রাজপথে শোডাউনের প্রস্তুতি বিএনপির by হাবিবুর রহমান খান
বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজপথে নামাতে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে সমাবেশ বা গণজমায়েতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের হাইকমান্ড। এ লক্ষ্যে খুব শিগগিরই ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হবে। সমাবেশ বা গণজমায়েতের কর্মসূচিতে বড় ধরনের শোডাউনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এজন্য সমাবেশ কেন্দ্র করে অবরোধ থাকলেও শিথিল হতে পারে হরতাল।
সরকার সমাবেশে বাধা দিলে গণজমায়েত করবে বিএনপি। এতেও বাধা দিলে অবরোধের সঙ্গে আবারও হরতাল বা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করবে জোট। হরতাল-অবরোধের সমর্থনে নিয়মিতভাবে রাজপথে মিছিল করতে হবে। ওইসব মিছিলে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগরীর নেতাদের অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে থাকে না এ ধরনের দায় চেপে বসছে দলটির ওপর। এ দায় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে কোনোভাবে ঢাকার রাজপথে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি। এজন্য ঢাকা মহানগর বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাকেও। রাজপথ দখলে নেয়ার জন্য জোটের পক্ষ থেকে চলমান কর্মসূচিতে নতুন বিষয় সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, গত দুই মাসের আন্দোলনে দেশের কতোটা ক্ষতি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু আন্দোলন অব্যাহত রাখা ছাড়া কি করার আছে। আমরা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছি এখান থেকে পিছু হটার কোনো পথ নেই। আন্দোলনের সফলতা আনতে যা প্রয়োজন দলের চেয়ারপারসন তাই করবেন বলে আশা করি। তিনি বলেন, আমরা রাজপথে আন্দোলন করতে চাই না। সংকটের সমাধান চাই। কিন্তু সেই উদ্যোগ তো সরকারকেই নিতে হবে।
আন্দোনের কৌশল প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত বিএনপি নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, আমরা রাজপথে নামতে যাচ্ছি। এজন্য সমাবেশ, গণজমায়েত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই সঙ্গে হরতাল-অবরোধের সমর্থনে নিয়মিতভাবে রাজপথে মিছিল করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নেতা- কর্মীরা রাজপথে মিছিল-মিটিং না করায় পেট্রলবোমা হামলার দায় এসে পড়ছে বিএনপির কাঁধে। পেট্রলবোমা হামলাসহ চলমান সহিংতার সঙ্গে বিএনপিসহ জোটের নেতাকর্মীরা কোনোভাবেই জড়িত নয়। কাজেই এর দায় আমরা নিতে পারি না।
সূত্র জানায়, বিএনপির পাশাপাশি অন অঙ্গসংগঠনগুলোকেও রাজপথে নামানোর কৌশল নেয়া হয়েছে। হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলাদলসহ আরও কয়েকটি অঙ্গসংগঠনকে পৃথক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ছাত্রদল সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কয়েকদফা ছাত্র ধর্মঘট পালন করেছে। স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদল ঘোষণা করেছে বিক্ষোভ মিছিল। এসব কর্মসূচিতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীদের রাজপথে নামানোর উদ্যোগ নিলেও এখনও প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে রাজধানীতে কয়েকটি স্থানে তারা ঝটিকা মিছিল বের করে।
দলের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ নেতাদের ধারণা ছিল কূটনৈতিকদের মধ্যস্থাতায় সমঝোতা আসবে। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে সে সম্ভাবনা ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে বলে তারা মনে করেন। এ কারণে রাজপথ দখলে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াকেই শেষ ভরসা হিসেবে দেখছেন তারা। নেতাদের মতে, টানা দুই মাসের চলা আন্দোলনে রাজপথে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কম থাকায় তারা নানা ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি চলমান আন্দোলনে পেট্রলবোমাসহ ব্যাপক নাশকতার দায়ও তাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব দায় এড়াতে নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর কোনো বিকল্প নেই। এ কারণে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হরতাল-অবরোধে রাজপথে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি ঘোষণা করা হয় বিক্ষোভ মিছিল। বিক্ষোভ মিছিলের পরিবর্তে নাম দেয়া হয় গণমিছিল। গত সপ্তাহে দুদিন গণমিছিলের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসব কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল রাজপথে বিশেষ করে ঢাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ানো। কিন্তু বিগত কয়েকটি মিছিলেও রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে নেতাকর্মীদের রাজপথে উপস্থিতি প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। এ নিয়ে দলের হাইকমান্ডও চরম ক্ষুব্ধ হয়।
সূত্র জানায়, জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি বা রাজধানীতে শোডাউনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মহানগর বিএনপি। দুই মাস ধরে চলা অবরোধ ও সঙ্গে হরতালে মহানগর নেতাকর্মীদের রাজপথে দেখা যাচ্ছে না। সঙ্গে বিক্ষোভ বা গণমিছিলেও ছিল না তাদের উপস্থিতি। ফলে দলের শীর্ষ নেতারা বিরক্ত। ঢাকা মহানগর বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও এ নিয়ে চাপে রয়েছেন। সরকারও মনে করছে ঢাকাকে নিরাপদ রাখা গেলে বিএনপির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়বে। সরকারের এ ধারণার সঙ্গে বিএনপিও প্রায় একমত। এজন্য দলটির নেতারা ঢাকার রাজপথে কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মরিয়া। এজন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাকেও। প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কিভাবে নেতাকর্মীদের রাজপথে নামানো যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা যাতে রাজপথে নামার সাহস পান সেজন্য মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরও মিছিলে অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কয়েকদিন আগে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল রাজধানীতে মিছিল বের করেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, দীর্ঘ কয়েক মাস চেষ্টা চালিয়ে রাজধানীর প্রায় সবকটি ওয়ার্ড ও বেশ কয়েকটি থানা কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটি গঠনের সময় স্বজনপ্রীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু ওই সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বিষয়টিকে পাত্তা দেননি। কিন্তু এখন তার প্রমাণ মিলেছে। কমিটি পুনর্গঠনের পরও নতুন নেতৃত্বদের রাজপথে দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে মহানগর নেতারাও স্বস্তিতে নেই।
সূত্র জানায়, বিএনপির প্রত্যাশা ছিল আন্দোলন অব্যাহত রাখা হলে সরকার চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে। এক সময় তারা দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবেন। তাই দুই দফা বিশ্ব ইজতেমা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মারা যাওয়া ও সবশেষ এসএসসি পরীক্ষায় কর্মসূচি শিথিল বা প্রত্যাহারের সুযোগ আসলেও তা কাজে লাগায়নি তারা। বিভিন্ন মহলের পাশাপাশি এসব সুযোগে দলের পক্ষ থেকেও কেউ কেউ কর্মসূচি শিথিল করার দাবি জানান। কিন্তু দলের কট্ররপন্থী বলে পরিচিতরা টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়।
সরকার সমাবেশে বাধা দিলে গণজমায়েত করবে বিএনপি। এতেও বাধা দিলে অবরোধের সঙ্গে আবারও হরতাল বা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করবে জোট। হরতাল-অবরোধের সমর্থনে নিয়মিতভাবে রাজপথে মিছিল করতে হবে। ওইসব মিছিলে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগরীর নেতাদের অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কর্মসূচি দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে থাকে না এ ধরনের দায় চেপে বসছে দলটির ওপর। এ দায় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে কোনোভাবে ঢাকার রাজপথে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি। এজন্য ঢাকা মহানগর বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাকেও। রাজপথ দখলে নেয়ার জন্য জোটের পক্ষ থেকে চলমান কর্মসূচিতে নতুন বিষয় সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, গত দুই মাসের আন্দোলনে দেশের কতোটা ক্ষতি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু আন্দোলন অব্যাহত রাখা ছাড়া কি করার আছে। আমরা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছি এখান থেকে পিছু হটার কোনো পথ নেই। আন্দোলনের সফলতা আনতে যা প্রয়োজন দলের চেয়ারপারসন তাই করবেন বলে আশা করি। তিনি বলেন, আমরা রাজপথে আন্দোলন করতে চাই না। সংকটের সমাধান চাই। কিন্তু সেই উদ্যোগ তো সরকারকেই নিতে হবে।
আন্দোনের কৌশল প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত বিএনপি নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, আমরা রাজপথে নামতে যাচ্ছি। এজন্য সমাবেশ, গণজমায়েত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একই সঙ্গে হরতাল-অবরোধের সমর্থনে নিয়মিতভাবে রাজপথে মিছিল করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নেতা- কর্মীরা রাজপথে মিছিল-মিটিং না করায় পেট্রলবোমা হামলার দায় এসে পড়ছে বিএনপির কাঁধে। পেট্রলবোমা হামলাসহ চলমান সহিংতার সঙ্গে বিএনপিসহ জোটের নেতাকর্মীরা কোনোভাবেই জড়িত নয়। কাজেই এর দায় আমরা নিতে পারি না।
সূত্র জানায়, বিএনপির পাশাপাশি অন অঙ্গসংগঠনগুলোকেও রাজপথে নামানোর কৌশল নেয়া হয়েছে। হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলাদলসহ আরও কয়েকটি অঙ্গসংগঠনকে পৃথক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ছাত্রদল সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কয়েকদফা ছাত্র ধর্মঘট পালন করেছে। স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদল ঘোষণা করেছে বিক্ষোভ মিছিল। এসব কর্মসূচিতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীদের রাজপথে নামানোর উদ্যোগ নিলেও এখনও প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। বিক্ষিপ্তভাবে রাজধানীতে কয়েকটি স্থানে তারা ঝটিকা মিছিল বের করে।
দলের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ নেতাদের ধারণা ছিল কূটনৈতিকদের মধ্যস্থাতায় সমঝোতা আসবে। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে সে সম্ভাবনা ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে বলে তারা মনে করেন। এ কারণে রাজপথ দখলে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াকেই শেষ ভরসা হিসেবে দেখছেন তারা। নেতাদের মতে, টানা দুই মাসের চলা আন্দোলনে রাজপথে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কম থাকায় তারা নানা ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি চলমান আন্দোলনে পেট্রলবোমাসহ ব্যাপক নাশকতার দায়ও তাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব দায় এড়াতে নেতাকর্মীদের মাঠে নামানোর কোনো বিকল্প নেই। এ কারণে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হরতাল-অবরোধে রাজপথে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি ঘোষণা করা হয় বিক্ষোভ মিছিল। বিক্ষোভ মিছিলের পরিবর্তে নাম দেয়া হয় গণমিছিল। গত সপ্তাহে দুদিন গণমিছিলের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসব কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল রাজপথে বিশেষ করে ঢাকায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ানো। কিন্তু বিগত কয়েকটি মিছিলেও রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে নেতাকর্মীদের রাজপথে উপস্থিতি প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। এ নিয়ে দলের হাইকমান্ডও চরম ক্ষুব্ধ হয়।
সূত্র জানায়, জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি বা রাজধানীতে শোডাউনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মহানগর বিএনপি। দুই মাস ধরে চলা অবরোধ ও সঙ্গে হরতালে মহানগর নেতাকর্মীদের রাজপথে দেখা যাচ্ছে না। সঙ্গে বিক্ষোভ বা গণমিছিলেও ছিল না তাদের উপস্থিতি। ফলে দলের শীর্ষ নেতারা বিরক্ত। ঢাকা মহানগর বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও এ নিয়ে চাপে রয়েছেন। সরকারও মনে করছে ঢাকাকে নিরাপদ রাখা গেলে বিএনপির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়বে। সরকারের এ ধারণার সঙ্গে বিএনপিও প্রায় একমত। এজন্য দলটির নেতারা ঢাকার রাজপথে কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মরিয়া। এজন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাকেও। প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কিভাবে নেতাকর্মীদের রাজপথে নামানো যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। থানা ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা যাতে রাজপথে নামার সাহস পান সেজন্য মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরও মিছিলে অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কয়েকদিন আগে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল রাজধানীতে মিছিল বের করেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, দীর্ঘ কয়েক মাস চেষ্টা চালিয়ে রাজধানীর প্রায় সবকটি ওয়ার্ড ও বেশ কয়েকটি থানা কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটি গঠনের সময় স্বজনপ্রীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু ওই সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বিষয়টিকে পাত্তা দেননি। কিন্তু এখন তার প্রমাণ মিলেছে। কমিটি পুনর্গঠনের পরও নতুন নেতৃত্বদের রাজপথে দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে মহানগর নেতারাও স্বস্তিতে নেই।
সূত্র জানায়, বিএনপির প্রত্যাশা ছিল আন্দোলন অব্যাহত রাখা হলে সরকার চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে। এক সময় তারা দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবেন। তাই দুই দফা বিশ্ব ইজতেমা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মারা যাওয়া ও সবশেষ এসএসসি পরীক্ষায় কর্মসূচি শিথিল বা প্রত্যাহারের সুযোগ আসলেও তা কাজে লাগায়নি তারা। বিভিন্ন মহলের পাশাপাশি এসব সুযোগে দলের পক্ষ থেকেও কেউ কেউ কর্মসূচি শিথিল করার দাবি জানান। কিন্তু দলের কট্ররপন্থী বলে পরিচিতরা টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়।
No comments