শ্যানন-সীমার অন্যজীবন
বিশ্বের
বেশির ভাগ দেশেই সমলিঙ্গে বিয়ে নিষিদ্ধ। তবে পশ্চিমা কিছু দেশে এ সংস্কৃতি
চালু রয়েছে। শুধু চালু রয়েছে বললে ভুল হবে। সরকার এ বিয়েকে স্বীকৃতি দিতে
আইন পাকা করেছে। ফলে এক নারী তার পছন্দের আরেক নারীকে বিয়ে করছেন পারস্পরিক
প্রেম-ভালবাসার মাধ্যমে। পুরুষের ক্ষেত্রেও ঘটছে তাই। পাশের দেশ ভারতেও
আছে সমলিঙ্গে বিয়ে। তবে তা বিরল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভারতীয়
বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী নাগরিক জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন আরেক নারীকে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম মার্কিনি হিসেবে তিনিই সমলিঙ্গে বিয়ে করলেন। গোপনে
সেই বিয়ে করেন নি ভারতীয় ওই যুবতী সীমা। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবাইকে
আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সাধারণ একটি বিয়ে যেসব আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে
সম্পন্ন হয় এ ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লসঅ্যাঞ্জেলেসে
তাদের ওই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিলম্বে প্রকাশিত হয়েছে খবরটি। তাতে বলা হয়,
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সীমা ও মার্কিন নাগরিক শ্যানন একে অপরের প্রেমে পড়ে যান।
তারা একে অন্যের এত কাছাকাছি চলে আসেন, কাউকে ছাড়া কেউ থাকতে পারছিলেন না।
তাই তারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতরা যখন তাদের
আশীর্বাদে সিক্ত করছিলেন, সঙ্গে সঙ্গে তাদের চোখে কান্নাও ছিল। অতিথিরা
তাদের জন্য বিরল ভালবাসা ও স্নেহপূর্ণ সম্পর্ক প্রত্যাশা করেন। তাদের বিয়ের
ছবি তুলেছিলেন স্টেফ গ্রান্ট। তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ডে লিখেছেন, এমন
বিয়েতে অংশ নেয়ার আশা করছিলাম বছরের পর বছর। শ্যানন ও সীমা আমার কাছে বিশেষ
গুরুত্ব বহন করে। আমাকে তারা বিয়ের ফটোগ্রাফার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এজন্য
আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। বিয়ে শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে আমি বিমানযোগে
লসঅ্যাঞ্জেলেসে উড়ে যাই। সেখানে বন্ধুবান্ধব, পারিবারিক অতিথিতেপূর্ণ এমন
একটি বাড়িতে আমাকে অভিবাদন জানানো হলো। শ্যানন ও সীমার বিয়ে হয়ে গেছে। এখনও
তাদের বিয়ের ছবি ইন্টারনেটে ভরপুর। সামাজিক মিডিয়ায় তো প্রতিদিন দেখা
যাচ্ছেই। বিয়েতে স্বামী যেমন স্ত্রীকে মিষ্টিমুখ করান- শ্যানন ও সীমার
বিয়েতেও তাই হয়েছে। তাদের পুরোহিত দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়েছে।
No comments