বিশ্বে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব?
বিশ্বের
সবার ঘরে থাকবে একটি করে ফ্রিজ। থাকবে জীবনটাকে সহজতর ও আয়েশী করার অন্য
সব উপকরণ। গরিব বলে কেউ থাকবে না। এটা কি বাস্তবে সম্ভব? বিশ্বব্যাংক তেমন
একটা লক্ষ্য নিয়েছে। হতে পারে এটা উচ্চাভিলাষী, তবে তারা ২০৩০ সালের মধ্যে
বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূর করার চেষ্টা করে যাবে। বিশ্বব্যাংকের নেওয়া এই
পরিকল্পনা এ বছরের শেষে গ্রহণ করার চিন্তাভাবনা করছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি মনে
করছে, বিশ্বব্যাংক দ্রুত এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে।
জাতিসংঘ আশা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হবে। মনে করা হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রত্যেকের জীবনযাপন সহজ করার মতো দ্রব্যাদি কেনার আর্থিক সামর্থ্য থাকবে। বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্য পূরণ করাও সম্ভব হবে।
এসবের যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১৯৮১ সাল থেকে দারিদ্র্যের হার কমেছে। ওই সময় এসব দেশের ৫২ শতাংশ মানুষ দৈনিক ১ দশমিক ২৫ ডলারেরও (প্রায় ৯৫ টাকা) কম আয় করত। এখন এ রকম উপার্জনকারী মানুষের সংখ্যা কমে ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অনুসারে ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে এসে দারিদ্র্য অনেকটা কমানো সম্ভব হয়েছে। ১৯৯০ সালে এক-তৃতীয়াংশ জনগণ (৩৬ শতাংশ) দারিদ্রের মধ্যে বাস করতেন। আর ২০১০ সালে এসে তা কমে ১৮ শতাংশে নেমেছে।
চীনে গত কয়েক দশকে দারিদ্র্য কমেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। তবে গত তিন দশকে আফ্রিকায় দরিদ্রের সংখ্যা আরও বেড়েছে।
এশিয়ার পূর্বাঞ্চলে দারিদ্র্য যথেষ্ট কমে এসেছে। ১৯৮১ সালে এই অঞ্চলের ৮০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বসবাস করতেন। প্রতি পাঁচজনে চারজন দারিদ্র্যসীমায় থাকতেন। আর এখন দারিদ্র্যসীমার হার কমে ৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
তবে এটিই শেষ কথা নয়। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার কমানো সম্ভব হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের বীরোচিত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিবছর পাঁচ কোটি মানুষের দারিদ্র্য ঘোচাতে হবে। অর্থাৎ, পরবর্তী ১৫ বছরে প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ লোককে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হবে। শুনতে যতই অস্বাভাবিক মনে হোক, এটিই বাস্তবে সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
এই হারে আদৌ দারিদ্র্য কমানো সম্ভব কি না, জানতে চাইলে জিম ইয়ং কিম আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, এটি সম্ভব। তবে এ জন্য আরও তহবিল বাড়ানো দরকার। আয় ও উৎপাদনশীলতার মধ্যে সমন্বয়ও আনা দরকার বলে জানান তিনি।
জিম ইয়ং কিম দারিদ্র্যের হার কমানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য দারিদ্র্য কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।
তবে দারিদ্র্যের হার কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে চীন। চীনের গতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন।
যাই হোক, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পল কলিয়ার বলেন, চীনের এই অগ্রগতি আফ্রিকার জন্য উদাহরণ হতে পারে। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন।
পল কলিয়ার ও ওভারসিস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (ওডিআই) প্রধান কেভিন ওয়াটকিনস বিশ্বাস করেন, দরিদ্র দেশ আফ্রিকার উন্নয়নে ব্যক্তিগত খাতে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। আফ্রিকার দেশগুলোতে চরম দারিদ্র্য একটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরেকটি দারিদ্র্যপীড়িত দেশ হলো তানজানিয়া। সেখানেও গত দুই দশকে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বেড়েছে। দুই দশক আগে যেখানে তানজানিয়ার জনসংখ্যা ছিল ৯০ লাখ। সেখানে এখন জনসংখ্যা দেড় কোটি।
এসব উদাহরণ সত্ত্বেও দারিদ্র্য দূর করার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক। নোবেলজয়ী রবার্ট লুকাস বলেন, যখন কেউ দারিদ্র্য দূর করার শপথ নেন, তখন সে কাজ আর কঠিন থাকে না। বিবিসি অবলম্বনে
জাতিসংঘ আশা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হবে। মনে করা হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে বিশ্বের প্রত্যেকের জীবনযাপন সহজ করার মতো দ্রব্যাদি কেনার আর্থিক সামর্থ্য থাকবে। বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্য পূরণ করাও সম্ভব হবে।
এসবের যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১৯৮১ সাল থেকে দারিদ্র্যের হার কমেছে। ওই সময় এসব দেশের ৫২ শতাংশ মানুষ দৈনিক ১ দশমিক ২৫ ডলারেরও (প্রায় ৯৫ টাকা) কম আয় করত। এখন এ রকম উপার্জনকারী মানুষের সংখ্যা কমে ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অনুসারে ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে এসে দারিদ্র্য অনেকটা কমানো সম্ভব হয়েছে। ১৯৯০ সালে এক-তৃতীয়াংশ জনগণ (৩৬ শতাংশ) দারিদ্রের মধ্যে বাস করতেন। আর ২০১০ সালে এসে তা কমে ১৮ শতাংশে নেমেছে।
চীনে গত কয়েক দশকে দারিদ্র্য কমেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। তবে গত তিন দশকে আফ্রিকায় দরিদ্রের সংখ্যা আরও বেড়েছে।
এশিয়ার পূর্বাঞ্চলে দারিদ্র্য যথেষ্ট কমে এসেছে। ১৯৮১ সালে এই অঞ্চলের ৮০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বসবাস করতেন। প্রতি পাঁচজনে চারজন দারিদ্র্যসীমায় থাকতেন। আর এখন দারিদ্র্যসীমার হার কমে ৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
তবে এটিই শেষ কথা নয়। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার কমানো সম্ভব হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের বীরোচিত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিবছর পাঁচ কোটি মানুষের দারিদ্র্য ঘোচাতে হবে। অর্থাৎ, পরবর্তী ১৫ বছরে প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ লোককে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হবে। শুনতে যতই অস্বাভাবিক মনে হোক, এটিই বাস্তবে সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
এই হারে আদৌ দারিদ্র্য কমানো সম্ভব কি না, জানতে চাইলে জিম ইয়ং কিম আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, এটি সম্ভব। তবে এ জন্য আরও তহবিল বাড়ানো দরকার। আয় ও উৎপাদনশীলতার মধ্যে সমন্বয়ও আনা দরকার বলে জানান তিনি।
জিম ইয়ং কিম দারিদ্র্যের হার কমানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য দারিদ্র্য কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।
তবে দারিদ্র্যের হার কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে চীন। চীনের গতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে লাখ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন।
যাই হোক, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক পল কলিয়ার বলেন, চীনের এই অগ্রগতি আফ্রিকার জন্য উদাহরণ হতে পারে। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন।
পল কলিয়ার ও ওভারসিস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (ওডিআই) প্রধান কেভিন ওয়াটকিনস বিশ্বাস করেন, দরিদ্র দেশ আফ্রিকার উন্নয়নে ব্যক্তিগত খাতে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। আফ্রিকার দেশগুলোতে চরম দারিদ্র্য একটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরেকটি দারিদ্র্যপীড়িত দেশ হলো তানজানিয়া। সেখানেও গত দুই দশকে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বেড়েছে। দুই দশক আগে যেখানে তানজানিয়ার জনসংখ্যা ছিল ৯০ লাখ। সেখানে এখন জনসংখ্যা দেড় কোটি।
এসব উদাহরণ সত্ত্বেও দারিদ্র্য দূর করার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক। নোবেলজয়ী রবার্ট লুকাস বলেন, যখন কেউ দারিদ্র্য দূর করার শপথ নেন, তখন সে কাজ আর কঠিন থাকে না। বিবিসি অবলম্বনে
No comments