সব বাধা ভেঙে এগিয়ে যেতে হবে নারীকে
প্রতিবন্ধকতা
জয় করেই এগিয়ে চলেছেন এ দেশের নারীরা। আকাশে বিমান ওড়াচ্ছেন। হিমালয়ের
চূড়ায় উঠছেন। শক্ত হাতে ঘোরাচ্ছেন অর্থনীতির চাকা। অথচ রাজনৈতিক সহিংসতায়
অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরাও। এ
অবস্থার মধ্যেই সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনেক প্রতিশ্রুতি ও প্রত্যয়
নিয়ে গতকাল রোববার উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সর্বত্র একই কথা
উচ্চারিত হয়েছে, লাখো কণ্ঠস্বরে ধ্বনিত হয়েছে এক কথা, যার মূল বার্তা,
'নারীর ক্ষমতায়ন, মানবতার উন্নয়ন'। শত বাধা ভেঙে এগিয়ে যেতে হবে নারীকে।
এখনই আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন দরকার, মানবতা
সুপ্রতিষ্ঠিত করার বৃহত্তর স্বার্থে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের নানা আয়োজনে
বক্তারা নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি সহিংসতামুক্ত মানবিক রাজনীতি
প্রতিষ্ঠারও দাবি জানিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে 'সহিংসতামুক্ত মানবিক রাজনীতি চাই, রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণীর সকল পর্যায়ে নারী-পুরুষের সমঅংশীদারিত্ব চাই' স্লোগান সামনে রেখে ৬৮টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি সমাবেশের আয়োজন করে। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ শত প্রতিকূলতার মাঝেও যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখছে তার অন্যতম কারণ উন্নয়নের সর্বক্ষেত্রে নারীর সমঅংশগ্রহণ। অথচ ঘরে-বাইরে নারীর এই অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি নেই। নারী একদিকে কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতা, মজুরিবৈষম্যসহ নানাবিধ শোষণ-বঞ্চনার শিকার, অন্যদিকে উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদী একটি মহল নারীবিরোধী নানা অযৌক্তিক, অসাংবিধানিক দাবি তুলে নারীর অগ্রযাত্রার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর
চেষ্টা করছে। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ, নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি হাজেরা সুলতানা, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি পরিচালক শীপা হাফিজা, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী সদস্য উম্মে হাসান, আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহমেদ খান, হিল উইমেন্স ফেডারেশন সভাপতি চঞ্চনা চাকমা, ব্র্যাকের প্রতিনিধি চিররঞ্জন সরকার, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের মহুয়া পাল, দলিত নারী ফোরামের সভাপতি মনি রানী দাস প্রমুখ।
ঘোষণা পাঠ করেন দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার দিলীপ কুমার সরকার। সমাবেশের শুরুতে রাজনীতির নামে সহিংসতায় নারী-শিশুসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রার পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে 'নারীর কথা-১০' নামক জার্নালের মোড়ক উন্মোচন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিভাবান ৯ নারীকে সম্মাননা দিয়েছে ক্যানভাস।
দিবসটি উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে 'ব্র্যাক বাংলাদেশ'। গতকাল মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ব্র্যাকের চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীদের 'প্রাণ খুলে কথা বলা' অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
'গৃহশ্রমিকদের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তার আইন চাই' স্লোগান নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাবেশ করেছে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ইসরাফিল আলম, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, অক্সফামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার অ্যান্ড অ্যাক্টিং সিডি মোহাম্মদ এম বি আখতার, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ জাফরুল হাসান শরীফ প্রমুখ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রায় নারী সদস্য ছাড়াও সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুরসালিন নোমানীসহ সদস্যরা অংশ নেন।
'অভিবাসী নারী শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষা' শীর্ষক মতবিনিময় সভা করেছে ওয়্যারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ অভিবাসী অধিকার ফোরাম।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে মুক্তির সংগ্রাম গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, আওয়াজ ফাউন্ডেশন, জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন, মানবাধিকার ঐক্যজোট বাংলাদেশ, দলিত নারী ফেডারেশন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, সংযুক্ত মহিলা পরিষদ।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় নারী জোটের আলোচনা সভা। সভায় বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাংসদ লুৎফা তাহের, পেশাজীবী নারী সমাজের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম।
নারীর বিয়ের নূ্যনতম বয়স নিয়ে সরকারের 'পুরুষতান্ত্রিক' দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেছে বিপ্লবী নারী সংহতি। হাজারীবাগের ট্যানারি মোড়ে মানববন্ধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি সিবিএর সহযোগিতায় নারী সমাবেশ করেছে টিডিএস। সিবিএ নেত্রী সুলতান আরা বেগম শিল্পীর সভাপতিত্বে টিডিএসের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মো. নুরুজ্জামান, আসলাম খান, শান্তিরঞ্জন সরকার, শিরীন আরা বেগম, মাহিনুর হক প্রমুখ।
নারীর অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকার জেলা জজ এসএম কুদ্দুস জামান। জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে এবং সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ, মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক অ্যাডভোকেট তৌহিদা খন্দকার, সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসিনা রশিদ, তানজিনা আজিজ, সীমা জহুর, ফাহমিদা আকতার রিংকী, ফারহানা রহমান প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে বিসিএস উইমেন্স নেটওয়ার্কের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রোববার বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএস উইমেন্স নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার হোসাইন।
এদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে 'সহিংসতামুক্ত মানবিক রাজনীতি চাই, রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণীর সকল পর্যায়ে নারী-পুরুষের সমঅংশীদারিত্ব চাই' স্লোগান সামনে রেখে ৬৮টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি সমাবেশের আয়োজন করে। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ শত প্রতিকূলতার মাঝেও যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখছে তার অন্যতম কারণ উন্নয়নের সর্বক্ষেত্রে নারীর সমঅংশগ্রহণ। অথচ ঘরে-বাইরে নারীর এই অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি নেই। নারী একদিকে কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতা, মজুরিবৈষম্যসহ নানাবিধ শোষণ-বঞ্চনার শিকার, অন্যদিকে উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদী একটি মহল নারীবিরোধী নানা অযৌক্তিক, অসাংবিধানিক দাবি তুলে নারীর অগ্রযাত্রার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর
চেষ্টা করছে। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ, নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি হাজেরা সুলতানা, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি পরিচালক শীপা হাফিজা, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী সদস্য উম্মে হাসান, আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহমেদ খান, হিল উইমেন্স ফেডারেশন সভাপতি চঞ্চনা চাকমা, ব্র্যাকের প্রতিনিধি চিররঞ্জন সরকার, স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের মহুয়া পাল, দলিত নারী ফোরামের সভাপতি মনি রানী দাস প্রমুখ।
ঘোষণা পাঠ করেন দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার দিলীপ কুমার সরকার। সমাবেশের শুরুতে রাজনীতির নামে সহিংসতায় নারী-শিশুসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রার পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার কক্ষে 'নারীর কথা-১০' নামক জার্নালের মোড়ক উন্মোচন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিভাবান ৯ নারীকে সম্মাননা দিয়েছে ক্যানভাস।
দিবসটি উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে 'ব্র্যাক বাংলাদেশ'। গতকাল মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ব্র্যাকের চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীদের 'প্রাণ খুলে কথা বলা' অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
'গৃহশ্রমিকদের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তার আইন চাই' স্লোগান নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সমাবেশ করেছে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ইসরাফিল আলম, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, অক্সফামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার অ্যান্ড অ্যাক্টিং সিডি মোহাম্মদ এম বি আখতার, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ জাফরুল হাসান শরীফ প্রমুখ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রায় নারী সদস্য ছাড়াও সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুরসালিন নোমানীসহ সদস্যরা অংশ নেন।
'অভিবাসী নারী শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষা' শীর্ষক মতবিনিময় সভা করেছে ওয়্যারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ অভিবাসী অধিকার ফোরাম।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে মুক্তির সংগ্রাম গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, আওয়াজ ফাউন্ডেশন, জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন, মানবাধিকার ঐক্যজোট বাংলাদেশ, দলিত নারী ফেডারেশন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, সংযুক্ত মহিলা পরিষদ।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় নারী জোটের আলোচনা সভা। সভায় বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাংসদ লুৎফা তাহের, পেশাজীবী নারী সমাজের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম।
নারীর বিয়ের নূ্যনতম বয়স নিয়ে সরকারের 'পুরুষতান্ত্রিক' দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেছে বিপ্লবী নারী সংহতি। হাজারীবাগের ট্যানারি মোড়ে মানববন্ধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি সিবিএর সহযোগিতায় নারী সমাবেশ করেছে টিডিএস। সিবিএ নেত্রী সুলতান আরা বেগম শিল্পীর সভাপতিত্বে টিডিএসের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মো. নুরুজ্জামান, আসলাম খান, শান্তিরঞ্জন সরকার, শিরীন আরা বেগম, মাহিনুর হক প্রমুখ।
নারীর অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকার জেলা জজ এসএম কুদ্দুস জামান। জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে এবং সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ, মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক অ্যাডভোকেট তৌহিদা খন্দকার, সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসিনা রশিদ, তানজিনা আজিজ, সীমা জহুর, ফাহমিদা আকতার রিংকী, ফারহানা রহমান প্রমুখ।
দিবসটি উপলক্ষে বিসিএস উইমেন্স নেটওয়ার্কের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রোববার বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিএস উইমেন্স নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার হোসাইন।
এদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, বগুড়া, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়েছে।
No comments