাত্রকর্মীদের প্রাণের বিনিময়ে স্বৈরশাসনের পতন হলে ক্ষমতা যায় অতি ডান বিএনপির হাতে।
এ সময় আবার গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠায় বাম রাজনীতিক ও ছাত্রকর্মীদের যথেষ্ট ত্যাগ ও অবদান থাকলেও ক্ষমতার ছিটেফোঁটাও তাঁদের ভাগ্যে জোটেনি। অথচ জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দলকে শক্ত অবস্থানে নিতে সক্ষম হয়েছিল। বছর খানেক আগে তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির নেতা আনু মুহাম্মদের ওপর পুলিশি হামলার পরও প্রতিক্রিয়া তথৈবচ। কেন এমন হচ্ছে?
আমরা সচেতন জনগণ মনে করি, বামদের মধ্যে অতিমাত্রায় বিভক্তি, দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও জনসম্পৃক্তহীনতাই এর মূল কারণ। কয়টি দলের দু-চারজন নেতা একসঙ্গে একই মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দিতেও ব্যর্থ হচ্ছেন।
তাই বাম নেতাদের অনুরোধ করব, আপনারা ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতির ঊর্ধ্বে উঠে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুন এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হোন। প্রয়োজনে সমমনা দল ও বড় নেতাদের সঙ্গে নিন এবং বিভিন্ন মানবিক সংগঠনগুলোকে যুক্ত করার চেষ্টা করুন। সমাজতন্ত্রের চেয়ে সুস্থ গণতন্ত্রচর্চার কথা বেশি বলুন।
লেখক: ব্যবসায়ী, ঢাকা।
No comments