সঙ্কট নাটকীয়ভাবে বদলাবে না
বাংলাদেশের
রাজনৈতিক সঙ্কটে আঞ্চলিক পর্যায় বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তান নীরবতা পালন
করছে এবং তারা চলমান অচলাবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে অনিচ্ছুক বলে দাবি করেছে
পাকিস্তানি দৈনিক দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। পত্রিকাটি আরও মনে করে বাংলাদেশের
চলমান অচলাবস্থা নাটকীয়ভাবে বদলে যাবে না। পত্রিকাটি গতকাল ‘ঝঞ্ঝাটে
বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক নিবন্ধে বলেছে, দুটি দেশই হস্তক্ষেপ না করার নীতি
অনুসরণ করে চলেছে, কারণ বাংলাদেশ সঙ্কট অভ্যন্তরীণ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বৃটেন ও কানাডা অত্যন্ত কঠোর
ভাষায় রাজনৈতিক সহিংসতা ও চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার নিন্দা জানিয়েছে। তারা
সরকার ও বিরোধী দলকে রাজনৈতিক সংলাপে বসতে আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ
মহাসচিব বান কি মুন দেশটির দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে
বর্তমান সঙ্কটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে সকল রাজনৈতিক দলর প্রতি আহ্বান
জানিয়েছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ আশা প্রকাশ করেছেন যে,
বাংলাদেশ এই সঙ্কট ঘোচাতে সক্ষম হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির
কোন নাটকীয় পরিবর্তন নিকট ভবিষ্যতে ঘটবে না।
নিবন্ধকার আইমান আইযাজ এ পর্যায়ে উল্লেখ করেন যে, পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে বিরোধী দল ও সরকারের মধ্যে অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে গঠনমূলক সংলাপ দরকার। এজন্য একটি অংশগ্রহণমূলক, সহিষ্ণু ও গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই মতপার্থক্য নিরসন করতে হবে। রাষ্ট্র কাঠামো এবং অর্থনীতির আরও ক্ষতি সাধনের আগেই তাদেরকে সঙ্কটের দ্রুত নিরসনে একটি ব্যাপকভিত্তিক স্ট্র্যাটেজি অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে।
নিবন্ধকার আইমান আইযাজ এ পর্যায়ে উল্লেখ করেন যে, পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে বিরোধী দল ও সরকারের মধ্যে অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে গঠনমূলক সংলাপ দরকার। এজন্য একটি অংশগ্রহণমূলক, সহিষ্ণু ও গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই মতপার্থক্য নিরসন করতে হবে। রাষ্ট্র কাঠামো এবং অর্থনীতির আরও ক্ষতি সাধনের আগেই তাদেরকে সঙ্কটের দ্রুত নিরসনে একটি ব্যাপকভিত্তিক স্ট্র্যাটেজি অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে।
No comments