নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরাইলে বিক্ষোভ
ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে শনিবার পরিবর্তনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে কয়েক হাজার মানুষ। দেশটির সাধারণ নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন আগে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হল। তৃণমূল সংগঠন মিলিয়ন হ্যান্ডস এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। সংগঠনটি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তিচুক্তির জন্য প্রচারণা চালিয়ে আসছে। পুলিশ জানায়, নগরীর আইজ্যাক রবিন স্কয়ারে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভ করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নামে এই স্কয়ারের নামকরণ করা হয়। ১৯৯৫ সালে একটি শান্তি মিছিল চলাকালে তিনি এই স্থানে নিহত হন। আয়োজকরা দুবার জানিয়েছে, মিছিলে বিপুল লোকের সমাগম হয়েছে। খবর এএফপির। আয়োজক ডোর বেন অ্যামি এএফপিকে বলেন, যেসব ইসরাইলি নাগরিক রাজনীতিতে পরিবর্তনের দাবি করছে এবং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি চাইছে, তারাই এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও সরকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারেনি। ইসরাইলে ১৭ মার্চ নির্বাচনের আগে এটা নেতানিয়াহুবিরোধী সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ মিছিল। বেন বলেন, বামপন্থী দল আবার ক্ষমতায় আসবে বলে আমরা আশা করছি।
এদিকে, এ গণর্যালির প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই র্যালি আসন্ন নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। আগামী ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে এটি প্রতিপক্ষেরই একটি নির্বাচনী প্রচারণা। লিকুদ পার্টির এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তেল আবিবে এই র্যালি লিকুদ পার্টিবিরোধী বামদের প্রচারণারই একটি অংশ। আর এতে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ডানপন্থী সংসদকে ভেঙে বামপন্থীদের ক্ষমতায় বসাতেই এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিবাদ সমাবেশটি এমনই এক সময় অনুষ্ঠিত হল যার মাত্র কয়েকদিন আগে আমেরিকার কংগ্রেসে নেতানিয়াহু ইরানবিরোধী বক্তব্য দেন এবং সেখানে আমেরিকারও কড়া সমালোচনা করেন। সেই বক্তৃতায় তিনি ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচির ব্যাপারে আমেরিকার পদক্ষেপকে একটি অত্যন্ত খারাপ বোঝাপড়া হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এদিকে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইরান এবং পি৫+১ গ্র“প হিসেবে খ্যাত রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির প্রতি বিতর্কিত অবস্থানের কারণে নেতানিয়াহু বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছেন। এএফপি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও সরকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারেনি। ইসরাইলে ১৭ মার্চ নির্বাচনের আগে এটা নেতানিয়াহুবিরোধী সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ মিছিল। বেন বলেন, বামপন্থী দল আবার ক্ষমতায় আসবে বলে আমরা আশা করছি।
এদিকে, এ গণর্যালির প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই র্যালি আসন্ন নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। আগামী ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে এটি প্রতিপক্ষেরই একটি নির্বাচনী প্রচারণা। লিকুদ পার্টির এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তেল আবিবে এই র্যালি লিকুদ পার্টিবিরোধী বামদের প্রচারণারই একটি অংশ। আর এতে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ডানপন্থী সংসদকে ভেঙে বামপন্থীদের ক্ষমতায় বসাতেই এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিবাদ সমাবেশটি এমনই এক সময় অনুষ্ঠিত হল যার মাত্র কয়েকদিন আগে আমেরিকার কংগ্রেসে নেতানিয়াহু ইরানবিরোধী বক্তব্য দেন এবং সেখানে আমেরিকারও কড়া সমালোচনা করেন। সেই বক্তৃতায় তিনি ইরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচির ব্যাপারে আমেরিকার পদক্ষেপকে একটি অত্যন্ত খারাপ বোঝাপড়া হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এদিকে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইরান এবং পি৫+১ গ্র“প হিসেবে খ্যাত রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির প্রতি বিতর্কিত অবস্থানের কারণে নেতানিয়াহু বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছেন। এএফপি।
No comments