এফবিআইয়ের হাতে ১০ সন্দেহভাজনের নাম
অভিজিৎ
রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১০ সন্দেহভাজনের নাম তদন্তে সহযোগিতা করতে আসা
এফবিআইয়ের হাতে দিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। গ্রেপ্তারকৃত
ফারাবির মতো এই ১০ জনও বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিজিৎকে
হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। ফারাবীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ফারাবীর ফেসবুক-ব্লগ এবং
অভিজিতের ফেসবুক ঘেঁটে এসব তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
ফেসবুকে বিভিন্ন পরিচয়ে দেয়া এসব হুমকিদাতার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ
করা হচ্ছে। ফেসবুক থেকে তথ্য সংগ্রহের এই কাজে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সহায়তা
করছে এফবিআই। এছাড়া গতকাল এফবিআইয়ের চার সদস্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত
বিভাগ-সিআইডির ক্রাইম সিন দলের সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঘটনার পরপরই
সিআইডির ক্রাইম সিনের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহের পর
পরীক্ষা করছিল। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও যুগ্ম কমিশনার (ডিবি)
মনিরুল ইসলাম জানান, দশ সন্দেহভাজনের একটি তালিকা করা হয়েছে। তাদের
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরিচয় সনাক্তের পর তাদের
গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত কয়েক দিনের তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশ ও বৃহস্পতিবার থেকে তদন্তে সহযোগিতা করতে আসা এফবিআই ধারণা করছে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনও উগ্রপন্থি দলই জড়িত। এ কারণে উগ্রপন্থিদের সামনে রেখেই চলছে তদন্ত। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিজিৎকে গত ৩-৪ বছর ধরেই বিভিন্ন উগ্রপন্থিরা হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এই তালিকায় ছিল গ্রেপ্তারকৃত ফারাবী। ফারাবীর কাছ থেকে নেয়া তথ্য ও তার ফেসবুক-ব্লগ ঘেঁটে সন্দেহভাজনের তালিকা করা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে যে আলামত উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে একটি কালো ব্যাগের ভেতর অন্যান্য আলামতের সঙ্গে একটি ইনজেকশন পাওয়া গিয়েছে। ইনজেকশনের সঙ্গে ‘এন্টি ক্লটিং’ অ্যাম্পুলও ছিল। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ইনজেকশন দেয়া হলে ক্ষত থেকে রক্ত বেরোনো বন্ধ করা যায় না। খুনিদের পরিকল্পনা ছিল যদি অভিজিতের মৃত্যু ছুরিকাঘাতে না হয় তাহলে ইনজেকশন পুশ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, কয়েক মাস আগে মিরপুরের মণিপুর স্কুলের দুই শিক্ষককের হত্যা চেষ্টায় আটককৃতদের কাছেও একই ধরনের ইনজেকশন পাওয়া গিয়েছিল। ওই দুই শিক্ষকদ্বয়ের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীর হিজাব পরা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ছিল। এছাড়া কালো ওই ব্যাগে ডেটলসহ ‘ফাস্ট এইডে’র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল। যাতে হামলাকারীরা কেউ আক্রান্ত হলে তারা সহজেই ফাস্ট এইড নিতে পারে।
সিআইডিতে এফবিআই: এদিকে গতকাল দুপুরে এফবিআইয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল উইলিয়াম ফ্রাঙ্ক, ড্যান ক্লেগ, জাগদি সিং খাংগুরা ও ক্রিস্ট সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় ঘণ্টা খানেক তারা সিআইডি কার্যালয়ে অবস্থান করেন। এসময় তারা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত বিশ্লেষণ করেছেন। মামলার অন্যতম তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির (দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর সংগৃহীত আলামত আমেরিকায় নিয়ে পরীক্ষা করা হতে পারে। এ বিষয়ে আদালতের অনুমতি নিয়েই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘এছাড়া অভিজিৎ রায় যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, ভবিষ্যতে এফবিআই চাইলে তাদের নিজ দেশেও এই ঘটনায় মামলা করতে পারে। তারা তখন যদি আমাদের সহায়তা চায়, আমরা করব।’ তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন গ্রুপ ও লোকজনের প্রতি নজরদারি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অপর একজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছিল। হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতার কোনও তথ্য-প্রমাণ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত কয়েক দিনের তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশ ও বৃহস্পতিবার থেকে তদন্তে সহযোগিতা করতে আসা এফবিআই ধারণা করছে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনও উগ্রপন্থি দলই জড়িত। এ কারণে উগ্রপন্থিদের সামনে রেখেই চলছে তদন্ত। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিজিৎকে গত ৩-৪ বছর ধরেই বিভিন্ন উগ্রপন্থিরা হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এই তালিকায় ছিল গ্রেপ্তারকৃত ফারাবী। ফারাবীর কাছ থেকে নেয়া তথ্য ও তার ফেসবুক-ব্লগ ঘেঁটে সন্দেহভাজনের তালিকা করা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে যে আলামত উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে একটি কালো ব্যাগের ভেতর অন্যান্য আলামতের সঙ্গে একটি ইনজেকশন পাওয়া গিয়েছে। ইনজেকশনের সঙ্গে ‘এন্টি ক্লটিং’ অ্যাম্পুলও ছিল। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এই ইনজেকশন দেয়া হলে ক্ষত থেকে রক্ত বেরোনো বন্ধ করা যায় না। খুনিদের পরিকল্পনা ছিল যদি অভিজিতের মৃত্যু ছুরিকাঘাতে না হয় তাহলে ইনজেকশন পুশ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, কয়েক মাস আগে মিরপুরের মণিপুর স্কুলের দুই শিক্ষককের হত্যা চেষ্টায় আটককৃতদের কাছেও একই ধরনের ইনজেকশন পাওয়া গিয়েছিল। ওই দুই শিক্ষকদ্বয়ের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীর হিজাব পরা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ছিল। এছাড়া কালো ওই ব্যাগে ডেটলসহ ‘ফাস্ট এইডে’র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল। যাতে হামলাকারীরা কেউ আক্রান্ত হলে তারা সহজেই ফাস্ট এইড নিতে পারে।
সিআইডিতে এফবিআই: এদিকে গতকাল দুপুরে এফবিআইয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল উইলিয়াম ফ্রাঙ্ক, ড্যান ক্লেগ, জাগদি সিং খাংগুরা ও ক্রিস্ট সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় ঘণ্টা খানেক তারা সিআইডি কার্যালয়ে অবস্থান করেন। এসময় তারা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত বিশ্লেষণ করেছেন। মামলার অন্যতম তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির (দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর সংগৃহীত আলামত আমেরিকায় নিয়ে পরীক্ষা করা হতে পারে। এ বিষয়ে আদালতের অনুমতি নিয়েই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘এছাড়া অভিজিৎ রায় যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, ভবিষ্যতে এফবিআই চাইলে তাদের নিজ দেশেও এই ঘটনায় মামলা করতে পারে। তারা তখন যদি আমাদের সহায়তা চায়, আমরা করব।’ তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন গ্রুপ ও লোকজনের প্রতি নজরদারি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অপর একজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছিল। হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতার কোনও তথ্য-প্রমাণ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
No comments