আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেআইনি কাজ
বিরোধী
রাজনৈতিক দলগুলোর হরতাল ও অবরোধে নাশকতা দমনের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে
যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। তবে এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তারা নির্যাতন
নিপীড়ন, তথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন
স্থান থেকে এ ধরনের খবর আসছে। সন্ত্রাস ও নাশকতা দমন অভিযানের নামে
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও
ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের
পরিবারের সদস্যদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। ছেলেকে না
পেয়ে বাবা-মাকে থানায় এনে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। আবার বাবাকে না পেয়ে
ছেলে, মেয়ে এমনকি স্ত্রীকে আটকের ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ, ফেনীতে যৌথ বাহিনীর
অভিযানের সময় ছেলেকে না পেয়ে ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা
মারা গেছেন। হতভাগ্য এই বৃদ্ধকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তারা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং লুটপাট করছেন। বাড়ির নারীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছেন। এ ধরনের অভিযানে এলাকা ছেড়ে স্থানীয় লোকজনের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, ফেনী, চাঁদপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে এসব ঘটনা ঘটছে।
বিরোধী দলের রাজনৈতিক আন্দোলন যেভাবে দমন করার চেষ্টা চলছে, এতে প্রকৃতপক্ষে দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থেকে যাচ্ছে। তাদের আলোচ্য কর্মকাণ্ড পুরোপুরিভাবে আইনের লঙ্ঘন, মানবাধিকারের পরিপন্থী এবং এক ধরনের অপরাধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু যৌথ অভিযানের নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে অনেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। কার্যত দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
আমরা মনে করি, যারা অপরাধের সাথে প্রকৃতই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাবে। কিন্তু অভিযানের নামে ত্রাস সঞ্চার, ভাঙচুর, লুটপাট, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত, তারা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মতো গুরুতর অন্যায় করেছেন। অবিলম্বে এ ধরনের যাবতীয় তৎপরতা বন্ধ হওয়া উচিত। এসব অভিযোগের তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরাও অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তারা বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং লুটপাট করছেন। বাড়ির নারীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছেন। এ ধরনের অভিযানে এলাকা ছেড়ে স্থানীয় লোকজনের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, ফেনী, চাঁদপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে এসব ঘটনা ঘটছে।
বিরোধী দলের রাজনৈতিক আন্দোলন যেভাবে দমন করার চেষ্টা চলছে, এতে প্রকৃতপক্ষে দেশকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থেকে যাচ্ছে। তাদের আলোচ্য কর্মকাণ্ড পুরোপুরিভাবে আইনের লঙ্ঘন, মানবাধিকারের পরিপন্থী এবং এক ধরনের অপরাধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু যৌথ অভিযানের নামে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে অনেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। কার্যত দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
আমরা মনে করি, যারা অপরাধের সাথে প্রকৃতই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাবে। কিন্তু অভিযানের নামে ত্রাস সঞ্চার, ভাঙচুর, লুটপাট, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত, তারা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মতো গুরুতর অন্যায় করেছেন। অবিলম্বে এ ধরনের যাবতীয় তৎপরতা বন্ধ হওয়া উচিত। এসব অভিযোগের তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
No comments