ফুট ওভারব্রিজটির ‘ঝুঁকি’ দূর হবে কবে? by মোছাব্বের হোসেন
প্রবেশ পথ টপকে ব্রিজের একটি অংশে ঘুমিয়ে আছেন এক ছিন্নমূল মানুষ। ছবি: মনিরুল আলম |
ব্রিজটি নোংরা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সেখানে মাদকদ্রব্য এবং পরিত্যক্ত অসামাজিক কার্যকলাপের বস্তু পরে থাকতে দেখা যায়। ছবি: মনিরুল আলম |
ব্রিজে ওঠার প্রবেশ পথটি এভাবেই বন্ধ করে রাখা। ছবি: মনিরুল আলম |
‘ঝুঁকিপূর্ণ’
বলে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে রাজধানীর ব্যস্ত ফার্মগেট এলাকার একটি
ফুট ওভারব্রিজ। পথচারীদের অভিযোগ, এটি বন্ধ করায় ভোগান্তি অনেক বেড়েছে।
আর দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও এটি সংস্কারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হল ও তেজগাঁও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়-সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজটির সামনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ফুট ওভারব্রিজ, পারাপার নিষেধ’ বলে সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। যাতে কেউ যাতায়াত করতে না পারে সে জন্য প্রবেশ পথে লোহার ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আগে এই ওভারব্রিজটি ব্যবহার করতেন তাঁদের এখন অনেকটা পথ ঘুরে সামনে ফার্মগেট-তেজগাঁও সড়কের ওভারব্রিজ বা পেছনের তেজতুরি বাজারের ওভারব্রিজটি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
মাকসুদা বেগম ধানমন্ডির ক্রিসেন্ট রোড থেকে মেয়েকে নিয়ে রোজ তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আসেন। ওভারব্রিজ বন্ধ থাকার কারণে অনেক দিন ধরে তাঁদের কষ্ট বেড়েছে। বন্ধ থাকা ওভারব্রিজের বিষয়ে কথা তুলতেই ক্ষোভ ঝরে পড়ল তাঁর কথায়। বললেন, ‘অনেক দিন তো হলো, আর কত দিন লাগবে এটা ঠিক করতে? এখানে হাঁটা ছাড়া পারাপারের আর তো কোনো বুদ্ধি নেই। মেয়েকে নিয়ে এভাবে ভিড়ের মধ্যে হাঁটা তো সহজ না।’
জানা গেছে, ফার্মগেট এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু-কিশোর ও তাদের অভিভাবকেরা এই ওভারব্রিজ ব্যবহার করেন। এ ছাড়া সাধারণ পথচারী তো আছেনই।
সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ছেলেদের নিয়ে আসেন পূর্ব রাজাবাজারের নাজমা ইসলাম ও কাঁঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা মণি আক্তার। তাঁরা বলেন, ফার্মগেট এলাকা এমনিতেই ভিড়ে ঠাসা। হাঁটতে কষ্ট হয়। এর ওপর এই ওভারব্রিজ বন্ধ। ফলে তাঁদের অনেকটা পথ হেঁটে সন্তানকে নিয়ে আসতে হয়। ওভারব্রিজ ঠিক থাকলে এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ বলে ওভারব্রিজটি বন্ধ করলেও এটি চালু করার জন্য কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি।
তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহিদাস সরকার বলেন, তাঁদের স্কুলে প্রায় ২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী পড়ে। এ ছাড়া আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। যাঁদের অনেকে এই ওভারব্রিজ ব্যবহার করে। এটি বন্ধ থাকার কারণে সবাই ভোগান্তিতে পড়েছে।
ওভারব্রিজের পাশে ফুটপাতের দোকানদার কালাম মিয়া জানান, গত রোজার মাসের তিন তারিখ থকে এই ওভারব্রিজ বন্ধ। আশপাশের কয়েকজন দোকানদার তাঁর কথায় সমর্থন দিলেন। ফার্মগেটের দোকানদার রফিকুল জানালেন, সংস্কার কাজ শুরু না হওয়ায় ওভারব্রিজটি ভাসমান মানুষের আশ্রয় স্থল। তাঁর ভাষ্য, ‘টোকাইরা ঘুমায়, বাজে মানুষ চলাচল করে রাইতের বেলা’।
পথচারী ও দোকানদারদের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৯ মাস ধরে বন্ধ আছে এই ফুট ওভারব্রিজটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ফুট ওভারব্রিজের দেখভালের দায়িত্বে আছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) বি এম এনামুল হক এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ফার্মগেটের ওই ওভারব্রিজটি ব্যবহারের উপযোগী নয় বলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেটি অপসারণের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এত দীর্ঘ সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আসলে অনেকগুলো কাজ। সব কিছু করতে কিছুটা সময় লেগে যায়। সে জন্য দেরি হচ্ছে। তবে খুব শিগগিরই অপসারণের কাজ শুরু হবে বলে মনে করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হল ও তেজগাঁও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়-সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজটির সামনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ফুট ওভারব্রিজ, পারাপার নিষেধ’ বলে সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। যাতে কেউ যাতায়াত করতে না পারে সে জন্য প্রবেশ পথে লোহার ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আগে এই ওভারব্রিজটি ব্যবহার করতেন তাঁদের এখন অনেকটা পথ ঘুরে সামনে ফার্মগেট-তেজগাঁও সড়কের ওভারব্রিজ বা পেছনের তেজতুরি বাজারের ওভারব্রিজটি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
মাকসুদা বেগম ধানমন্ডির ক্রিসেন্ট রোড থেকে মেয়েকে নিয়ে রোজ তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আসেন। ওভারব্রিজ বন্ধ থাকার কারণে অনেক দিন ধরে তাঁদের কষ্ট বেড়েছে। বন্ধ থাকা ওভারব্রিজের বিষয়ে কথা তুলতেই ক্ষোভ ঝরে পড়ল তাঁর কথায়। বললেন, ‘অনেক দিন তো হলো, আর কত দিন লাগবে এটা ঠিক করতে? এখানে হাঁটা ছাড়া পারাপারের আর তো কোনো বুদ্ধি নেই। মেয়েকে নিয়ে এভাবে ভিড়ের মধ্যে হাঁটা তো সহজ না।’
জানা গেছে, ফার্মগেট এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু-কিশোর ও তাদের অভিভাবকেরা এই ওভারব্রিজ ব্যবহার করেন। এ ছাড়া সাধারণ পথচারী তো আছেনই।
সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ছেলেদের নিয়ে আসেন পূর্ব রাজাবাজারের নাজমা ইসলাম ও কাঁঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা মণি আক্তার। তাঁরা বলেন, ফার্মগেট এলাকা এমনিতেই ভিড়ে ঠাসা। হাঁটতে কষ্ট হয়। এর ওপর এই ওভারব্রিজ বন্ধ। ফলে তাঁদের অনেকটা পথ হেঁটে সন্তানকে নিয়ে আসতে হয়। ওভারব্রিজ ঠিক থাকলে এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ বলে ওভারব্রিজটি বন্ধ করলেও এটি চালু করার জন্য কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি।
তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহিদাস সরকার বলেন, তাঁদের স্কুলে প্রায় ২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী পড়ে। এ ছাড়া আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। যাঁদের অনেকে এই ওভারব্রিজ ব্যবহার করে। এটি বন্ধ থাকার কারণে সবাই ভোগান্তিতে পড়েছে।
ওভারব্রিজের পাশে ফুটপাতের দোকানদার কালাম মিয়া জানান, গত রোজার মাসের তিন তারিখ থকে এই ওভারব্রিজ বন্ধ। আশপাশের কয়েকজন দোকানদার তাঁর কথায় সমর্থন দিলেন। ফার্মগেটের দোকানদার রফিকুল জানালেন, সংস্কার কাজ শুরু না হওয়ায় ওভারব্রিজটি ভাসমান মানুষের আশ্রয় স্থল। তাঁর ভাষ্য, ‘টোকাইরা ঘুমায়, বাজে মানুষ চলাচল করে রাইতের বেলা’।
পথচারী ও দোকানদারদের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৯ মাস ধরে বন্ধ আছে এই ফুট ওভারব্রিজটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ফুট ওভারব্রিজের দেখভালের দায়িত্বে আছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) বি এম এনামুল হক এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ফার্মগেটের ওই ওভারব্রিজটি ব্যবহারের উপযোগী নয় বলে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেটি অপসারণের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এত দীর্ঘ সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আসলে অনেকগুলো কাজ। সব কিছু করতে কিছুটা সময় লেগে যায়। সে জন্য দেরি হচ্ছে। তবে খুব শিগগিরই অপসারণের কাজ শুরু হবে বলে মনে করেন তিনি।
No comments