রোহিঙ্গাদের জোর করে পাচার করা হচ্ছে?
নৌকায়
করে বিপজ্জনকভাবে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করা
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের অনেককে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাচার করা হচ্ছে বলে
সন্দেহ করা হচ্ছে। সীমান্তে আটক হওয়া এসব মানুষদের কেউ কেউ বলছেন,
মিয়ানমার থেকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশের আগে পাচারকারীরা ‘সরকারি
অনুমোদনের জন্য’ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছে। খবর ইনডিপেন্ডেন্টের।
মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে পাচারকারীদের ক্যাম্পে ১৩৯টি কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে সম্প্রতি। সেখানকার পুলিশপ্রধান বলেছেন, তিনি এসব আস্তানায় শিশুদের খেলনা এবং স্যান্ডেল দেখতে পেয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিরা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে যদি কেবল কাজের সন্ধানেই আসত, তবে তারা সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আসত না। অভিযোগ রয়েছে, পাচার হওয়া শিশু-কিশোরদের অনেককেই স্রেফ অপহরণ করা হয়। এমনই একজন ১৬ বছর বয়সী রেজুহারনার। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিতুইয়ের উত্তরের দার পায়াং আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবারের সঙ্গে থাকত মেয়েটি।
মাস খানেক আগে এক শুক্রবার রেজুহারনারের ভাই মারমু হানসন (২০) এবং অন্য ভাইয়েরা মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। মারমু বলছিলেন, ‘বিকেলে ক্যাম্পে ফিরে দেখি বোন নেই। একেবারে হাওয়া হয়ে গেছে।’ বোনকে ফেরত পেতে এ পর্যন্ত মারমু ৫০০ ডলার খরচ করেছেন। ৪ মে রেজুহারনারের ফোন আসে। তখন সে আন্দামান সাগরে, নৌকায়। সে জানায়, তাকে ২০০ ডলারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তবে পাচারকারীরা তাকে মালয়েশিয়ায় নেওয়ার জন্য মারমুর কাছে ২ হাজার ২০০ ডলার চায়।
তবে দরিদ্র এই পরিবারটির পক্ষে এত অর্থ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর সেদিনের পর থেকে কোনো ফোনও আসেনি। মেয়েটি আদৌ বেঁচে আছে কি না, তা কেউ জানে না। কেউ কেউ ফিরে এসেছে পাচারকারীদের অর্থ দেওয়ার বিনিময়ে। এদের একজন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ (১৪, আসল নাম নয়)। ছেলেটি কাজের সন্ধানে রাজধানীর সিতুইয়ে গিয়ে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে। সে বলে, ‘আমি জোর করলে ওরা আমাকে পেটাতে থাকে। ওরা বলল যে আমাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।’ মোহাম্মদ জানায়, পাচারকারীরা তাকেসহ ১৫ জনকে সমুদ্র উপকূলে বেশ কয়েক দিন রেখে দেয়। ওরা ‘সরকারের অনুমতির’ অপেক্ষা করছিল। এরপর আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করে। পাচারকারীদের চাহিদামতো ৩০০ ডলার দেওয়ার প্রায় দুই মাস পর ফিরে আসে মোহাম্মদ।
আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের জোর করে পাচার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন রাখাইন প্রদেশের সচিব উ টিন মং সোয়ে। তাঁর কথা, প্রতিদিন এসব শিবিরের লোক গণনা করা হয়। নৌকায় যারা যাচ্ছে, তারা বাংলাদেশি।
তবে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার আগে পাচারকারীদের ‘সরকারি অনুমতির জন্য’ অপেক্ষা মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গানীতির সমালোচকদের মনে সন্দেহের উদ্রেক করছে।
মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে পাচারকারীদের ক্যাম্পে ১৩৯টি কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে সম্প্রতি। সেখানকার পুলিশপ্রধান বলেছেন, তিনি এসব আস্তানায় শিশুদের খেলনা এবং স্যান্ডেল দেখতে পেয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিরা বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে যদি কেবল কাজের সন্ধানেই আসত, তবে তারা সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আসত না। অভিযোগ রয়েছে, পাচার হওয়া শিশু-কিশোরদের অনেককেই স্রেফ অপহরণ করা হয়। এমনই একজন ১৬ বছর বয়সী রেজুহারনার। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিতুইয়ের উত্তরের দার পায়াং আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবারের সঙ্গে থাকত মেয়েটি।
মাস খানেক আগে এক শুক্রবার রেজুহারনারের ভাই মারমু হানসন (২০) এবং অন্য ভাইয়েরা মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। মারমু বলছিলেন, ‘বিকেলে ক্যাম্পে ফিরে দেখি বোন নেই। একেবারে হাওয়া হয়ে গেছে।’ বোনকে ফেরত পেতে এ পর্যন্ত মারমু ৫০০ ডলার খরচ করেছেন। ৪ মে রেজুহারনারের ফোন আসে। তখন সে আন্দামান সাগরে, নৌকায়। সে জানায়, তাকে ২০০ ডলারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তবে পাচারকারীরা তাকে মালয়েশিয়ায় নেওয়ার জন্য মারমুর কাছে ২ হাজার ২০০ ডলার চায়।
তবে দরিদ্র এই পরিবারটির পক্ষে এত অর্থ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আর সেদিনের পর থেকে কোনো ফোনও আসেনি। মেয়েটি আদৌ বেঁচে আছে কি না, তা কেউ জানে না। কেউ কেউ ফিরে এসেছে পাচারকারীদের অর্থ দেওয়ার বিনিময়ে। এদের একজন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোহাম্মদ (১৪, আসল নাম নয়)। ছেলেটি কাজের সন্ধানে রাজধানীর সিতুইয়ে গিয়ে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে। সে বলে, ‘আমি জোর করলে ওরা আমাকে পেটাতে থাকে। ওরা বলল যে আমাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।’ মোহাম্মদ জানায়, পাচারকারীরা তাকেসহ ১৫ জনকে সমুদ্র উপকূলে বেশ কয়েক দিন রেখে দেয়। ওরা ‘সরকারের অনুমতির’ অপেক্ষা করছিল। এরপর আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করে। পাচারকারীদের চাহিদামতো ৩০০ ডলার দেওয়ার প্রায় দুই মাস পর ফিরে আসে মোহাম্মদ।
আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের জোর করে পাচার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন রাখাইন প্রদেশের সচিব উ টিন মং সোয়ে। তাঁর কথা, প্রতিদিন এসব শিবিরের লোক গণনা করা হয়। নৌকায় যারা যাচ্ছে, তারা বাংলাদেশি।
তবে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার আগে পাচারকারীদের ‘সরকারি অনুমতির জন্য’ অপেক্ষা মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গানীতির সমালোচকদের মনে সন্দেহের উদ্রেক করছে।
No comments