ডাকাতরা কথা বলেছিলেন হিন্দিতে তবুও...
ডাকাতরা হিন্দিতে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তবু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যমন্ত্রী ডাকাতির ঘটনার জন্য ‘বাংলাদেশী দুর্বৃত্তদের’ দায়ী করেছেন। ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগণায় অবস্থিত সুন্দরবনের একটি পর্যটন স্পটে ডাকাতি ও গুলি করে একজন পর্যটককে আহত করার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পুলিশ গতকাল চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গতকাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ হামলার জন্য তার ভাষায় সীমান্ত পেরিয়ে আসা ‘বাংলাদেশী অপরাধীদের’ দায়ী করেছেন।
নগর উন্নয়ন মন্ত্রী হাকিম আরও বলেন, ‘সীমান্তে অপর্যাপ্ত তদারকির কারণে বাংলাদেশী দুর্বৃত্তরা অনুপ্রবেশ করতে পারছে। আমরা এসপিকে বলেছি, দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে পাকড়াও করতে।’ এ পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোতালেব মোল্লা, শওকত মোল্লা, হাকিম লস্কর এবং সুবল সরদার। দক্ষিণ ২৪ পরগণার এসপি প্রাভিন ত্রিপাঠি বলেন, ‘আমরা ডাকাতি হওয়া এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন ও ঘড়ির মতো কয়েকটি জিনিস ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছি। আজ (মঙ্গলবার) আদালতে তা দাখিল করে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, রোববার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় পিয়ালি দ্বীপ পর্যটন লজে এ ঘটনা ঘটে। ওই লজে যখন দেয়াল টপকে একদল দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে তখন সেখানে কলকাতা থেকে বেড়াতে যাওয়া চারটি পরিবার অবস্থান করছিল। পুলিশ বলেছে, সম্ভবত নদীপথে আসা দুর্বৃত্তরা ঘুমের মধ্যে দুটি পরিবারের ওপর চড়াও হয়। প্রায় এক ঘটনা ধরে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, এসময় লজের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।
তনুশ্রী মুখার্জি যিনি তার স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে ডাকাতদের কবলে পড়েন, তিনি বলেছেন, ‘ওরা আমাদের কক্ষের মধ্যে আটকে ফেলতে বাধ্য করে। তাদের মুখ টাওয়াল দিয়ে আবৃত ছিল এবং তারা হিন্দিতে কথা বলছিল। ওদের একজন আমার স্বামীর কপালে অস্ত্র ঠেকায় এবং আরেকজন আমার গলায় ছুরি ধরে। আমি তখন বলি আমাদের কাছে যা কিছু আছে তোমরা নিয়ে নাও। কিন্তু আমাদের ক্ষতি করো না। তারা মোবাইল, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ঘড়ি, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, স্বর্ণালংকার ও কিছু অর্থ নিয়ে যায়। আর যাওয়ার সময় পিস্তলের বাঁট দিয়ে আমার স্বামীর মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।’
এসময় আরেকটি পরিবারের সদস্য সংঘমিত্র চিৎকার শুনে আলো নিভিয়ে দেন এবং তার ১২ বছরের মেয়েকে টয়লেটে আটকে রাখেন। ডাকাতরা দরজা খুলতে ধাক্কাধাক্কি করেও সফল হয়নি।
সংঘমিত্র বলেন, ‘আমার স্বামী ওই ডাকাতদের একজনকে ধরে ফেললে অন্যরা ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা চালায়। এসময় তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করলেও তিনি ডাকাতকে ধরে রাখতে সক্ষম হন। এসময় তারা দুরাউন্ড গুলি করে। চারদিক ছিল অন্ধকারে ঢাকা। আমি গুলির শব্দ পেয়ে আলো জ্বেলে দিই। দেখি আমার স্বামী রক্তাক্ত মেঝেতে গড়াগড়ি যাচ্ছে। আমি সাহায্যের জন্য চিৎকার করি। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।’ তিনি বলেন, রাত ১১টা পরে লজে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী দেখা যায়নি।
পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, এ লজটি একটি বেসরকারি কোম্পানির কাছে সরকার ইজারা দিয়েছিল। এটা একটি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। লিজ কোম্পানির উচিত ছিল লজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু আমি মনে করি না, এ দুর্ঘটনার কারণে পর্যটন খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হবে।
নগর উন্নয়ন মন্ত্রী হাকিম আরও বলেন, ‘সীমান্তে অপর্যাপ্ত তদারকির কারণে বাংলাদেশী দুর্বৃত্তরা অনুপ্রবেশ করতে পারছে। আমরা এসপিকে বলেছি, দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে পাকড়াও করতে।’ এ পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মোতালেব মোল্লা, শওকত মোল্লা, হাকিম লস্কর এবং সুবল সরদার। দক্ষিণ ২৪ পরগণার এসপি প্রাভিন ত্রিপাঠি বলেন, ‘আমরা ডাকাতি হওয়া এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন ও ঘড়ির মতো কয়েকটি জিনিস ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছি। আজ (মঙ্গলবার) আদালতে তা দাখিল করে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, রোববার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় পিয়ালি দ্বীপ পর্যটন লজে এ ঘটনা ঘটে। ওই লজে যখন দেয়াল টপকে একদল দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে তখন সেখানে কলকাতা থেকে বেড়াতে যাওয়া চারটি পরিবার অবস্থান করছিল। পুলিশ বলেছে, সম্ভবত নদীপথে আসা দুর্বৃত্তরা ঘুমের মধ্যে দুটি পরিবারের ওপর চড়াও হয়। প্রায় এক ঘটনা ধরে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, এসময় লজের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।
তনুশ্রী মুখার্জি যিনি তার স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে ডাকাতদের কবলে পড়েন, তিনি বলেছেন, ‘ওরা আমাদের কক্ষের মধ্যে আটকে ফেলতে বাধ্য করে। তাদের মুখ টাওয়াল দিয়ে আবৃত ছিল এবং তারা হিন্দিতে কথা বলছিল। ওদের একজন আমার স্বামীর কপালে অস্ত্র ঠেকায় এবং আরেকজন আমার গলায় ছুরি ধরে। আমি তখন বলি আমাদের কাছে যা কিছু আছে তোমরা নিয়ে নাও। কিন্তু আমাদের ক্ষতি করো না। তারা মোবাইল, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ঘড়ি, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, স্বর্ণালংকার ও কিছু অর্থ নিয়ে যায়। আর যাওয়ার সময় পিস্তলের বাঁট দিয়ে আমার স্বামীর মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।’
এসময় আরেকটি পরিবারের সদস্য সংঘমিত্র চিৎকার শুনে আলো নিভিয়ে দেন এবং তার ১২ বছরের মেয়েকে টয়লেটে আটকে রাখেন। ডাকাতরা দরজা খুলতে ধাক্কাধাক্কি করেও সফল হয়নি।
সংঘমিত্র বলেন, ‘আমার স্বামী ওই ডাকাতদের একজনকে ধরে ফেললে অন্যরা ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা চালায়। এসময় তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করলেও তিনি ডাকাতকে ধরে রাখতে সক্ষম হন। এসময় তারা দুরাউন্ড গুলি করে। চারদিক ছিল অন্ধকারে ঢাকা। আমি গুলির শব্দ পেয়ে আলো জ্বেলে দিই। দেখি আমার স্বামী রক্তাক্ত মেঝেতে গড়াগড়ি যাচ্ছে। আমি সাহায্যের জন্য চিৎকার করি। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।’ তিনি বলেন, রাত ১১টা পরে লজে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী দেখা যায়নি।
পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, এ লজটি একটি বেসরকারি কোম্পানির কাছে সরকার ইজারা দিয়েছিল। এটা একটি দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা। লিজ কোম্পানির উচিত ছিল লজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু আমি মনে করি না, এ দুর্ঘটনার কারণে পর্যটন খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হবে।
No comments