মোদিকে তিস্তা চুক্তির খসড়া করতে বললেন মমতা by কৃষ্ণকুমার দাস
তিস্তার
পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য উদ্যোগী হতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদিকে অনুরোধ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দিল্লিতে
সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে সোমবার মমতা এ অনুরোধ জানান।
মমতা জানিয়েছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব দুই দেশের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে সচিব
পর্যায়ের বৈঠক ডেকে খসড়া তৈরি করা হোক। কিন্তু এর আগে নদী বিশেষজ্ঞদের
পরামর্শ নিয়ে দুই বাংলার স্বার্থ দেখুন। তারপরই চুক্তি করা হোক।’ প্রায়
২০ মিনিটের এ বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া ছিটমহল বিনিময় প্রক্রিয়া দ্রুত
সম্পাদন করার জন্যও সম্মতি দিয়েছেন মমতা। প্রয়োজনে মোদির সঙ্গে বাংলাদেশ
সফরে আসতে আপত্তি নেই বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
শেষ মুহূর্তে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ঢাকায় না এসে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ভেস্তে দিয়েছিলেন মমতা। যদিও তিনিই ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসে শেখ হাসিনাকে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে আশ্বাস দেন। তিস্তার পানিবণ্টন ও ছিটমহল ইস্যুতে নিজের সম্মতির কথা জানানোর বিনিময়ে মমতা পশ্চিমবঙ্গের জন্য মোদির কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার ‘বিশেষ প্যাকেজ’ (ক্ষতিপূরণ) আদায় করে নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মসূচিতে আসার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই আমন্ত্রণ মোদি গ্রহণও করেছেন।
বিজেপির নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নয় মাস পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা দিল্লিতে গিয়ে দেখা করলেন। এর আগে তিন তিনবার দিল্লিতে বৈঠক ডাকলেও প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দেননি মমতা। ভারতের সব অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সেই বৈঠকে হাজির থাকলেও মমতা যাননি, শেষ আমন্ত্রণে কোনো প্রতিনিধিও পাঠাননি তিনি। উল্টো কেন্দ্রবিরোধী জেহাদ জারি রেখে বিজেপিকে ক্রমাগত হুশিয়ারি দিয়ে গিয়েছেন মমতা। আর মাত্র ১০ মাস আগে কোমরে দড়ি পরিয়ে মোদিকে জেলে ঢোকানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সারদা ও বর্ধমান বিস্ফোরণে জামা’আতুল মুজাহিদীন ইস্যুতে যথেষ্ট চাপে পড়েই দিল্লিতে বিজেপি এবং ঢাকায় শেখ হাসিনার পক্ষে যথেষ্ট নরম মনোভাব দেখিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। দিল্লি যাওয়ার আগেই মমতা কলকাতায় জানিয়েছিলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফোন করেছিলেন মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। দেশের তরফে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলেছিলেন। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিস্তা ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলে এসেছি। কলকাতা ফিরে সেই সম্পর্কিত সব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছি।’
শেষ মুহূর্তে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ঢাকায় না এসে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ভেস্তে দিয়েছিলেন মমতা। যদিও তিনিই ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসে শেখ হাসিনাকে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে আশ্বাস দেন। তিস্তার পানিবণ্টন ও ছিটমহল ইস্যুতে নিজের সম্মতির কথা জানানোর বিনিময়ে মমতা পশ্চিমবঙ্গের জন্য মোদির কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকার ‘বিশেষ প্যাকেজ’ (ক্ষতিপূরণ) আদায় করে নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মসূচিতে আসার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই আমন্ত্রণ মোদি গ্রহণও করেছেন।
বিজেপির নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নয় মাস পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা দিল্লিতে গিয়ে দেখা করলেন। এর আগে তিন তিনবার দিল্লিতে বৈঠক ডাকলেও প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দেননি মমতা। ভারতের সব অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সেই বৈঠকে হাজির থাকলেও মমতা যাননি, শেষ আমন্ত্রণে কোনো প্রতিনিধিও পাঠাননি তিনি। উল্টো কেন্দ্রবিরোধী জেহাদ জারি রেখে বিজেপিকে ক্রমাগত হুশিয়ারি দিয়ে গিয়েছেন মমতা। আর মাত্র ১০ মাস আগে কোমরে দড়ি পরিয়ে মোদিকে জেলে ঢোকানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সারদা ও বর্ধমান বিস্ফোরণে জামা’আতুল মুজাহিদীন ইস্যুতে যথেষ্ট চাপে পড়েই দিল্লিতে বিজেপি এবং ঢাকায় শেখ হাসিনার পক্ষে যথেষ্ট নরম মনোভাব দেখিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। দিল্লি যাওয়ার আগেই মমতা কলকাতায় জানিয়েছিলেন, ‘বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফোন করেছিলেন মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। দেশের তরফে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলেছিলেন। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিস্তা ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলে এসেছি। কলকাতা ফিরে সেই সম্পর্কিত সব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছি।’
No comments