শামীমার যুদ্ধজয় ও একজন রইসুল by আসাদুল্লাহ্ সরকার
জমিজমা
থেকে বঞ্চিত করতে মাত্র ১২ বছর বয়সে শামীমা আকতারকে একজন নিরক্ষর
কৃষিশ্রমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন সৎভাইয়েরা। কিন্তু তাঁদের ‘দুরভিসন্ধি’
ব্যর্থ করে দিয়েছেন শামীমা। বিয়ের ১২ বছর পর তিন সন্তানের মা হয়ে তিনি
লেখাপড়া শুরু করেন। পাশাপাশি নিজেও গত বছর দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে বাংলা
সাহিত্যে এমএ পাস করেছেন। এর মধ্যে সন্তানদের দুজনকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত
করেছেন।
দিনাজপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সহব্বতপুর উত্তরপাড়া গ্রামে শামীমাদের বাড়ি। স্বামীর নাম মো. রইসুল ইসলাম (৫৪)। পাড়ার মাঝখানে মাত্র সাড়ে তিন শতক জমির ওপরে আধা পাকা বাড়িটিতে একটিমাত্র ঘর। এখন অবশ্য এর পশ্চিম পাশ ঘেঁষে ইটের দেয়াল দিয়ে আরও দুটি ঘর তোলা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সেই বাড়িতেই কথা হয় শামীমা ও তাঁর স্বামী রইসুল ইসলাম এবং বড় মেয়ে রুবিনা আকতারের (২২) সঙ্গে। রুবিনা জানান, তাঁরা দুই বোন ও এক ভাই। রুবিনা দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা পাস করেছেন। চাকরি করছেন ঢাকায় ক্রাউন সিমেন্ট কোম্পানিতে। ছোট বোন রূপসানা পারভীন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদে তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। তাঁদের ভাই মো. আবদুল জব্বার শহরের নূরজাহান কামিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর আলিম পরীক্ষা দেবেন।
প্রথম আলোর সঙ্গে আলোচনায় রইসুল ইসলাম বললেন, সন্তানদের লেখাপড়া করে বড় করে তোলার পুরো কৃতিত্ব স্ত্রী শামীমার। তিনি বললেন, ‘নিজে প্রাইমারি পাস করতে পারিনি। বউ এমএ পাস করেছে। কতজনে কত কথা বলেছে। নিজে পড়ালেখা করিসনি, বউ শিক্ষিত হলে সে কি আর ঘরে থাকবে?’
রইসুল জানান, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতক বাড়িভিটা ছাড়া নিজের কোনো জমি নেই। গ্রামের অবস্থাপন্ন কৃষকদের জমি বর্গা নিয়ে সারা বছর নানা সবজি চাষ করে সংসার চালাচ্ছেন।
শামীমা আকতার বললেন, বাবা মরহুম আবদুল মোন্নাফ সরকার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল গ্রামের অবস্থাপন্ন কৃষক ছিলেন। গ্রামে ৬০ বিঘা জমি। ফুলবাড়ী শহরে বাসা। দুই স্ত্রীর মধ্যে শামীমার মা উম্মে হানি দ্বিতীয়। শামীমারা পাঁচ বোন। বড় মায়ের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বৃদ্ধ বাবার অসুস্থতার সুবাদে ভাইয়েরা ছোট মায়ের পাঁচ মেয়ের পড়ালেখায় বাদ সাধেন।
শামীমা জানান, বড় তিন ভাইয়ের মধ্যে দুজন ফুলবাড়ী শহরে ও একজন দিনাজপুর শহরে থাকতেন। বাবাকে ভুল বুঝিয়ে এই ভাইয়েরা একে একে শামীমাদের পাঁচ বোনকেই দূর গাঁয়ের নিরক্ষর দরিদ্র পরিবারের অসহায় ছেলে দেখে দেখে বিয়ে দিয়েছেন। বাবাকে বুঝিয়েছিলেন, পড়ালেখা শিখলে মেয়েরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে। আসল উদ্দেশ্য ছিল বাবার জমিজমার ভাগ থেকে বঞ্চিত করা।
১৯৮৭ সালে ফুলবাড়ী শহরের সুজাপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করেন শামীমা। বড় ভাই রাইস মিল মালিক মেহেদুল ইসলামের পরিবার থাকে দিনাজপুর শহরের পুলহাট এলাকায়। নবম শ্রেণির বই কেনার নাম করে স্কুলড্রেস পরিয়ে শামীমাকে দিনাজপুরে নিয়ে আসেন তিনি। রাত তিনটায় বিয়ে দেন ভূমিহীন বর্গাচাষি রইসুলের সঙ্গে।
রইসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সংবাদ জানার পর শ্বশুর মোন্নাফ সরকার অনেকবার বিয়ে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এক বছর পর পাড়ার মুরব্বিদের চেষ্টায় তিনি ওই বিয়ে মেনে নেন।
বিয়ের পর দুই মেয়ে ও এক ছেলের জন্ম হয় শামীমা-রইসুল দম্পতির। ১৯৯৮ সালে শামীমা স্থানীয় চেরাডাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। তখন মহব্বতপুর গ্রামে বাড়ির পাশে সুকানদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বড় মেয়ে রুবিনা পঞ্চম শ্রেণিতে ও ছোট মেয়ে রূপসানা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। শিশুপুত্র আবদুল জব্বার আর সংসারের কাজের চাপে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না শামীমার। অনুপস্থিতির কারণে বিদ্যালয়ের খাতা থেকে নাম কাটা যায় তাঁর। পরের বছর ভর্তি হলেন পার্বতীপুর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে বড় বোনের মেয়ে খুরশিদা আকতারের সঙ্গে আমবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে।
দুঃখ করে শামীমা বললেন, ১৯৮৭ সালে ফুলবাড়ী সুজাপুর স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করলেও ১৯৯৮ সালে আমবাড়ী স্কুলে একই শ্রেণিতে ভর্তির প্রয়োজনে টিসি দেয়নি সুজাপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ।
২০০৪ সালে আমবাড়ী স্কুল থেকে শামীমা এসএসসি পাস করেন। ২০০৬ সালে দিনাজপুর শহরের কেবিএম কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসি পাস করার পর বাংলায় সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি কলেজে। বড় মেয়ে রুবিনা তখন দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আর ছোট মেয়ে রূপসানা দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস হাইস্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোগিতায় ঢাকা হলিক্রস কলেজে পড়ে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটের কারণে শামীমা আকতারকে ২০১০ সালের সম্মান পরীক্ষা দিতে হয় ২০১২ সালে, আর মাস্টার্স পরীক্ষা দেন ২০১৪ সালে। অনার্স ও মাস্টার্স দুটিতেই দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। বড় মেয়ে রুবিনা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে তখন চাকরি খুঁজছেন। ছোট মেয়ে রূপসানা পারভীন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিভিএম অনুষদে তৃতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এখনো রূপসানার পড়ালেখায় আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।
শামীমা আকতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বামী আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আর নয়। এবার আমি একটা চাকরি করতে চাই। নিজেই সংসার চালাতে চাই। স্বামী বাড়িতে দুধের গরু-বাছুর দেখবেন। নিয়মিত মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। আর কিছু নয়।’
দিনাজপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সহব্বতপুর উত্তরপাড়া গ্রামে শামীমাদের বাড়ি। স্বামীর নাম মো. রইসুল ইসলাম (৫৪)। পাড়ার মাঝখানে মাত্র সাড়ে তিন শতক জমির ওপরে আধা পাকা বাড়িটিতে একটিমাত্র ঘর। এখন অবশ্য এর পশ্চিম পাশ ঘেঁষে ইটের দেয়াল দিয়ে আরও দুটি ঘর তোলা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সেই বাড়িতেই কথা হয় শামীমা ও তাঁর স্বামী রইসুল ইসলাম এবং বড় মেয়ে রুবিনা আকতারের (২২) সঙ্গে। রুবিনা জানান, তাঁরা দুই বোন ও এক ভাই। রুবিনা দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা পাস করেছেন। চাকরি করছেন ঢাকায় ক্রাউন সিমেন্ট কোম্পানিতে। ছোট বোন রূপসানা পারভীন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদে তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। তাঁদের ভাই মো. আবদুল জব্বার শহরের নূরজাহান কামিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর আলিম পরীক্ষা দেবেন।
প্রথম আলোর সঙ্গে আলোচনায় রইসুল ইসলাম বললেন, সন্তানদের লেখাপড়া করে বড় করে তোলার পুরো কৃতিত্ব স্ত্রী শামীমার। তিনি বললেন, ‘নিজে প্রাইমারি পাস করতে পারিনি। বউ এমএ পাস করেছে। কতজনে কত কথা বলেছে। নিজে পড়ালেখা করিসনি, বউ শিক্ষিত হলে সে কি আর ঘরে থাকবে?’
রইসুল জানান, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতক বাড়িভিটা ছাড়া নিজের কোনো জমি নেই। গ্রামের অবস্থাপন্ন কৃষকদের জমি বর্গা নিয়ে সারা বছর নানা সবজি চাষ করে সংসার চালাচ্ছেন।
শামীমা আকতার বললেন, বাবা মরহুম আবদুল মোন্নাফ সরকার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল গ্রামের অবস্থাপন্ন কৃষক ছিলেন। গ্রামে ৬০ বিঘা জমি। ফুলবাড়ী শহরে বাসা। দুই স্ত্রীর মধ্যে শামীমার মা উম্মে হানি দ্বিতীয়। শামীমারা পাঁচ বোন। বড় মায়ের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। বৃদ্ধ বাবার অসুস্থতার সুবাদে ভাইয়েরা ছোট মায়ের পাঁচ মেয়ের পড়ালেখায় বাদ সাধেন।
শামীমা জানান, বড় তিন ভাইয়ের মধ্যে দুজন ফুলবাড়ী শহরে ও একজন দিনাজপুর শহরে থাকতেন। বাবাকে ভুল বুঝিয়ে এই ভাইয়েরা একে একে শামীমাদের পাঁচ বোনকেই দূর গাঁয়ের নিরক্ষর দরিদ্র পরিবারের অসহায় ছেলে দেখে দেখে বিয়ে দিয়েছেন। বাবাকে বুঝিয়েছিলেন, পড়ালেখা শিখলে মেয়েরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে। আসল উদ্দেশ্য ছিল বাবার জমিজমার ভাগ থেকে বঞ্চিত করা।
১৯৮৭ সালে ফুলবাড়ী শহরের সুজাপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করেন শামীমা। বড় ভাই রাইস মিল মালিক মেহেদুল ইসলামের পরিবার থাকে দিনাজপুর শহরের পুলহাট এলাকায়। নবম শ্রেণির বই কেনার নাম করে স্কুলড্রেস পরিয়ে শামীমাকে দিনাজপুরে নিয়ে আসেন তিনি। রাত তিনটায় বিয়ে দেন ভূমিহীন বর্গাচাষি রইসুলের সঙ্গে।
রইসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সংবাদ জানার পর শ্বশুর মোন্নাফ সরকার অনেকবার বিয়ে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এক বছর পর পাড়ার মুরব্বিদের চেষ্টায় তিনি ওই বিয়ে মেনে নেন।
বিয়ের পর দুই মেয়ে ও এক ছেলের জন্ম হয় শামীমা-রইসুল দম্পতির। ১৯৯৮ সালে শামীমা স্থানীয় চেরাডাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। তখন মহব্বতপুর গ্রামে বাড়ির পাশে সুকানদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বড় মেয়ে রুবিনা পঞ্চম শ্রেণিতে ও ছোট মেয়ে রূপসানা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। শিশুপুত্র আবদুল জব্বার আর সংসারের কাজের চাপে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না শামীমার। অনুপস্থিতির কারণে বিদ্যালয়ের খাতা থেকে নাম কাটা যায় তাঁর। পরের বছর ভর্তি হলেন পার্বতীপুর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে বড় বোনের মেয়ে খুরশিদা আকতারের সঙ্গে আমবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে।
দুঃখ করে শামীমা বললেন, ১৯৮৭ সালে ফুলবাড়ী সুজাপুর স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করলেও ১৯৯৮ সালে আমবাড়ী স্কুলে একই শ্রেণিতে ভর্তির প্রয়োজনে টিসি দেয়নি সুজাপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ।
২০০৪ সালে আমবাড়ী স্কুল থেকে শামীমা এসএসসি পাস করেন। ২০০৬ সালে দিনাজপুর শহরের কেবিএম কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসি পাস করার পর বাংলায় সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি কলেজে। বড় মেয়ে রুবিনা তখন দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আর ছোট মেয়ে রূপসানা দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস হাইস্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের সহযোগিতায় ঢাকা হলিক্রস কলেজে পড়ে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজটের কারণে শামীমা আকতারকে ২০১০ সালের সম্মান পরীক্ষা দিতে হয় ২০১২ সালে, আর মাস্টার্স পরীক্ষা দেন ২০১৪ সালে। অনার্স ও মাস্টার্স দুটিতেই দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। বড় মেয়ে রুবিনা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে তখন চাকরি খুঁজছেন। ছোট মেয়ে রূপসানা পারভীন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিভিএম অনুষদে তৃতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এখনো রূপসানার পড়ালেখায় আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।
শামীমা আকতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বামী আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আর নয়। এবার আমি একটা চাকরি করতে চাই। নিজেই সংসার চালাতে চাই। স্বামী বাড়িতে দুধের গরু-বাছুর দেখবেন। নিয়মিত মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। আর কিছু নয়।’
No comments