গুলশান কার্যালয়ে কার্যত ‘অবরুদ্ধ’ খালেদা, বিএনপি অনড়, আ.লীগের না, ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
গুলশানে
নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়া।বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাঁর কার্যালয়ের আশে পাশে অবস্থান নিয়ে
আছে। এ অবস্থার মধ্যেই কার্যালয়ে শনিবার রাত কাটিয়েছেন খালেদা জিয়া।
এখনো তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। অবশ্য স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খান দাবি করেছেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা হয়নি।তাঁকে
নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। গুলশান-২ এর ৮৬ নম্বর সড়কে খালেদা জিয়ার
কার্যালয়। আজ রোববার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ওই রাস্তায় কার্যালয়ের
উত্তরে গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এবং দক্ষিণে ৮৭ নম্বর
সড়কের মাথায় পুলিশের দুটি ভ্যান আড়াআড়ি করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে।
রাস্তার দুই মুখে অবস্থান নিয়ে আছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। ওই রাস্তায়
সাধারণ যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষজনের চলাচলও
নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
আজ বেলা ১২টার দিকে বিকল্প ধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যেতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের দুটি প্রতিনিধি দল গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। বিএনপির অল্পকিছু সংখ্যক নেতা-কর্মী গুলশান কার্যালয়ের কাছে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার কার্যালয়টি একটি দোতলা ভবন। খালেদা জিয়া বসেন দ্বিতীয় তলায়।গত রাতে দ্বিতীয় তলায় খালেদা জিয়ার বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ কয়েকজন মহিলাকর্মী খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার রাত আটটার দিকে বাসা থেকে কার্যালয়ে যান বিএনপির চেয়ারপারসন। রাত নয়টার দিক থেকে কার্যালয়ের সামনে পুলিশ বাড়ানো হয়। বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান প্রথমআলোর কাছে দাবি করেন, গত রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের মূল ফটকও গাড়ি দিয়ে আটকে রাখে পুলিশ। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বের হওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠেছিলেন। কিন্তু বের হতে না পেরে ১০ মিনিট বসে থেকে তিনি আবার ওপরে চলে যান।তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
অবশ্য স্বারষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করার প্রশ্নই আসে না। তিনি নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে চেয়েছিলেন।গোয়েন্দা সংস্থা মনে করেছে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া দরকার। তাই তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া রাতে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যেতে চেয়েছিলেন।তাঁদের কাছে তথ্য ছিল, খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির সমাবেশকে সামনে রেখে আগ থেকেই নয়াপল্টন কার্যালয়ে অবস্থান নিতে পারেন। এ কারণে তাঁকে বের হতে দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়াকে আপাতত তাঁর কার্যালয় এবং বাসার বাইরে কোথাও যেতে দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
আজ বেলা ১২টার দিকে বিকল্প ধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যেতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের দুটি প্রতিনিধি দল গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। বিএনপির অল্পকিছু সংখ্যক নেতা-কর্মী গুলশান কার্যালয়ের কাছে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার কার্যালয়টি একটি দোতলা ভবন। খালেদা জিয়া বসেন দ্বিতীয় তলায়।গত রাতে দ্বিতীয় তলায় খালেদা জিয়ার বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ কয়েকজন মহিলাকর্মী খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার রাত আটটার দিকে বাসা থেকে কার্যালয়ে যান বিএনপির চেয়ারপারসন। রাত নয়টার দিক থেকে কার্যালয়ের সামনে পুলিশ বাড়ানো হয়। বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান প্রথমআলোর কাছে দাবি করেন, গত রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের মূল ফটকও গাড়ি দিয়ে আটকে রাখে পুলিশ। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বের হওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠেছিলেন। কিন্তু বের হতে না পেরে ১০ মিনিট বসে থেকে তিনি আবার ওপরে চলে যান।তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
অবশ্য স্বারষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করার প্রশ্নই আসে না। তিনি নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে চেয়েছিলেন।গোয়েন্দা সংস্থা মনে করেছে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া দরকার। তাই তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া রাতে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যেতে চেয়েছিলেন।তাঁদের কাছে তথ্য ছিল, খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির সমাবেশকে সামনে রেখে আগ থেকেই নয়াপল্টন কার্যালয়ে অবস্থান নিতে পারেন। এ কারণে তাঁকে বের হতে দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়াকে আপাতত তাঁর কার্যালয় এবং বাসার বাইরে কোথাও যেতে দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপি সমাবেশে অনড়, আ. লীগের না
রাজধানীতে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কাল সোমবার রাজধানীতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে এখনো অনড় আছে বিএনপি। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় কোনো সভা সমাবেশ করবে না তারা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কাল ঢাকায় ১৬টি স্থানে সমাবেশ করার কথা ছিল আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের ‘গণতন্ত্রের বিজয় উত্সব’ পালন উপলক্ষে এসব সমাবেশ করার কথা ছিল।
অন্যদিকে ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে ওইদিন রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
প্রধান দুটি দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি সামনে রেখে আজ রোববার বিকাল পাঁচটা থেকে রাজধানীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সবকিছু নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এখনো পর্যন্ত বিএনপি-জোটের ঘোষিত কর্মসূচি বলবত্ আছে। এ সমাবেশ হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনকে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এমন কোনো পরিস্থিতি হয়নি যে সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনকে অবরুদ্ধ করে রাখা, বিএনপি কার্যালয়ে তালা দেওয়া প্রমাণ করে সরকার গণতন্ত্রের কোনো জায়গা রাখছে না, তারা ভয়াবহ সংকট তৈরি করছে।
অন্যদিকে বর্তমান অবস্থায় আওয়ামী লীগ কী করবে জানতে চাইলে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পুলিশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে না। তাদের কর্মসূচি পরবর্তীতে পালিত হবে। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নানক একথা বলেন।
রাজধানীতে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কাল সোমবার রাজধানীতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে এখনো অনড় আছে বিএনপি। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় কোনো সভা সমাবেশ করবে না তারা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কাল ঢাকায় ১৬টি স্থানে সমাবেশ করার কথা ছিল আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের ‘গণতন্ত্রের বিজয় উত্সব’ পালন উপলক্ষে এসব সমাবেশ করার কথা ছিল।
অন্যদিকে ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে ওইদিন রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
প্রধান দুটি দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি সামনে রেখে আজ রোববার বিকাল পাঁচটা থেকে রাজধানীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সবকিছু নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এখনো পর্যন্ত বিএনপি-জোটের ঘোষিত কর্মসূচি বলবত্ আছে। এ সমাবেশ হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনকে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এমন কোনো পরিস্থিতি হয়নি যে সভাসমাবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। বিএনপির চেয়ারপারসনকে অবরুদ্ধ করে রাখা, বিএনপি কার্যালয়ে তালা দেওয়া প্রমাণ করে সরকার গণতন্ত্রের কোনো জায়গা রাখছে না, তারা ভয়াবহ সংকট তৈরি করছে।
অন্যদিকে বর্তমান অবস্থায় আওয়ামী লীগ কী করবে জানতে চাইলে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পুলিশের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে না। তাদের কর্মসূচি পরবর্তীতে পালিত হবে। ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নানক একথা বলেন।
ঢাকা কার্যত অবরুদ্ধ
দুই
জোটের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে দেশজুড়ে।
ঢাকায় রোববার বিকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন
জেলা থেকে ঢাকামুখি যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে
পড়েছে রাজধানী। নিজের কার্যালয়ে গতকাল রাত থেকেই অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে,
সমাবেশে যাতে কেউ যোগ দিতে না পারেন সে জন্যই বাধার সৃষ্টি করছে সরকার।
এদিকে পরিবহন মালিকরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা নিজেরাই যান
চলাচল বন্ধ রেখেছেন। বগুড়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, রোববার সকাল থেকেই
বগুড়ার ওপর দিয়ে সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে
ঢাকা অভিমুখে কোন গাড়ি ছাড়েনি। বরিশাল থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান,
সহিংসতার আশঙ্কায় বাস ও লঞ্চমালিক সমিতির নেতারা ঢাকামুখী সকল পরিবহন বন্ধ
রেখেছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যান চলাচল
নিয়ন্ত্রণের সংবাদ পাওয়া গেছে।
ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
বিএনপির
কালকের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ রোববার থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী
সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিএনপির সমাবেশে যাতে কেউ যোগ
দিতে না পারেন সে জন্যই এ ধরনের ব্যবস্থ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।তবে
পরিবহণ মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা বলছেন, সরকার বা কোনো পক্ষ থেকে যান
চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তাঁরা নিজেরাই নাশকতার আশঙ্কায় এ ধরনের
সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।প্রথম আলোর বগুড়া প্রতিনিধি আনোয়ার পারভেজ
জানান, আজ সকাল ১০টা থেকেই বগুড়ার ওপর দিয়ে কোনো ধরনের দূরপাল্লার যান
চলাচল করছে না। ফলে ঢাকামুখী মোট ১১টি জেলার দূরপাল্লার বাস বন্ধ হয়ে
গেছে। এতে করে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। যাঁদের টিকেট কাটা ছিল
টিকেট কাউন্টার থেকে তাঁদেরকে মঙ্গলবারের পরে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।
বগুড়া মটরমালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন,
রাজনৈতিক সহিংসতার আশঙ্কায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।প্রথম আলোর
বরিশাল প্রতিনিধি সাইফুর রহমান জানান, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী বাস ও অন্যান্য
যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে আজ দুপুর ২টা থেকে।জেলার সড়ক পরিবহণ মালিক
সমিতির সভাপতি ও জেলার মহানগর শ্রমিক লীগের আহবায়ক আফতাব হোসেন প্রথম
আলোকে বলেন, এর মধ্যেই যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক সহিংসতার
আশঙ্কায় ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। (ছবি:১ রাজশাহীতে
হঠাত্ সকাল থেকে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন
যাত্রীরা। ছবিটি আজ সকালে একটি বাসের কাউন্টারের সামনে থেকে তোলা। ছবি:
শহীদুল ইসলাম ছবি:২ রাজশাহীতে
হঠাত্ সকাল থেকে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন
যাত্রীরা। ছবিটি সকাল ১১টায় শ্যামলী পরিবহনের বাসের কাউন্টারের সামনে থেকে
তোলা। ছবি: শহীদুল ইসলাম)বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের
কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, যানবাহন চলাচল বন্ধে
পুলিশের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক
সহিংসতার আশঙ্কার কথা বাস ও লঞ্চমালিক সমিতির প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেওয়া
হয়েছে। তারপর তাঁরা নিজেরাই বন্ধ করে দিচ্ছেন।লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি
এবং সুন্দরবন লঞ্চের মালিক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত
লঞ্চ চলাচল বন্ধের কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। রাতে লঞ্চ ছাড়ে। তাই পরে
কোনো নির্দেশনা পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রথম আলোর
সিলেট প্রতিনিধি সুমন কুমার দাস জানিয়েছেন, সে অর্থে এখন পর্যন্ত যানবাহন
চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আসেনি বা চলচল বন্ধ হয়ে যায়নি। তবে পরিবহণের সংখ্যা
সকাল ১১টার পর থেকে কিছুটা কমে গেছে।
No comments