সেতুমন্ত্রীর কাছে তথ্য গোপন এলাকাবাসীর ক্ষোভ by আজহারুল হক
পিচঢালা নয়, খানাখন্দময় এ মেঠোপথের নাম ঢাকা-নবাবগঞ্জ-দোহার আঞ্চলিক সড়ক। মৈনটঘাট থেকে তোলা ছবি |
ঢাকা-নবাবগঞ্জ-দোহার
সড়কে সংস্কার কাজে অবহেলা ও যাত্রীরা দুর্ভোগে। ৫ মার্চ যুগান্তরে এমন
সংবাদ ছাপা হলে হইচই পড়ে যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের মাঝে।
সংবাদটি পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টিগোচর হলে ৭ মার্চ তিনি
ঝটিকা পরিদর্শনে যান এই সড়কে। কিন্তু সওজের কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে দোহারের
বাঁশতলা থেকে মৈনট ফেরি ঘাট পর্যন্ত ৭ কিমি. রাস্তার খারাপ অংশ না দেখিয়ে
ঢাকা-দোহার সড়কের শ্রীনগরের যে অংশে সংস্কার কাজ চলছে সেখানে নিয়ে যান। এ
ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সওজের
কর্মকর্তারা তাদের দায় এড়াতে মন্ত্রীর কাছে এসব তথ্য গোপন করেছেন। এলাকাবাসী
জানায়, সেতুমন্ত্রীর এ আকস্মিক পরিদর্শনে দোহার-নবাবগঞ্জের সাধারণ মানুষের
মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের
প্রতারণার কারণে মন্ত্রী রাস্তার সবচেয়ে খারাপ অংশটি দেখতে পারেননি। ফলে
এলাকাবাসীকে সেই আগের দুর্ভোগেই রাস্তায় চলতে হচ্ছে।
দোহারের চরকুশাই এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন পল্লব জানান, সড়ক বিভাগের অসৎ কর্মকর্তাদের কারণেই এ রাস্তাটি বছরের পর বছর সংস্কার হয়নি। তারা বিভিন্ন সময়ে জরুরিভিত্তিতে সংস্কার কাজ দেখানোর কথা বলে প্রকল্প বানিয়ে বিল তুলে নেয়। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। সেই সঙ্গে জনগণের ভোগান্তিও দীর্ঘস্থায়ী হয়। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। কার্তিকপুরের বাসিন্দা মো. হোসেন বলেন, মন্ত্রী তো আমাগো এ সড়ক দেখতে আসেনি। যা প্রায় ১০ বছরের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। এ সড়কটি মানুষের জন্য নরকযন্ত্রণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
দোহারের মৈনটঘাট থেকে বাঁশতলা পর্যন্ত ৭ কিমি. রাস্তার সংবাদ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশ হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের নজরে পড়ছে ন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মুন্সিগঞ্জ রেঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক ইকবালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী খায়রুল ইসলামকেও তার মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
শনিবার সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঝটিকা পরিদর্শনে এলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মুন্সিগঞ্জ রেঞ্জের কর্মকর্তাদের শাসিয়ে ১ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা বলেন। এরপর থেকে ওইসব কর্মকর্র্তারা কোনো সংবাদকর্মীর সঙ্গে কথা বলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
দোহারের চরকুশাই এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন পল্লব জানান, সড়ক বিভাগের অসৎ কর্মকর্তাদের কারণেই এ রাস্তাটি বছরের পর বছর সংস্কার হয়নি। তারা বিভিন্ন সময়ে জরুরিভিত্তিতে সংস্কার কাজ দেখানোর কথা বলে প্রকল্প বানিয়ে বিল তুলে নেয়। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। সেই সঙ্গে জনগণের ভোগান্তিও দীর্ঘস্থায়ী হয়। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। কার্তিকপুরের বাসিন্দা মো. হোসেন বলেন, মন্ত্রী তো আমাগো এ সড়ক দেখতে আসেনি। যা প্রায় ১০ বছরের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। এ সড়কটি মানুষের জন্য নরকযন্ত্রণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
দোহারের মৈনটঘাট থেকে বাঁশতলা পর্যন্ত ৭ কিমি. রাস্তার সংবাদ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও টিভি চ্যানেলে প্রকাশ হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের নজরে পড়ছে ন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের মুন্সিগঞ্জ রেঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক ইকবালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী খায়রুল ইসলামকেও তার মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
শনিবার সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঝটিকা পরিদর্শনে এলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মুন্সিগঞ্জ রেঞ্জের কর্মকর্তাদের শাসিয়ে ১ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা বলেন। এরপর থেকে ওইসব কর্মকর্র্তারা কোনো সংবাদকর্মীর সঙ্গে কথা বলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
No comments