বাংলাদেশও মনে রাখবে এ বিশ্বকাপকে
ইংল্যান্ডকে হারানোর পর লাল-সবুজের জয়গান। ছবি: শামসুল হক |
১৪
ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ মার্চ—প্রায় দেড় মাসের বিশ্বকাপ উৎসবের পর্দা নামল
গতকালই। এবার বিশ্বকাপে কেবল ‘অতিথি’ হতে যায়নি বাংলাদেশ। বরং অনেক অর্জন
নিয়েই ফিরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। বিশ্বকাপ শেষে সেই অর্জনগুলো দেখে
নেওয়া যেতে পারে একঝলকে।
প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল
শুরুতেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল আফগানিস্তান। মনে আছে নিশ্চয়, গত বছর এ দলটি এশিয়া কাপে ফতুল্লায় বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ৩২ রানে। ম্যাচের আগে ঘুরেফিরে সেই পরাজয়ের কথাটাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল অনেকেই। রাজ্যের চাপ নিয়েই বাংলাদেশকে খেলতে হলো ১৮ ফেব্রুয়ারি আফগানদের বিপক্ষে। কিন্তু সব চাপ উড়িয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল জিতল দাপটের সঙ্গেই। আফগানিস্তান হারল ১০৫ রানে।
এরপর ৫ মার্চ নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রান তাড়া করে জিতল বাংলাদেশ। মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল ৯ মার্চ বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচটি। সমীকরণ এমন দাঁড়াল, এ ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। অ্যাডিলেডে সেদিন শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ইংলিশদের ১৫ রানে হারিয়ে স্বপ্ন পূরণ হলো বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পেল নকআউট পর্বে। ২০০৭ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ ‘সুপার এইট’ পর্বে উঠেছিল। তবে সেটি নকআউট পর্ব ছিল না।
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পরের ম্যাচে টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দেখিয়েছিল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ১৩ মার্চ সে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল দুই দলের মধ্যেই। তবে শেষটা মনে রাখার মতো হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারল ১০৯ রানে।
বিশ্বকাপে দলীয় সর্বোচ্চ
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর হয়েছে এবারই। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩২২ রান বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৯ উইকেটে ২৮৩ রান। ভারতের বিপক্ষে গত বিশ্বকাপে মিরপুরে এ রান করেছিল বাংলাদেশ।
সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতা
স্কটল্যান্ডের ৩১৯ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ হওয়ার পরই জানা গিয়েছিল বাংলাদেশকে জিততে হবে রেকর্ড গড়েই। বাংলাদেশ পেরেছে সেই রেকর্ড গড়তে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড তো বটেই, বিশ্বকাপ ইতিহাসেও ঠাঁই করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে ৩০০ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পেরেছে মাত্র চারটি দল—শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৩২৮ রানের লক্ষ্য (গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) তাড়া করার রেকর্ড অবশ্য আইরিশদের দখলে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে।
ইতিহাস গড়ার নায়ক
প্রস্তুতি ম্যাচেই ভালো খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করেছিলেন ৮৩ রান। মূল মঞ্চেও শুরুটা হলো ধীর-লয়ে। তবে মাহমুদউল্লাহ প্রথমে জ্বলে উঠলেন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে করলেন ৬২ রান। কিন্তু মূল কাজটা করলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে করলেন সেঞ্চুরি। কোয়ার্টার ফাইনালের সিঁড়িতে পা দেওয়ার প্রধান কারিগর তিনি হবেন, তা কী আর জানতেন! ইংল্যান্ডের পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেললেন অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপ ইতিহাসে টানা দুই শতক হাঁকিয়েছেন মাত্র আটজন ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহ তাঁর মধ্যে একজন। ছয় ম্যাচে করলেন ৩৬৫ রান। এক আসরে এটিই কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান। এর আগের রেকর্ডটি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০৭ বিশ্বকাপে তিনি করেছিলেন ২১৭ রান।
দুর্দান্ত জুটি
বিশ্বকাপে আরও একটি অর্জন—মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ এক জুটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে ১৪১ রানের সময়োপযোগী জুটি গড়েছিলেন এ দুজন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এটিই সবচেয়ে বড় জুটি।
প্রাপ্তির নাম সাব্বির-সৌম্য-তাসকিন
বিশ্বকাপের আগে সাব্বির রহমানের মাত্র ৫ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। তাসকিন আহমেদের সেখানে ৩ ওয়ানডে আর সৌম্য সরকারের মাত্র একটি। সামান্য এ অভিজ্ঞতা নিয়েই তিন তরুণ তুর্কি দারুণভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন ক্রিকেটের বড় আসরে। সাব্বির ৬ ম্যাচে করলেন ১৮২ রান। সৌম্য সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৭৫ রান। অবশ্য এ পরিসংখ্যান থেকে তাঁদের প্রতিভার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া মুশকিল। হয়তো তাঁদের ইনিংসগুলো বড় হয়নি, তবে ব্যতিক্রম ব্যাটিংয়ে ছিল পরিণতের ছাপ, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বার্তা। ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট নেওয়া তাসকিন স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক গতিময় বোলিংয়ে প্রায়ই কাঁপিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ; জানিয়েছেন নিজের আগমনী বার্তা।
জ্বলে উঠেছিলেন পুরোনো সৈনিকরাও
পুরোনোদের মধ্যে কম-বেশি ঝলক দেখিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান। মাশরাফি ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট। তবে এ পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁর যোগ্যতা নিরূপণ করা যায় না। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। মুশফিক হয়তো সেঞ্চুরি পাননি। তবে ধারাবাহিক ছিলেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তো বিপর্যয়ের মধ্যে ৭১ রানের ইনিংস খেলে দলকে দিলেন ভালো সংগ্রহ। হলেন ম্যাচসেরাও। সাকিবকে অবশ্য সাকিবের মতো পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ব্যাট থেকেও এসেছে দুটো ফিফটি। আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে ব্যাট হাতে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে জমিয়ে তুলেছিলেন ম্যাচ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেল হোসেনের সেই দুর্দান্ত দুটি স্পেল নিশ্চয় মনে আছে। বিশেষ করে ৪৯তম ওভারের প্রথম ও তৃতীয় বলে ভয়ংকর ইয়র্কারে ছত্রখান ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের উইকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ ম্যাচসেরা হলেও রুবেলের অবদান কিছুতেই ভোলার নয়। ৬ ম্যাচে রুবেল নিয়েছেন ৮ উইকেট। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ৪টি।
প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল
শুরুতেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল আফগানিস্তান। মনে আছে নিশ্চয়, গত বছর এ দলটি এশিয়া কাপে ফতুল্লায় বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ৩২ রানে। ম্যাচের আগে ঘুরেফিরে সেই পরাজয়ের কথাটাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল অনেকেই। রাজ্যের চাপ নিয়েই বাংলাদেশকে খেলতে হলো ১৮ ফেব্রুয়ারি আফগানদের বিপক্ষে। কিন্তু সব চাপ উড়িয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল জিতল দাপটের সঙ্গেই। আফগানিস্তান হারল ১০৫ রানে।
এরপর ৫ মার্চ নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রান তাড়া করে জিতল বাংলাদেশ। মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল ৯ মার্চ বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচটি। সমীকরণ এমন দাঁড়াল, এ ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। অ্যাডিলেডে সেদিন শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ইংলিশদের ১৫ রানে হারিয়ে স্বপ্ন পূরণ হলো বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পেল নকআউট পর্বে। ২০০৭ বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ ‘সুপার এইট’ পর্বে উঠেছিল। তবে সেটি নকআউট পর্ব ছিল না।
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পরের ম্যাচে টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দেখিয়েছিল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ১৩ মার্চ সে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল দুই দলের মধ্যেই। তবে শেষটা মনে রাখার মতো হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারল ১০৯ রানে।
বিশ্বকাপে দলীয় সর্বোচ্চ
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর হয়েছে এবারই। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩২২ রান বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৯ উইকেটে ২৮৩ রান। ভারতের বিপক্ষে গত বিশ্বকাপে মিরপুরে এ রান করেছিল বাংলাদেশ।
সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতা
স্কটল্যান্ডের ৩১৯ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ হওয়ার পরই জানা গিয়েছিল বাংলাদেশকে জিততে হবে রেকর্ড গড়েই। বাংলাদেশ পেরেছে সেই রেকর্ড গড়তে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড তো বটেই, বিশ্বকাপ ইতিহাসেও ঠাঁই করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে ৩০০ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পেরেছে মাত্র চারটি দল—শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৩২৮ রানের লক্ষ্য (গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) তাড়া করার রেকর্ড অবশ্য আইরিশদের দখলে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে।
ইতিহাস গড়ার নায়ক
প্রস্তুতি ম্যাচেই ভালো খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করেছিলেন ৮৩ রান। মূল মঞ্চেও শুরুটা হলো ধীর-লয়ে। তবে মাহমুদউল্লাহ প্রথমে জ্বলে উঠলেন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে করলেন ৬২ রান। কিন্তু মূল কাজটা করলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে করলেন সেঞ্চুরি। কোয়ার্টার ফাইনালের সিঁড়িতে পা দেওয়ার প্রধান কারিগর তিনি হবেন, তা কী আর জানতেন! ইংল্যান্ডের পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেললেন অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপ ইতিহাসে টানা দুই শতক হাঁকিয়েছেন মাত্র আটজন ব্যাটসম্যান। মাহমুদউল্লাহ তাঁর মধ্যে একজন। ছয় ম্যাচে করলেন ৩৬৫ রান। এক আসরে এটিই কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান। এর আগের রেকর্ডটি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০৭ বিশ্বকাপে তিনি করেছিলেন ২১৭ রান।
দুর্দান্ত জুটি
বিশ্বকাপে আরও একটি অর্জন—মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ এক জুটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে ১৪১ রানের সময়োপযোগী জুটি গড়েছিলেন এ দুজন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এটিই সবচেয়ে বড় জুটি।
প্রাপ্তির নাম সাব্বির-সৌম্য-তাসকিন
বিশ্বকাপের আগে সাব্বির রহমানের মাত্র ৫ ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। তাসকিন আহমেদের সেখানে ৩ ওয়ানডে আর সৌম্য সরকারের মাত্র একটি। সামান্য এ অভিজ্ঞতা নিয়েই তিন তরুণ তুর্কি দারুণভাবে নিজেদের মেলে ধরেছেন ক্রিকেটের বড় আসরে। সাব্বির ৬ ম্যাচে করলেন ১৮২ রান। সৌম্য সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৭৫ রান। অবশ্য এ পরিসংখ্যান থেকে তাঁদের প্রতিভার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া মুশকিল। হয়তো তাঁদের ইনিংসগুলো বড় হয়নি, তবে ব্যতিক্রম ব্যাটিংয়ে ছিল পরিণতের ছাপ, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বার্তা। ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট নেওয়া তাসকিন স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক গতিময় বোলিংয়ে প্রায়ই কাঁপিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ; জানিয়েছেন নিজের আগমনী বার্তা।
জ্বলে উঠেছিলেন পুরোনো সৈনিকরাও
পুরোনোদের মধ্যে কম-বেশি ঝলক দেখিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান। মাশরাফি ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট। তবে এ পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁর যোগ্যতা নিরূপণ করা যায় না। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। মুশফিক হয়তো সেঞ্চুরি পাননি। তবে ধারাবাহিক ছিলেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তো বিপর্যয়ের মধ্যে ৭১ রানের ইনিংস খেলে দলকে দিলেন ভালো সংগ্রহ। হলেন ম্যাচসেরাও। সাকিবকে অবশ্য সাকিবের মতো পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ব্যাট থেকেও এসেছে দুটো ফিফটি। আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে ব্যাট হাতে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে জমিয়ে তুলেছিলেন ম্যাচ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেল হোসেনের সেই দুর্দান্ত দুটি স্পেল নিশ্চয় মনে আছে। বিশেষ করে ৪৯তম ওভারের প্রথম ও তৃতীয় বলে ভয়ংকর ইয়র্কারে ছত্রখান ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের উইকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ ম্যাচসেরা হলেও রুবেলের অবদান কিছুতেই ভোলার নয়। ৬ ম্যাচে রুবেল নিয়েছেন ৮ উইকেট। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ৪টি।
No comments