অ্যান্টিবায়োটিকে বছরে ব্যয় ৪ হাজার কোটি টাকা by সালমান ফরিদ
মাল্টিড্রাগ
রেজিস্ট্যান্ট টাইফয়েডে চিকিৎসা ব্যয় বেড়েছে ১০ গুণ। আর আক্রান্ত রোগীর
মৃত্যুহার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশে। আইসিডিডিআর,বি’র সাম্প্রতিক এক
গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৪ শতাংশ রোগীর দেহে কাজ
করছে না। কিন্তু পাল্লা দিয়ে বেড়েছে স্বাস্থ্য সেবায় ব্যয়। বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউ’র এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, এ
মুহূর্তে ওষুধের জন্য বাংলাদেশে বছরে ব্যয় হচ্ছে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা।
দুর্ভাগ্যের বিষয়, এসবের পেছনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায়ী অ্যান্টিবায়োটিক।
ওষুধের জন্য বছরে মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ বা চার হাজার কোটি টাকাই যাচ্ছে এই
অ্যান্টিবায়োটিকের পেছনে। বাংলাদেশের মতো একটি অনুন্নত দেশের জন্য এটি বড়
রকমের দুশ্চিন্তার কারণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে সরকারের
তরফ থেকে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধ ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন
পদক্ষেপ নেই।
তারা বলছেন, টাইফয়েড রোগের চিকিৎসায় প্রচলিত বেশির ভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমে গেছে, কোন কোনটির কার্যকারিতা পুরোটাই হারিয়েছে। এজন্য দায়ী সঠিক মাত্রায় ও সঠিক মানের অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করা। আন্তর্জাতিক সংস্থা পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড-পিএইচই’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেয়ার হার গড়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে। গত চার বছরে এ হার বেড়েছে ১২ শতাংশ। বিশেষ করে দাঁতের চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে এটি ৩২ শতাংশ পর্যন্ত। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও বিএসএমএমইউ’র নাক কান গলা রোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবু শফি আহমেদ আমিন বলেন, বাংলাদেশে এই ওষুধ খুব সহজে পাওয়া যাওয়াটা অন্যতম সমস্যা। আবার যারা ব্যবস্থাপত্রে লিখেন তাদের অনেকেই অনুমোদিত চিকিৎসক নন। ‘সঠিক ডোজ সঠিক সময়ে ব্যবহার না করা’ মূল কারণগুলোর একটি। এর ফলে শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তিনি বলেন, এখানকার ওষুধে সঠিক মান না থাকার বিষয়টিও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। দাম বেশি নেয়া হচ্ছে অথচ অনেক কোম্পানির ওষুধের মান একেবারেই নিম্ন। ফলে ওষুধ খেয়ে কাজ হয় না বরং জীবাণু তার কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়। এভাবে চলতে থাকলে দেশে চিকিৎসা ব্যয় বাড়বে কিন্তু মানুষের সুনিশ্চিত স্বাস্থ্য সেবা হবে না। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে আইসিডিডিআর,বি ২০০৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ও এর আশপাশের এলাকার টাইফয়েডে আক্রান্ত মানুষের ওপর গবেষণা চালায়। এর ফলাফলে দেখানো হয়, রোগীর প্রায় ৫১ শতাংশের ক্ষেত্রে বিটাল্যাকটাম, ক্লোরামফেনিকল ও কোট্রাইমোক্সাজল- এ তিন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা পুরোপুরি হারিয়েছে। আবার ৪৯ শতাংশের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক বিটাল্যাকটাম, ক্লোরামফেনিকল, কোট্রাইমোক্সাজল ও ন্যালিডিক্সিক এসিড কাজ করছে না। এ ছাড়া সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৪ শতাংশের দেহে কাজ করছে না আর ৮৮ শতাংশের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা ছিল মাঝারি ধরনের। আইসিডিডিআর,বি’র পরিচালক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, মূলত অপব্যবহার বা পরিপূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার না করায় এর কার্যকারিতা কমছে। এক্ষেত্রে শুধু চিকিৎসকের দোষ নেই। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিলেও রোগী দামের কারণে সেগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করছেন না অথবা অল্প সেবন করে ডোজ অপূর্ণ রেখে দিচ্ছেন। এ করণে এটি এখন কার্যকারিতা হারাচ্ছে। তিনি বলেন, সিপ্রোফ্লক্সাসিনের এমন অপব্যবহার বাড়লে অদূর ভবিষ্যতে তা ব্যবহার করাই দুষ্কর হয়ে উঠবে।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ গবেষণায় দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক ২০ থেকে ৩০ শতাংশই ভুল ব্যবহার বা অপব্যবহার হচ্ছে। আবার ব্যাক্টেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে গেলে চিকিৎসা খরচ ক্ষেত্র বিশেষে ১০০ থেকে ২০০ গুণ বেড়ে যাচ্ছে। আগে যেখানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় টাইফয়েডের চিকিৎসা হতো এখন সেখানে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা লাগছে। পাশাপাশি রোগ নিরাময়ের জন্যও দ্বিগুণের বেশি সময় লাগছে। আতঙ্কজনক হলো, অধিক অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে এর কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি জানা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের দ্বারা পরামর্শ দেয়ার হার না কমে আরও বাড়ছে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেয়ার এ হার গড়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন ও দাম নিয়ন্ত্রণে কোন তদারকি নেই। অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি। খোদ ওষুধ প্রশাসন জানায়, একটি ৫০০ মিলিগ্রাম অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে খরচ যাচ্ছে ৩ টাকা। অথচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকারও বেশি দামে। চিকিৎসকরা জানান, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই প্রয়োজনীয় ওষুধ কি হবে এবং তার দাম কত হবে সেটি নির্ধারণ করেন। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। এখানে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা নির্ধারণ করে ওষুধ কোম্পানি। এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় থাকায় কোম্পানিগুলো ইচ্ছেমতো তারও দাম নির্ধারণ করে। বেশি লাভের আশায় কোম্পানিগুলো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদনের দিকে বেশি ঝুঁকেছে। বর্তমানে তারা কম দামের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করছে না। এ ওষুধ বিপণনে তারা আবার নানান তৎপরতা চালাচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসকরা এখন ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি দিচ্ছেন। এর কারণ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন উপঢৌকন ও কমিশন। ফলে অপ্রয়োজনীয় হলেও লোভে পড়ে চিকিৎসকরা মাত্রাতিরিক্ত হারে লিখছেন। এমনকি ব্যবস্থাপত্র ছাড়া সামান্য জ্বর-কাশিতে এ ধরনের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোন ক্ষমতা নেই। সূত্র জানায়, দেশে ওষুধের বাজার এরই মধ্যে ১০,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আর এ বাজারের প্রায় ৩০ শতাংশই রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের দখলে।
তারা বলছেন, টাইফয়েড রোগের চিকিৎসায় প্রচলিত বেশির ভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমে গেছে, কোন কোনটির কার্যকারিতা পুরোটাই হারিয়েছে। এজন্য দায়ী সঠিক মাত্রায় ও সঠিক মানের অ্যান্টিবায়োটিক সেবন না করা। আন্তর্জাতিক সংস্থা পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড-পিএইচই’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেয়ার হার গড়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে। গত চার বছরে এ হার বেড়েছে ১২ শতাংশ। বিশেষ করে দাঁতের চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে এটি ৩২ শতাংশ পর্যন্ত। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও বিএসএমএমইউ’র নাক কান গলা রোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবু শফি আহমেদ আমিন বলেন, বাংলাদেশে এই ওষুধ খুব সহজে পাওয়া যাওয়াটা অন্যতম সমস্যা। আবার যারা ব্যবস্থাপত্রে লিখেন তাদের অনেকেই অনুমোদিত চিকিৎসক নন। ‘সঠিক ডোজ সঠিক সময়ে ব্যবহার না করা’ মূল কারণগুলোর একটি। এর ফলে শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তিনি বলেন, এখানকার ওষুধে সঠিক মান না থাকার বিষয়টিও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। দাম বেশি নেয়া হচ্ছে অথচ অনেক কোম্পানির ওষুধের মান একেবারেই নিম্ন। ফলে ওষুধ খেয়ে কাজ হয় না বরং জীবাণু তার কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়। এভাবে চলতে থাকলে দেশে চিকিৎসা ব্যয় বাড়বে কিন্তু মানুষের সুনিশ্চিত স্বাস্থ্য সেবা হবে না। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ে আইসিডিডিআর,বি ২০০৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার কমলাপুর স্টেশন ও এর আশপাশের এলাকার টাইফয়েডে আক্রান্ত মানুষের ওপর গবেষণা চালায়। এর ফলাফলে দেখানো হয়, রোগীর প্রায় ৫১ শতাংশের ক্ষেত্রে বিটাল্যাকটাম, ক্লোরামফেনিকল ও কোট্রাইমোক্সাজল- এ তিন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা পুরোপুরি হারিয়েছে। আবার ৪৯ শতাংশের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক বিটাল্যাকটাম, ক্লোরামফেনিকল, কোট্রাইমোক্সাজল ও ন্যালিডিক্সিক এসিড কাজ করছে না। এ ছাড়া সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৪ শতাংশের দেহে কাজ করছে না আর ৮৮ শতাংশের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা ছিল মাঝারি ধরনের। আইসিডিডিআর,বি’র পরিচালক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, মূলত অপব্যবহার বা পরিপূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার না করায় এর কার্যকারিতা কমছে। এক্ষেত্রে শুধু চিকিৎসকের দোষ নেই। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিলেও রোগী দামের কারণে সেগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করছেন না অথবা অল্প সেবন করে ডোজ অপূর্ণ রেখে দিচ্ছেন। এ করণে এটি এখন কার্যকারিতা হারাচ্ছে। তিনি বলেন, সিপ্রোফ্লক্সাসিনের এমন অপব্যবহার বাড়লে অদূর ভবিষ্যতে তা ব্যবহার করাই দুষ্কর হয়ে উঠবে।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ গবেষণায় দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক ২০ থেকে ৩০ শতাংশই ভুল ব্যবহার বা অপব্যবহার হচ্ছে। আবার ব্যাক্টেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে গেলে চিকিৎসা খরচ ক্ষেত্র বিশেষে ১০০ থেকে ২০০ গুণ বেড়ে যাচ্ছে। আগে যেখানে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় টাইফয়েডের চিকিৎসা হতো এখন সেখানে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা লাগছে। পাশাপাশি রোগ নিরাময়ের জন্যও দ্বিগুণের বেশি সময় লাগছে। আতঙ্কজনক হলো, অধিক অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে এর কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি জানা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের দ্বারা পরামর্শ দেয়ার হার না কমে আরও বাড়ছে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেয়ার এ হার গড়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন ও দাম নিয়ন্ত্রণে কোন তদারকি নেই। অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি। খোদ ওষুধ প্রশাসন জানায়, একটি ৫০০ মিলিগ্রাম অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে খরচ যাচ্ছে ৩ টাকা। অথচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকারও বেশি দামে। চিকিৎসকরা জানান, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই প্রয়োজনীয় ওষুধ কি হবে এবং তার দাম কত হবে সেটি নির্ধারণ করেন। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। এখানে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা নির্ধারণ করে ওষুধ কোম্পানি। এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় থাকায় কোম্পানিগুলো ইচ্ছেমতো তারও দাম নির্ধারণ করে। বেশি লাভের আশায় কোম্পানিগুলো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদনের দিকে বেশি ঝুঁকেছে। বর্তমানে তারা কম দামের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করছে না। এ ওষুধ বিপণনে তারা আবার নানান তৎপরতা চালাচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসকরা এখন ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি দিচ্ছেন। এর কারণ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন উপঢৌকন ও কমিশন। ফলে অপ্রয়োজনীয় হলেও লোভে পড়ে চিকিৎসকরা মাত্রাতিরিক্ত হারে লিখছেন। এমনকি ব্যবস্থাপত্র ছাড়া সামান্য জ্বর-কাশিতে এ ধরনের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোন ক্ষমতা নেই। সূত্র জানায়, দেশে ওষুধের বাজার এরই মধ্যে ১০,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আর এ বাজারের প্রায় ৩০ শতাংশই রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের দখলে।
No comments