ফল- অড়বরই by মাসুদ আলম
গাছে ঝুলছে অড়বরই। যশোরের অভয়নগরের গোবিন্দপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ছবিটি তোলা l প্রথম আলো |
ফলের
নাম অড়বরই। তবে এলাকাভেদে ফলটির রয়েছে অনেক রকম নাম। ফলসা, নলতা, লেবইর,
লবণী, ফরফরি, নইল, নোয়েল, নোয়াল, রয়েল, রুয়াল, হরিফল, আলবরই, অরবরি নামেও
ফলটি পরিচিত। ইংরেজি নামটাও বেশ, Star gooseberry। বৈজ্ঞানিক নামটাও
বৈচিত্র্যময় Phyllanthus acidus। অড়বরই একটি ছোট টক ফল। ফলের ব্যাস শূন্য
দশমিক ৫ থেকে ১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে কোনো না কোনো বাড়িতে রয়েছে অড়বরইগাছ। সরেজমিন উপজেলার অভয়নগর, গোবিন্দপুর, সুন্দলী ও রাজাপুর গ্রামে গিয়ে গাছে থোকায় থোকায় অড়বরই ঝুলতে দেখা যায়। আবার কোনো কোনো গাছে ফল শেষ হয়ে নতুন করে এসেছে অসংখ্য ফুল। গোবিন্দপুর গ্রামের বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আমার বাড়িতে পাঁচ বছর বয়সী তিনটি নোয়াল ফলের গাছ আছে। গাছ তিনটিতে ১২ মাস প্রচুর পরিমাণে নোয়াল ফল ধরে। আমি ফল বিক্রি করি না। লোকজন খেয়ে যায়।’ রাজাপুর গ্রামের অনিমা মল্লিক বলেন, ‘গাছে এত পরিমাণে নোয়াল ফল ধরেছে যে প্রতিদিন দু-তিন ঝুড়ি করে ফল মাটিতে পড়ছে। কিছু ফল ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।’
তবে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে প্রতি কেজি অড়বরই ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অড়বরইগাছের আকার মাঝারি ধরনের এবং তা ৩০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। ছাল কিছুটা রুক্ষ। পাতা সরল। পুষ্পবিন্যাস পার্শ্ববর্তী ও গুচ্ছবদ্ধ। ফুল একলিঙ্গী ও সহবাসী। অর্থাৎ স্ত্রী ও পুরুষ ফুল আলাদা। তবে একই ডালে জন্মে। ফুলের রং লালচে। গাছের শাখা ও কাণ্ড সর্বত্রই থোকা থোকা ফুল আসে এবং ফল ধরে। ফল গোলাকার। ফলের ত্বক খাঁজকাটা থাকে। পাকলে হালকা হলুদ রং ধারণ করে। ফল রসে পরিপূর্ণ এবং স্বাদে বেশ টক। সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল ফোটে। ফল পাকে মে-জুন মাসে। কোনো কোনো গাছ প্রায় সারা বছরই কিছু কিছু ফল দেয়। দেশের সব এলাকায় বাড়ির আশপাশে ও রাস্তার পাশে সীমিতসংখ্যক অড়বরইগাছ চোখে পড়ে।
কলকাতা থেকে প্রকাশিত ভারতীয় বনৌষধি বইয়ের (প্রথম খণ্ড, ২০০২ সালে প্রকাশিত) ৪৮৭ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, অড়বরইয়ে রয়েছে উত্তম ঔষধি গুণ। এর রস যকৃৎ, পেটের পীড়া, হাঁপানি, কাশি, বহুমূত্র, অজীর্ণ ও জ্বর নিরাময়ে বিশেষ উপকারী। এর পাতা গনোরিয়া রোগের উপশমকারী ও আরামদায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া এই ফলের বীজে অনুরূপ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা রয়েছে।
কৃষি তথ্য সার্ভিস, যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক কৃষিবিদ অনুজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অড়বরই ভিটামিন ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ ফল। এর প্রধান রাসায়নিক পদার্থ হচ্ছে এস্করবিক অ্যাসিড, ফাইটোস্টেরল ও স্যাপনিন।’
অড়বরইয়ের আদি নিবাস মাদাগাস্কার।
যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে কোনো না কোনো বাড়িতে রয়েছে অড়বরইগাছ। সরেজমিন উপজেলার অভয়নগর, গোবিন্দপুর, সুন্দলী ও রাজাপুর গ্রামে গিয়ে গাছে থোকায় থোকায় অড়বরই ঝুলতে দেখা যায়। আবার কোনো কোনো গাছে ফল শেষ হয়ে নতুন করে এসেছে অসংখ্য ফুল। গোবিন্দপুর গ্রামের বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘আমার বাড়িতে পাঁচ বছর বয়সী তিনটি নোয়াল ফলের গাছ আছে। গাছ তিনটিতে ১২ মাস প্রচুর পরিমাণে নোয়াল ফল ধরে। আমি ফল বিক্রি করি না। লোকজন খেয়ে যায়।’ রাজাপুর গ্রামের অনিমা মল্লিক বলেন, ‘গাছে এত পরিমাণে নোয়াল ফল ধরেছে যে প্রতিদিন দু-তিন ঝুড়ি করে ফল মাটিতে পড়ছে। কিছু ফল ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।’
তবে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে প্রতি কেজি অড়বরই ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অড়বরইগাছের আকার মাঝারি ধরনের এবং তা ৩০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। ছাল কিছুটা রুক্ষ। পাতা সরল। পুষ্পবিন্যাস পার্শ্ববর্তী ও গুচ্ছবদ্ধ। ফুল একলিঙ্গী ও সহবাসী। অর্থাৎ স্ত্রী ও পুরুষ ফুল আলাদা। তবে একই ডালে জন্মে। ফুলের রং লালচে। গাছের শাখা ও কাণ্ড সর্বত্রই থোকা থোকা ফুল আসে এবং ফল ধরে। ফল গোলাকার। ফলের ত্বক খাঁজকাটা থাকে। পাকলে হালকা হলুদ রং ধারণ করে। ফল রসে পরিপূর্ণ এবং স্বাদে বেশ টক। সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল ফোটে। ফল পাকে মে-জুন মাসে। কোনো কোনো গাছ প্রায় সারা বছরই কিছু কিছু ফল দেয়। দেশের সব এলাকায় বাড়ির আশপাশে ও রাস্তার পাশে সীমিতসংখ্যক অড়বরইগাছ চোখে পড়ে।
কলকাতা থেকে প্রকাশিত ভারতীয় বনৌষধি বইয়ের (প্রথম খণ্ড, ২০০২ সালে প্রকাশিত) ৪৮৭ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, অড়বরইয়ে রয়েছে উত্তম ঔষধি গুণ। এর রস যকৃৎ, পেটের পীড়া, হাঁপানি, কাশি, বহুমূত্র, অজীর্ণ ও জ্বর নিরাময়ে বিশেষ উপকারী। এর পাতা গনোরিয়া রোগের উপশমকারী ও আরামদায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া এই ফলের বীজে অনুরূপ রোগ প্রতিরোধক্ষমতা রয়েছে।
কৃষি তথ্য সার্ভিস, যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক কৃষিবিদ অনুজ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অড়বরই ভিটামিন ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম-সমৃদ্ধ ফল। এর প্রধান রাসায়নিক পদার্থ হচ্ছে এস্করবিক অ্যাসিড, ফাইটোস্টেরল ও স্যাপনিন।’
অড়বরইয়ের আদি নিবাস মাদাগাস্কার।
No comments