বিস্ময়কর জয় by তালহা বিন নজরুল
বাঘের
গর্জনে কাঁপলো বিশ্ব। লেজ গুটিয়ে পালালো সিংহ। আর অপেক্ষা নয়, কোন সমীকরণও
নয়। এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ। আর এক
ম্যাচ আগেই ফিরতি টিকিট নিশ্চিত করতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। আফগানিস্তানের
বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচটি এখন নিছক নিয়ম রক্ষার জন্যই। রুবেলের বল যখন
জেমস অ্যান্ডারসনের স্টাম্প ভেঙে দেয় তখনই উল্লাসে-মিছিলে মুখরিত হয়ে ওঠে
বাংলাদেশ আর অবাক বিস্ময়ে স্তব্ধ ইংল্যান্ড। বাঘা বাঘা ক্রিকেটবোদ্ধারাও
অভিভূত মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকের ব্যাটিং আর মাশরাফি-রুবেলের বোলিংয়ে। বিশ্বের
নানা প্রান্তের সংবাদমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই স্থান পায় বাংলাদেশের
এই জয়। এ জয়ে কি বিস্ময়ের কিছু ছিল? নিন্দুকেরা বিস্মিত হতে পারেন, তবে
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাই ছিলেন এগিয়ে। টসটাই কেবল
জিতেছিল ইংলিশরা। বাকি সময়ের মধ্যে কখনও কখনও তারা আশান্বিত হয়েছিল বটে তবে
তা মিলিয়ে যায় দ্রুতই। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ২৭৫ রানের জবাবে
ইংল্যান্ড ৯ বল আর ১৫ রান বাকি থাকতে অলআউট হয়ে যায়। ব্যাটে আর বলে সমান
দাপটে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেখালো বাংলাদেশ। গড়ে ২৫ বছরের এক ঝাঁক তরুণের
কাছে হার মানলো ‘বিগ থ্রি’র এক কুমন্ত্রক। বাংলাদেশকে যারা সবসময় নমশূদ্রর
কাতারে ফেলতে চায় তাদের হারিয়ে যেন চরম শিক্ষাটাই দিলো মাশরাফি বাহিনী।
অ্যাডিলেড ওভালে লাল-সবুজের ঢেউ খেলে গেল। অস্ট্রেলিয়ানরা নতুন করে চিনলো
বাংলাদেশকে। অসাধারণ আর স্মরণীয় এক জয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার
ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। আফগানিস্তান আর
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে লক্ষ্য পূরণের মঞ্চটা প্রস্তুত করে রেখেছিল বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে এক পয়েন্ট পেয়ে সামিয়ানাও যেন টানানো হয়ে যায়।
অপেক্ষা ছিল কেবল আরেকটি জয়ের। সেটা হয়ে গেল চাপে থাকা ইংল্যান্ডের
ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে। পাঁচ খেলায় সাত পয়েন্ট নিয়ে এখন সাত দলের
মধ্যে তিন নম্বরে বাংলাদেশ। আগামীকাল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা জয়
পেলে বাংলাদেশ যাবে চার নম্বরে। তবে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে বাংলাদেশই
থাকবে তিন নম্বরে। চট্টগ্রাম থেকে অ্যাডিলেড, ২০১১ থেকে ২০১৫। চার বছরের
ব্যবধানে হাজারো মাইল দূরে প্রতিশোধ নিতে পারলো না ইংল্যান্ড। বাংলাদেশে
বিশ্বকাপের কুলীন আসরে আরও একবার মাথা নিচু করে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাদের। গত
বিশ্বকাপে ২০১১ সালের ১৬ই মার্চ বাংলাদেশ বেশ উত্তেজনাভরা খেলায় ২ উইকেটে
হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। এবার ততটা উত্তেজনা ছিল না।
অ্যাডিলেড ওভালের এই ঐতিহাসিক মাঠে ২৭৫ রান কম না হলেও অনেকের প্রত্যাশা ছিল আরও কিছু রান বেশি। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার মঈন আলী ও ইয়ান বেল ভাল সূচনার ইঙ্গিত দেন ৪৩ রান তুলে। মাশরাফি-রুবেলকে সমঝেই মোকাবিলা করছিলেন তারা। প্রথম খেলতে নামা আরাফাত সানিও তার স্পিনে ফল পাচ্ছিলেন না। মঈন আলীর রানআউট বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়ে আনে। এরপর বেল ও হেলস বড় জুটি গড়তে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফি এবার সফলতা পেলেন। হেলসের বিদায়ে ভাঙে ৫৪ রানের জুটি। রানের গতি কমে আসে সাকিবের স্পিনে। বেল ও জো রুট ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই আঘাত এবার রুবেলের। তিনি ইনিংসের ২৭তম ওভারের বেল ও মরগানকে ফিরিয়ে দিলে বাংলাদেশ প্রবলভাবে ফিরে আসে খেলায়। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ১২১/৪। ১৩২ রানের মাথায় জেমস টেইলর তাসকিনের প্রথম শিকার হলে আশা ক্ষীণ হতে থাকে ইংলিশদের। অনেক দুর্দিনের নায়ক জো রুটকে যখন মাশরাফি ফিরিয়ে দেন তখন তাদের স্কোর ১৬৩/৬। বাংলাদেশ শিবিরে তখন জয়ের সুবাস। কিন্তু সপ্তম উইকেটে জশ বাটলার ও ক্রিস ওকস হাল ধরে মোড় ঘুরিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৫২ বলে ৬৫ রান করা জশ বাটলারকে ফিরিয়ে দেন তার হাতেই মার খাওয়া তাসকিন। ওকস ৪২ রানে অপরাজিত থাকলেও সঙ্গী পাননি শেষ পর্যন্ত। রুবেল হোসেন ৪৯তম ওভারে ফের দুই উইকেট নিলে ২৬০ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন অভিজ্ঞ বেল। বাংলাদেশের তিন পেসার নেন আট উইকেট। আর দুটি রানআউট। বাংলাদেশের স্পিনাররা ১০ উইকেটের মধ্যে কোন উইকেট না পাওয়ার বিরল ঘটনা দেখা যায় কাল।
টসে জয় এবং বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ৮ রানে দুই ওপেনারকে বিদায় করার পর ইংলিশ শিবিরে আত্মতৃপ্তির জোয়ার বয়ে যায়। বাংলাদেশ শিবির তখন কম্পমান। কিন্তু তরুণ সৌম্য সরকার সে কাঁপুনি দূর করে দেন দ্রুতই। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ফিরিয়ে আনেন আস্থা। এরপর মুশফিকুর রহীম তার বড় ভায়রা ভাইয়ের সঙ্গে মিশে পারিবারিক ইনিংস গড়ে বাংলাদেশ জুড়ে শীতল পরশ বইয়ে দেন। সৌম্য ৪০ রান করে আউট হলেও তার মারে ছিল আস্থার ছাপ। ছক্কাও হাঁকান তিনি। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম শতরান উপহার দিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। তিনি ধীরগতির হলেও তার সঙ্গে মুশফিকুর রহীম করেন ৭৭ বলে ৮৯ রান। ১টি ছক্কা আর ৮টি চারের মার আসে তার ব্যাট থেকে। তার ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা আর ৭টি চারের মার। আর মাহমুদুল্লাহ ১০৩ রানের রান আউটের শিকার হওয়ার আগে খেলেন ১৩৮ বল। তার ইনিংসে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক ১৪১ রানের জুটি গড়েন। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা কাঙ্ক্ষিত রান না পাওয়ায় স্কোর দাঁড়ায় ২৭৫ রান। রুবেলের অসাধারণ বলে খেলার সমাপ্তি ঘটলেও মাহমুদুল্লাহর ভিত-গড়া ইনিংসই ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পায়।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জয়ের আনন্দে দেশবাসীর প্রতি বিজয় মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বাংলাদেশ দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেন।
অ্যাডিলেড ওভালের এই ঐতিহাসিক মাঠে ২৭৫ রান কম না হলেও অনেকের প্রত্যাশা ছিল আরও কিছু রান বেশি। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার মঈন আলী ও ইয়ান বেল ভাল সূচনার ইঙ্গিত দেন ৪৩ রান তুলে। মাশরাফি-রুবেলকে সমঝেই মোকাবিলা করছিলেন তারা। প্রথম খেলতে নামা আরাফাত সানিও তার স্পিনে ফল পাচ্ছিলেন না। মঈন আলীর রানআউট বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়ে আনে। এরপর বেল ও হেলস বড় জুটি গড়তে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফি এবার সফলতা পেলেন। হেলসের বিদায়ে ভাঙে ৫৪ রানের জুটি। রানের গতি কমে আসে সাকিবের স্পিনে। বেল ও জো রুট ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই আঘাত এবার রুবেলের। তিনি ইনিংসের ২৭তম ওভারের বেল ও মরগানকে ফিরিয়ে দিলে বাংলাদেশ প্রবলভাবে ফিরে আসে খেলায়। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ১২১/৪। ১৩২ রানের মাথায় জেমস টেইলর তাসকিনের প্রথম শিকার হলে আশা ক্ষীণ হতে থাকে ইংলিশদের। অনেক দুর্দিনের নায়ক জো রুটকে যখন মাশরাফি ফিরিয়ে দেন তখন তাদের স্কোর ১৬৩/৬। বাংলাদেশ শিবিরে তখন জয়ের সুবাস। কিন্তু সপ্তম উইকেটে জশ বাটলার ও ক্রিস ওকস হাল ধরে মোড় ঘুরিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৫২ বলে ৬৫ রান করা জশ বাটলারকে ফিরিয়ে দেন তার হাতেই মার খাওয়া তাসকিন। ওকস ৪২ রানে অপরাজিত থাকলেও সঙ্গী পাননি শেষ পর্যন্ত। রুবেল হোসেন ৪৯তম ওভারে ফের দুই উইকেট নিলে ২৬০ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন অভিজ্ঞ বেল। বাংলাদেশের তিন পেসার নেন আট উইকেট। আর দুটি রানআউট। বাংলাদেশের স্পিনাররা ১০ উইকেটের মধ্যে কোন উইকেট না পাওয়ার বিরল ঘটনা দেখা যায় কাল।
টসে জয় এবং বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে মাত্র ৮ রানে দুই ওপেনারকে বিদায় করার পর ইংলিশ শিবিরে আত্মতৃপ্তির জোয়ার বয়ে যায়। বাংলাদেশ শিবির তখন কম্পমান। কিন্তু তরুণ সৌম্য সরকার সে কাঁপুনি দূর করে দেন দ্রুতই। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ফিরিয়ে আনেন আস্থা। এরপর মুশফিকুর রহীম তার বড় ভায়রা ভাইয়ের সঙ্গে মিশে পারিবারিক ইনিংস গড়ে বাংলাদেশ জুড়ে শীতল পরশ বইয়ে দেন। সৌম্য ৪০ রান করে আউট হলেও তার মারে ছিল আস্থার ছাপ। ছক্কাও হাঁকান তিনি। এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম শতরান উপহার দিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। তিনি ধীরগতির হলেও তার সঙ্গে মুশফিকুর রহীম করেন ৭৭ বলে ৮৯ রান। ১টি ছক্কা আর ৮টি চারের মার আসে তার ব্যাট থেকে। তার ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা আর ৭টি চারের মার। আর মাহমুদুল্লাহ ১০৩ রানের রান আউটের শিকার হওয়ার আগে খেলেন ১৩৮ বল। তার ইনিংসে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহ-মুশফিক ১৪১ রানের জুটি গড়েন। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা কাঙ্ক্ষিত রান না পাওয়ায় স্কোর দাঁড়ায় ২৭৫ রান। রুবেলের অসাধারণ বলে খেলার সমাপ্তি ঘটলেও মাহমুদুল্লাহর ভিত-গড়া ইনিংসই ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পায়।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জয়ের আনন্দে দেশবাসীর প্রতি বিজয় মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বাংলাদেশ দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেন।
No comments