বিএনপির নজর এখন ঢাকায় by মঈন উদ্দিন খান
টানা
অবরোধ-হরতালের মধ্যেই আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করার পরিকল্পনা করছে
বিএনপি। ছক আঁটা হচ্ছে রাজধানী ঘিরে। ঢাকায় বড় ধরনের গণসমাবেশের মাধ্যমে
শোডাউন করা হতে পারে। চেয়ারপারসনের নির্দেশেই এ কথা ভাবা হচ্ছে বলে
আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি
বিশ্লেষণ করে এ মাসের মধ্যে যেকোনো সময় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে
বলে জানা গেছে। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আন্দোলন প্রশ্নে অনমনীয়
অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। খুব শিগগিরই
আন্দোলনের ফল পাওয়া যাবে এমন ‘বার্তাও’ তার কাছে রয়েছে বলে একাধিক নেতা
জানিয়েছেন।
বিএনপির শীর্ষ এক নেতা গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ‘অবরোধ রেখেই আন্দোলনে নতুন মাত্রা দেয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে; কিন্তু সরকার মুখে বললেও বিএনপিকে স্বাধীনভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেবে না। শর্তে মোড়া কোনো কর্মসূচিতে বিএনপির আগ্রহ নেই। নয়াপল্টনে সমাবেশের ডাক দেয়া হলে জনসমুদ্র তৈরি হবে, যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ ২০ দলের কর্মীদের থাকতে দিতে হবে’।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকে ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ চলছে। ইতোমধ্যে কর্মসূচি দুই মাস পেরিয়ে গেছে। শুক্র-শনি বাদ দিয়ে অবরোধের পাশাপাশি হরতাল চলছে পাঁচ সপ্তাহ ধরে। আজ পর্যন্ত ২৮ দিন হরতাল পালন করা হয়েছে। দুই মাসে সারা দেশে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১১৬ জন। এদের বেশির ভাগই সাধারণ ও নিরীহ মানুষ। পুলিশের গুলিতে কিংবা সংঘর্ষে আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছেন অথবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, এ অবস্থায় বিএনপির সামনে আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনে মার্চজুড়েও হরতাল-অবরোধ চলবে।
সঙ্কট নিরসনে কূটনৈতিক তৎপরতাকেও স্বাগত জানাচ্ছে বিএনপি। সঙ্কট দ্রুত সমাধান হবে, এমন আশাবাদীও তারা। দলটির নেতারা মনে করছেন, চলমান আন্দোলন সফলতার দিকে যাচ্ছে। শীর্ষ নেতাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা, সিনিয়র নেতাদের কারাগারে নিপে, হামলা-মামলা, গুম, খুন, ক্রসফায়ার, ট্রাক-বাসের চাপায় মেরে ফেলার হুমকির মধ্যেও আন্দোলন দুই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। সারা দেশ থেকে এখন ঢাকা বিচ্ছিন্ন। এত দিন রাজপথে টিকে থাকাটাই প্রথম সফলতা। এ ছাড়া সুশীলসমাজ ও বহির্বিশ্বের সমর্থন সফলতার আরেক দিক। নেতারা বলছেন, তাদের এ আন্দোলন শুরুর মূল লক্ষ্য ছিলÑ নতুন নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা। দেশ-বিদেশে ইতোমধ্যে এ দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের কাছে এটা এখন পরিষ্কার যে, ৫ জানুয়ারি একটি বিতর্কিত নির্বাচনের পরও সরকার সংলাপে আন্তরিক নয়। আর এ কারণেই আন্দোলনে থাকতে বাধ্য হচ্ছে বিএনপি।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কূটনৈতিক তৎপরতায় আশাবাদী হয়ে কর্মসূচি থেকে সরছে না ২০ দল, বরং নতুন কৌশলে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঢাকায় আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত নেতারা প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে কথা বলে রাজধানীতে আন্দোলনের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। গণমিছিলের ঘোষণা দিয়ে সপ্তাহে দু’দিন নেতাকর্মীদের মাঠে নামানো হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়ছে।
দলের এক নেতা বলেছেন, সরকারকে ‘স্পেস’ দেয়ার পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা প্রমাণ করতেই অবরোধ বহাল রেখে সমাবেশের ডাক দেয়া হতে পারে। যদি সরকার সমাবেশ করতে না দেয়, কিংবা সমাবেশ থেকে দেয়া ‘বার্তা’ মেনে না নেয় তাহলে পরের সপ্তাহেই আবারো টানা হরতাল দেয়া হবে। এভাবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলতেই থাকবে।
জানা গেছে, তৃণমূলের নেতারাও ঢাকায় আন্দোলনের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। তারা বলছেন, ‘তৃণমূলের নেতারা জানবাজি রেখে ধৈর্য ধরে আন্দোলন করছেন। সরকারকে চাপে ফেলতে হলে ঢাকায়ও আন্দোলনের গতি আরো বাড়াতে হবে।’
বিএনপির শীর্ষ এক নেতা গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ‘অবরোধ রেখেই আন্দোলনে নতুন মাত্রা দেয়ার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে; কিন্তু সরকার মুখে বললেও বিএনপিকে স্বাধীনভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেবে না। শর্তে মোড়া কোনো কর্মসূচিতে বিএনপির আগ্রহ নেই। নয়াপল্টনে সমাবেশের ডাক দেয়া হলে জনসমুদ্র তৈরি হবে, যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ ২০ দলের কর্মীদের থাকতে দিতে হবে’।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের ডাকে ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধ চলছে। ইতোমধ্যে কর্মসূচি দুই মাস পেরিয়ে গেছে। শুক্র-শনি বাদ দিয়ে অবরোধের পাশাপাশি হরতাল চলছে পাঁচ সপ্তাহ ধরে। আজ পর্যন্ত ২৮ দিন হরতাল পালন করা হয়েছে। দুই মাসে সারা দেশে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১১৬ জন। এদের বেশির ভাগই সাধারণ ও নিরীহ মানুষ। পুলিশের গুলিতে কিংবা সংঘর্ষে আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছেন অথবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, এ অবস্থায় বিএনপির সামনে আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনে মার্চজুড়েও হরতাল-অবরোধ চলবে।
সঙ্কট নিরসনে কূটনৈতিক তৎপরতাকেও স্বাগত জানাচ্ছে বিএনপি। সঙ্কট দ্রুত সমাধান হবে, এমন আশাবাদীও তারা। দলটির নেতারা মনে করছেন, চলমান আন্দোলন সফলতার দিকে যাচ্ছে। শীর্ষ নেতাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা, সিনিয়র নেতাদের কারাগারে নিপে, হামলা-মামলা, গুম, খুন, ক্রসফায়ার, ট্রাক-বাসের চাপায় মেরে ফেলার হুমকির মধ্যেও আন্দোলন দুই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। সারা দেশ থেকে এখন ঢাকা বিচ্ছিন্ন। এত দিন রাজপথে টিকে থাকাটাই প্রথম সফলতা। এ ছাড়া সুশীলসমাজ ও বহির্বিশ্বের সমর্থন সফলতার আরেক দিক। নেতারা বলছেন, তাদের এ আন্দোলন শুরুর মূল লক্ষ্য ছিলÑ নতুন নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা। দেশ-বিদেশে ইতোমধ্যে এ দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়েছে। কূটনৈতিক মহলের কাছে এটা এখন পরিষ্কার যে, ৫ জানুয়ারি একটি বিতর্কিত নির্বাচনের পরও সরকার সংলাপে আন্তরিক নয়। আর এ কারণেই আন্দোলনে থাকতে বাধ্য হচ্ছে বিএনপি।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কূটনৈতিক তৎপরতায় আশাবাদী হয়ে কর্মসূচি থেকে সরছে না ২০ দল, বরং নতুন কৌশলে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঢাকায় আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত নেতারা প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে কথা বলে রাজধানীতে আন্দোলনের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। গণমিছিলের ঘোষণা দিয়ে সপ্তাহে দু’দিন নেতাকর্মীদের মাঠে নামানো হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়ছে।
দলের এক নেতা বলেছেন, সরকারকে ‘স্পেস’ দেয়ার পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা প্রমাণ করতেই অবরোধ বহাল রেখে সমাবেশের ডাক দেয়া হতে পারে। যদি সরকার সমাবেশ করতে না দেয়, কিংবা সমাবেশ থেকে দেয়া ‘বার্তা’ মেনে না নেয় তাহলে পরের সপ্তাহেই আবারো টানা হরতাল দেয়া হবে। এভাবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলতেই থাকবে।
জানা গেছে, তৃণমূলের নেতারাও ঢাকায় আন্দোলনের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। তারা বলছেন, ‘তৃণমূলের নেতারা জানবাজি রেখে ধৈর্য ধরে আন্দোলন করছেন। সরকারকে চাপে ফেলতে হলে ঢাকায়ও আন্দোলনের গতি আরো বাড়াতে হবে।’
No comments