কেন অসম অংশীদারিত্ব মেনে নিলো আননাহদা : রশিদ ঘানুশি
আননাহদার
নেতা রশিদ ঘানুশি বলেছেন, তার দল দায়িত্বশীলতার সাথে জাতীয় স্বার্থকে
অগ্রাধিকার প্রদান করায় ক্ষমতার মোহ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। তিউনিসিয়ার
পরিস্থিতির সাথে সুপরিচিত দেশটির ও তার বাইরের বহু পর্যবেক্ষক হাবিব এসিদের
সরকারে আংশিক ও সীমিত ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তাব আননাহদার নেতাদের মেনে
নেয়ায় অত্যন্ত বিস্মিত, এমনকি মর্মাহত হয়েছেন। কেউ কেউ একে ‘অমর্যাদার’ বলে
বর্ণনা করেছেন। বস্তুতপক্ষে এ সমালোচনা ওই ধরনের ব্যক্তির মতো যিনি কোনো
নিরাপদ জাহাজের মধ্যম মানের নিরাপদ আসনের পরিবর্তে এমন এক জাহাজের একটি
বিলাসবহুল স্যুট রিজার্ভ করেন যেটি ডুবে যাবে বলে তিনি জানতেন। এসব
বিশ্লেষকেরা হয়তো তিউনিসিয়ার চেয়ে আননাহদা নিয়েই বেশি চিন্তিত। তারা এক বছর
আগে যা ঘটেছিল তা হয়তো ভুলে গেছেন। অবাধ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার
পরও সে সময় স্বেচ্ছায় দলটি ক্ষমতা পরিত্যাগ করেছিল। আননাহদা উপলব্ধি করে
যে, নাটকীয় পরিবর্তন সূচিত হওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্য জটিল সঙ্কটের আবর্তে
জড়িয়ে গেছে, এ থেকে উত্তরণ ও দেশটির ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক অভিজ্ঞতাকে রক্ষা
করার একমাত্র উপায় ছিল সংসদীয় ব্যবস্থার সরকার থেকে সরে যাওয়াসহ বড় ধরনের
ত্যাগ স্বীকার করা। এ সরকার তার নিজের ক্ষমতা কিছুটা বৃদ্ধি করেছিল।
এটি আমাদের প্রথম বা শেষ ত্যাগ স্বীকার নয়। যারা ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের ভেতরে ও বিদেশে আমাদের বঞ্চিত ও নির্যাতনের শিকারে পরিণত করেছিল তাদের বিরুদ্ধে নিছক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগকে কাজে লাগানোর ইচ্ছেকে আমরা দমন করতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি বিপ্লব সংরক্ষণ আইনের আওতায় আমরা রাজনৈতিক বিরোধীদের বাইরে রাখার বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা তাদের সমান ও পূর্ণ মর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক অংশগ্রহণ এবং স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি। সত্য প্রকাশ, ক্ষত শুশ্রুষা এবং ক্ষমাশীলতা ও ঐক্য অর্জনের জন্য দেশকে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে, যাতে আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অর্জিত জঞ্জাল দূর করতে পারি।
উপরন্তু আমরা দায়িত্বশীলতার সাথে ক্ষমতার মোহকে অতিক্রম করে জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছি। আমরা বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতিকদের যৌক্তিক শৃঙ্খলার এক বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। ক্ষমতার প্রতি অনীহার কারণে আমরা এটি করিনি বরং পরিস্থিতির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করার পর এটি করা হয়েছে : এটি করা হলে দেশ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের সর্বোত্তম স্বার্থ এতে সংরক্ষিত হতো না এবং ক্ষমতার ভারসাম্যও স্থাপন সম্ভব হতো না।
আমাদের বিশ্লেষণে দেশ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের সর্বোত্তম পদক্ষেপ কী হবে এবং ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়ে আমাদের মূল্যায়ন আমাদেরকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সেই সাথে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমাদের নিরপেক্ষ থাকার প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি পালন করেছি, যাতে বড় ধরনের এ আন্দোলন ব্যর্থ না হয় ।
আমরা তাদের সাথে করমর্দন করেছি যারা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে আগে আমাদের সাথে করমর্দন করেনি, আমরা ভবিষ্যতেও তা করব কারণ এর মধ্যে দেশের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এমনকি আমরা দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও বৈরিতার সম্পর্ককে ঐক্য গঠন, সহযোগিতা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সম্পর্কে রূপান্তরিত করেছি।
দেশের ভেতরে ও বাইরে আমাদের বিপ্লবের সমর্থক বহু সুহৃদ ব্যক্তির কেউ কেউ তিউনিসিয়ান স্প্রিয়ের ব্যাপক উদ্ধার কর্মকাণ্ড এবং ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক অভিজ্ঞতার গুরুত্ব হয়তো উপলব্ধি করতে পারেননি। ওই সময় আমরা এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি যা আন্তর্জাতিকভাবে ‘তিউনিসিয়ার ব্যতিক্রম’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১৩ সালে বিশেষ করে মিসরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তিউনিসিয়ায় আসলে কি ঘটেছিল সে সম্পর্কে অনেক লোক জানেন না। সে সময় দেশ দুই মেরুতে দুই ফ্রন্টে বিভক্ত হয়ে পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের দিকে ধাবিত হচ্ছিল, এর এক দিকে ছিল বেইজ সাইদের নেতৃত্বে নিদা তিউনিস ও অন্যান্য দল নিয়ে বিরোধী জোট এবং অন্য দিকে ছিল আননাহদা ও তার মিত্রদলগুলো। এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি কি হতে যাচ্ছিল তা স্পষ্ট আরব বসন্তের অন্যান্য দেশে যা ঘটেছিল, বিপ্লবের বিপর্যয় এবং সংঘাতের অতলে তরিয়ে যাওয়া, একই গভীর সঙ্কটের সম্মুখীন হতে যাচ্ছিল তিউনিসিয়াও। কিন্তু আমরা সংঘাত, বিরোধ ও বহিষ্কারের পরিবর্তে ঐকমত্য, সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মূলনীতিমালা প্রতিষ্ঠা করেছি।
দু’টি বড় ট্রেন সুনিশ্চিত মুখোমুখি সংঘর্ষের দিকে ছুটে যাচ্ছিল। আমাদের এ নীতি তাদের দু’টি ভিন্ন পথে পরিচালিত করতে সমর্থ হয়েছে। আমরা আজ ঐক্য সরকারে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছি যা সব কট্টরপন্থা ও অনৈক্যের উপাদান থেকে মুক্ত করা হয়েছে। এসব উপাদান এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বড় ট্রেন দু’টি ছুটে যাচ্ছিল আমাদের ও সমাজবাদীদের মধ্যে অবশ্যম্ভাবী সংঘাত সৃষ্টির দিকে। কিন্তু আমরা একটি ঐক্য সরকারে সবাইকে অন্তভূক্ত করেছি এবং আমরা এসিদের সরকারের খুব কাছে আসতে সক্ষম হয়েছি। তিনি পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এটি সুস্পষ্ট ঐক্যের উদ্যোগ যা তিউনিসিয়ার বসন্তের শিরোমণি হয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণ নীতির নতুন তত্ত্বে রূপ লাভ করেছে। ৫০+১ নীতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্রের সরকারের জন্য বৈধতার ভিত্তি হতে পারে; কিন্তু উদীয়মান গণতন্ত্রের দেশ জনগণকে এভাবে দুইভাগে বিভক্ত করার ভার বহন করতে সক্ষম নয়।
আমরা ২০১২-১৩ সালে ক্ষমতায় থাকার সময় চরম মেরুকরণের অভিজ্ঞতা সরাসরি অর্জন করি। গোটা অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, আমরা যদি আলোচনার পর সরকার থেকে প্রত্যাহার করে দেশকে উদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিতাম তাহলে তিউনিসিয়ার সব অর্জনই ভেঙে পড়ার বিপদের সম্মুখীন হতো। কঠিন চ্যালেঞ্জের সময় সেটি ছিল। বর্তমানে যেসব আরব দেশে সঙ্কট চলছে সেসব দেশে কি আননাহদা অথবা নিদা তিউনিসের মতো এমন শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল। অবশ্যই না। নির্বাচনে অবশ্য আননাহদা জিততে পারেনি।
আমরা যে ঐতিহাসিক পরিবর্তন ঘটিয়েছি তাহলো গণতান্ত্রিক উত্তরণের নতুন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ যাতে ইসলামপন্থী ও সেকুলারপন্থী উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন। এ ক্ষেত্রে সরকারে অংশগ্রহণের মাত্রা এ ক্ষেত্রে বড় কিছু নয়। বর্তমানে তিউনিসিয়ার ট্রেন অংশীদারিত্বের লাইনে চলছে। এতে রয়েছে পাঁচটি দল। তার মধ্যে দু’টি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিউনিসিয়ার গণতান্ত্রিক সাফল্য বিশ্বের স্বীকৃতি লাভ করেছে। এ অঞ্চলের অন্যরা যাতে যোগ দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমরা ধীরে ধীরে স্বাধীনতা ও মর্যাদার রাজপথের দিকে এগিয়ে যাব, ইনশা আল্লাহ।
মিডইস্ট মনিটর অবলম্বনে
এটি আমাদের প্রথম বা শেষ ত্যাগ স্বীকার নয়। যারা ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের ভেতরে ও বিদেশে আমাদের বঞ্চিত ও নির্যাতনের শিকারে পরিণত করেছিল তাদের বিরুদ্ধে নিছক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগকে কাজে লাগানোর ইচ্ছেকে আমরা দমন করতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি বিপ্লব সংরক্ষণ আইনের আওতায় আমরা রাজনৈতিক বিরোধীদের বাইরে রাখার বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা তাদের সমান ও পূর্ণ মর্যাদাসম্পন্ন নাগরিক অংশগ্রহণ এবং স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি। সত্য প্রকাশ, ক্ষত শুশ্রুষা এবং ক্ষমাশীলতা ও ঐক্য অর্জনের জন্য দেশকে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছে, যাতে আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অর্জিত জঞ্জাল দূর করতে পারি।
উপরন্তু আমরা দায়িত্বশীলতার সাথে ক্ষমতার মোহকে অতিক্রম করে জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছি। আমরা বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনীতিকদের যৌক্তিক শৃঙ্খলার এক বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। ক্ষমতার প্রতি অনীহার কারণে আমরা এটি করিনি বরং পরিস্থিতির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করার পর এটি করা হয়েছে : এটি করা হলে দেশ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের সর্বোত্তম স্বার্থ এতে সংরক্ষিত হতো না এবং ক্ষমতার ভারসাম্যও স্থাপন সম্ভব হতো না।
আমাদের বিশ্লেষণে দেশ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের সর্বোত্তম পদক্ষেপ কী হবে এবং ক্ষমতার ভারসাম্যের বিষয়ে আমাদের মূল্যায়ন আমাদেরকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সেই সাথে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমাদের নিরপেক্ষ থাকার প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি পালন করেছি, যাতে বড় ধরনের এ আন্দোলন ব্যর্থ না হয় ।
আমরা তাদের সাথে করমর্দন করেছি যারা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে আগে আমাদের সাথে করমর্দন করেনি, আমরা ভবিষ্যতেও তা করব কারণ এর মধ্যে দেশের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এমনকি আমরা দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও বৈরিতার সম্পর্ককে ঐক্য গঠন, সহযোগিতা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সম্পর্কে রূপান্তরিত করেছি।
দেশের ভেতরে ও বাইরে আমাদের বিপ্লবের সমর্থক বহু সুহৃদ ব্যক্তির কেউ কেউ তিউনিসিয়ান স্প্রিয়ের ব্যাপক উদ্ধার কর্মকাণ্ড এবং ভঙ্গুর গণতান্ত্রিক অভিজ্ঞতার গুরুত্ব হয়তো উপলব্ধি করতে পারেননি। ওই সময় আমরা এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি যা আন্তর্জাতিকভাবে ‘তিউনিসিয়ার ব্যতিক্রম’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১৩ সালে বিশেষ করে মিসরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তিউনিসিয়ায় আসলে কি ঘটেছিল সে সম্পর্কে অনেক লোক জানেন না। সে সময় দেশ দুই মেরুতে দুই ফ্রন্টে বিভক্ত হয়ে পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের দিকে ধাবিত হচ্ছিল, এর এক দিকে ছিল বেইজ সাইদের নেতৃত্বে নিদা তিউনিস ও অন্যান্য দল নিয়ে বিরোধী জোট এবং অন্য দিকে ছিল আননাহদা ও তার মিত্রদলগুলো। এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি কি হতে যাচ্ছিল তা স্পষ্ট আরব বসন্তের অন্যান্য দেশে যা ঘটেছিল, বিপ্লবের বিপর্যয় এবং সংঘাতের অতলে তরিয়ে যাওয়া, একই গভীর সঙ্কটের সম্মুখীন হতে যাচ্ছিল তিউনিসিয়াও। কিন্তু আমরা সংঘাত, বিরোধ ও বহিষ্কারের পরিবর্তে ঐকমত্য, সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মূলনীতিমালা প্রতিষ্ঠা করেছি।
দু’টি বড় ট্রেন সুনিশ্চিত মুখোমুখি সংঘর্ষের দিকে ছুটে যাচ্ছিল। আমাদের এ নীতি তাদের দু’টি ভিন্ন পথে পরিচালিত করতে সমর্থ হয়েছে। আমরা আজ ঐক্য সরকারে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছি যা সব কট্টরপন্থা ও অনৈক্যের উপাদান থেকে মুক্ত করা হয়েছে। এসব উপাদান এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বড় ট্রেন দু’টি ছুটে যাচ্ছিল আমাদের ও সমাজবাদীদের মধ্যে অবশ্যম্ভাবী সংঘাত সৃষ্টির দিকে। কিন্তু আমরা একটি ঐক্য সরকারে সবাইকে অন্তভূক্ত করেছি এবং আমরা এসিদের সরকারের খুব কাছে আসতে সক্ষম হয়েছি। তিনি পার্লামেন্টের এক-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এটি সুস্পষ্ট ঐক্যের উদ্যোগ যা তিউনিসিয়ার বসন্তের শিরোমণি হয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণ নীতির নতুন তত্ত্বে রূপ লাভ করেছে। ৫০+১ নীতিতে সুপ্রতিষ্ঠিত একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্রের সরকারের জন্য বৈধতার ভিত্তি হতে পারে; কিন্তু উদীয়মান গণতন্ত্রের দেশ জনগণকে এভাবে দুইভাগে বিভক্ত করার ভার বহন করতে সক্ষম নয়।
আমরা ২০১২-১৩ সালে ক্ষমতায় থাকার সময় চরম মেরুকরণের অভিজ্ঞতা সরাসরি অর্জন করি। গোটা অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, আমরা যদি আলোচনার পর সরকার থেকে প্রত্যাহার করে দেশকে উদ্ধার করার সিদ্ধান্ত নিতাম তাহলে তিউনিসিয়ার সব অর্জনই ভেঙে পড়ার বিপদের সম্মুখীন হতো। কঠিন চ্যালেঞ্জের সময় সেটি ছিল। বর্তমানে যেসব আরব দেশে সঙ্কট চলছে সেসব দেশে কি আননাহদা অথবা নিদা তিউনিসের মতো এমন শক্তিশালী বিরোধী দল ছিল। অবশ্যই না। নির্বাচনে অবশ্য আননাহদা জিততে পারেনি।
আমরা যে ঐতিহাসিক পরিবর্তন ঘটিয়েছি তাহলো গণতান্ত্রিক উত্তরণের নতুন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ যাতে ইসলামপন্থী ও সেকুলারপন্থী উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন। এ ক্ষেত্রে সরকারে অংশগ্রহণের মাত্রা এ ক্ষেত্রে বড় কিছু নয়। বর্তমানে তিউনিসিয়ার ট্রেন অংশীদারিত্বের লাইনে চলছে। এতে রয়েছে পাঁচটি দল। তার মধ্যে দু’টি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিউনিসিয়ার গণতান্ত্রিক সাফল্য বিশ্বের স্বীকৃতি লাভ করেছে। এ অঞ্চলের অন্যরা যাতে যোগ দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আমরা ধীরে ধীরে স্বাধীনতা ও মর্যাদার রাজপথের দিকে এগিয়ে যাব, ইনশা আল্লাহ।
মিডইস্ট মনিটর অবলম্বনে
No comments