রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় রফতানি ৭ ভাগ কমেছে by জিয়াউল হক মিজান
রফতানি বাণিজ্যের ওপর চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে রফতানি হয়েছে জানুয়ারি মাসের তুলনায় ৭ দশমিক শূন্য তিন ভাগ কম। কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও রফতানি ৭ শতাংশ কম। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রফতানির এ চিত্র বছর শেষে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থানের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য রফতানি আয়ের কৌশলগত ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৭০ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে রফতানি হয়েছে ২৫১ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য। অর্থাৎ ল্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কম হয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। তবে গত অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এ রফতানি ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
রফতানির এই নেতিবাচক চিত্র বছর শেষে সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে চাপে ফেলবে আশঙ্কা প্রকাশ করে রফতানিকারকদের ৪২টি সংগঠনের সমন্বয়ে গড়া সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, রফতানির যে চিত্র আসতে শুরু করেছে সেটি হরতাল-অবরোধের প্রাথমিক চিত্রমাত্র। প্রতিদিন যে হারে গাড়ি পুড়ছে, পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে, জাহাজীকরণ বিঘিœত হচ্ছে, বিমানযোগে মাল পাঠাতে হচ্ছে, অর্ডার বাতিল হচ্ছে ও স্টকলট বাড়ছে তাতে বছর শেষে রফতানির একটি হতাশাজনক চিত্রই ফুটে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসের রফতানির এ নেতিবাচক চিত্র প্রভাব ফেলেছে অর্থবছরের সামগ্রিক রফতানির ওপরও। ইপিবি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) জন্য রফতানি আয়ের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল দুই হাজার ১২৮ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার। এ সময়ে রফতানি হয়েছে দুই হাজার ৩১ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ ল্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কম হয়েছে ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যদিও রফতানির এ অর্জন আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।
খাতভিত্তিক রফতানি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত মাসগুলোয় ভালো অবস্থানে থাকা তৈরী পোশাক শিল্প খাতের রফতানিও এ সময় আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ওভেন পোশাকের রফতানি আয় কমেছে ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এ সময়ে কৌশলগত রফতানির ল্যমাত্রা ছিল ৮৭৭ কোটি ১০ হাজার ডলার। প্রকৃতপক্ষে রফতানি হয়েছে ৮৪১ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের ওভেন পণ্য। অন্য দিকে নিট পোশাকের রফতানি আয় কমেছে তিন দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময়ে রফতানির ল্যমাত্রা ছিল ৮৪৭ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ডলারের নিট পণ্য। প্রকৃতপক্ষে রফতানি হয়েছে ৮১৩ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের নিট পণ্য।
ইপিবির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৩-২০১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে প্রথম আট মাসে হিমায়িত খাদ্য রফতানি কমেছে ছয় দশমিক ৩২ শতাংশ। প্রক্রিয়াজাত চামড়া রফতানি কমেছে ১৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। বিশেষায়িত টেক্সটাইল খাতে ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, সিরামিক পণ্যে আট দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং পেট্রলিয়াম রফতানি কমেছে ৬৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে এ সময়ে কৃষি, ক্যামিকেল, প্লাস্টিক, পাট ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি বেড়েছে বলে জানায় ইপিবি।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রাজনীতিবিদেরা আমাদের ব্যবসা, বিনিয়োগকে জিম্মি করেছেন। এতে গভীর সঙ্কটে পড়েছে পোশাক শিল্প। কারণ পোশাক শিল্প একটি ইমেজনির্ভর আন্তর্জাতিক শিল্প, যার ক্রেতারা বিদেশী। এই ক্রেতারা যখন দেখেন, এখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই, জানমালের নিরাপত্তা নেই, তখন তারা অর্ডার দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে ২০১৩ সালের মতো আবারো ক্রেতাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন সালাম মুর্শেদি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য রফতানি আয়ের কৌশলগত ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৭০ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে রফতানি হয়েছে ২৫১ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য। অর্থাৎ ল্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কম হয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। তবে গত অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এ রফতানি ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
রফতানির এই নেতিবাচক চিত্র বছর শেষে সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে চাপে ফেলবে আশঙ্কা প্রকাশ করে রফতানিকারকদের ৪২টি সংগঠনের সমন্বয়ে গড়া সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, রফতানির যে চিত্র আসতে শুরু করেছে সেটি হরতাল-অবরোধের প্রাথমিক চিত্রমাত্র। প্রতিদিন যে হারে গাড়ি পুড়ছে, পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে, জাহাজীকরণ বিঘিœত হচ্ছে, বিমানযোগে মাল পাঠাতে হচ্ছে, অর্ডার বাতিল হচ্ছে ও স্টকলট বাড়ছে তাতে বছর শেষে রফতানির একটি হতাশাজনক চিত্রই ফুটে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসের রফতানির এ নেতিবাচক চিত্র প্রভাব ফেলেছে অর্থবছরের সামগ্রিক রফতানির ওপরও। ইপিবি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) জন্য রফতানি আয়ের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল দুই হাজার ১২৮ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার। এ সময়ে রফতানি হয়েছে দুই হাজার ৩১ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ ল্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কম হয়েছে ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যদিও রফতানির এ অর্জন আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।
খাতভিত্তিক রফতানি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত মাসগুলোয় ভালো অবস্থানে থাকা তৈরী পোশাক শিল্প খাতের রফতানিও এ সময় আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ওভেন পোশাকের রফতানি আয় কমেছে ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এ সময়ে কৌশলগত রফতানির ল্যমাত্রা ছিল ৮৭৭ কোটি ১০ হাজার ডলার। প্রকৃতপক্ষে রফতানি হয়েছে ৮৪১ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের ওভেন পণ্য। অন্য দিকে নিট পোশাকের রফতানি আয় কমেছে তিন দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময়ে রফতানির ল্যমাত্রা ছিল ৮৪৭ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ডলারের নিট পণ্য। প্রকৃতপক্ষে রফতানি হয়েছে ৮১৩ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের নিট পণ্য।
ইপিবির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৩-২০১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে প্রথম আট মাসে হিমায়িত খাদ্য রফতানি কমেছে ছয় দশমিক ৩২ শতাংশ। প্রক্রিয়াজাত চামড়া রফতানি কমেছে ১৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। বিশেষায়িত টেক্সটাইল খাতে ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, সিরামিক পণ্যে আট দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং পেট্রলিয়াম রফতানি কমেছে ৬৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে এ সময়ে কৃষি, ক্যামিকেল, প্লাস্টিক, পাট ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি বেড়েছে বলে জানায় ইপিবি।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রাজনীতিবিদেরা আমাদের ব্যবসা, বিনিয়োগকে জিম্মি করেছেন। এতে গভীর সঙ্কটে পড়েছে পোশাক শিল্প। কারণ পোশাক শিল্প একটি ইমেজনির্ভর আন্তর্জাতিক শিল্প, যার ক্রেতারা বিদেশী। এই ক্রেতারা যখন দেখেন, এখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই, জানমালের নিরাপত্তা নেই, তখন তারা অর্ডার দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে ২০১৩ সালের মতো আবারো ক্রেতাদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন সালাম মুর্শেদি।
No comments