ছাত্রলীগের জন্মদিনে সবাইকে শুভেচ্ছা by বিমল সরকার
এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সিদ্দিকী নাজমুল আলম
পরিচ্ছন্ন শিক্ষাঙ্গন, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস। প্রযুক্তিতে বিশ্বজয়।
সমৃদ্ধির আগামী। গণতন্ত্রের শিকল মুক্তি। সম্ভাবনার বাংলাদেশ। তারুণ্যের
অগ্রযাত্রা। সর্বত্রই আমরা; এ দেশের শিক্ষার্থীরা। এসবেরই অগ্রভাগে কোটি
শিক্ষার্থীর একটি প্রিয় নাম, প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আজ গৌরব, ঐতিহ্য আর সংগ্রামের ৬৮ বছরে পা দিচ্ছে সবার ভালো লাগার, ভালোবাসার সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশ-বিদেশের সব শিক্ষার্থী বন্ধু ও দেশবাসীকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তৈরি বাঙালির মুক্তি ও সংগ্রামের অগ্রভাগের সংগঠন ছাত্রলীগ। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও পুরনো এই ছাত্র সংগঠনটির আছে শুধুই ত্যাগ আর ইতিহাস গড়ার ইতিহাস। শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির তিন তারকাখচিত ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটি বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনে যেমন ভূমিকা রেখেছে, তেমনি স্বাধীনতার গৌরব রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের আন্দোলনে সব সময়ই অগ্রভাগের সেনানীর ভূমিকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের রক্তে ভেজা লাল-সবুজের পতাকা। শ্যামল সবুজ বাংলার সেই রক্তভেজা পতাকায়ও মিশে আছে আমাদের প্রিয় সংগঠনের ১৭ হাজার অগ্রজের টগবগে রক্ত। ১৯৪৮ সালের আজকের দিনে (৪ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দূরদর্শিতায় স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রথম জন্ম নেয়া সংগঠনের নাম ছাত্রলীগ। জাতির পিতার সেই আস্থায় অবিচল থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকেই দেশমাতৃকার জন্য অনন্য ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
’৭৫-এর নৃশংসতায় জাতির পিতাকে হারিয়ে সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া দেশটি স্বৈরশাসকের হাত ধরে পেছনের দিকে হাঁটতে থাকে। প্রায় দেড় দশকের পশ্চাদ্দিগ¦র্তী জাতিকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আলোর সন্ধান দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাজপথের ঝাঁঝালো মিছিলের অগ্রভাগের সাহসী সেনানীর ভূমিকায় ছিল এই আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা। খাবার স্যালাইন আর নিজ হাতে শত শত নেতাকর্মীর রুটি তৈরি করে অনাহারী দুর্যোগাক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস ও মানসিকতা আছে আমাদের নেতাকর্মীদের। দেশের যে কোনো সংকটে মা, মাটি ও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা আর মমত্ববোধ থেকেই সব সময় জনতার পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুর্যোগ-দুর্ভোগে সব সময়ই আর্তমানবতার পাশে থেকেছে একটি নাম, ছাত্রলীগ। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসই ছাত্রলীগের ইতিহাস।’ কোনো ইতিহাসবেত্তা পাওয়া যাবে না যিনি আমাদের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বাদ দিয়ে বাঙালি জাতির সঠিক ইতিহাস রচনা করতে পারবেন।
শুধু স্বাধীনতা অর্জনে বুকের তাজা রক্ত দিয়েই নয়; বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসনের সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, শিক্ষার্থীদের বেতন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন, সর্বোপরি শিক্ষাঙ্গনকে জঙ্গিবাদমুক্ত রাখতে কাজ করেছে ছাত্রলীগ, যা আজও অব্যাহত আছে। ক্লিন ক্যাম্পাস; সেভ ক্যাম্পাস কর্মসূচির আওতায় শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত রাখার আন্দোলন আমরা অব্যাহত রাখব। জ্ঞানচর্চার স্থলে মৌলবাদের উন্মেষ আমরা রুখবই। আমার ভাই, আমার বোনের জন্য নিরাপদ জ্ঞানচর্চার বিদ্যাপীঠ নিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব শিক্ষার্থীদের একমাত্র আস্থার সংগঠন হিসেবে আমরাই কাঁধে তুলে নিয়েছি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আজও মাঠে সোচ্চার আমরা। যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলার দৃপ্ত শপথে দীক্ষিত সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মী। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দেশের পুনঃশৃংখলিত গণতন্ত্র উদ্ধারে, দেশরত্ন শেখ হাসিনা মুক্তির আন্দোলনে সেনা শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে প্রথম উচ্চারণ তোলে ছাত্রলীগ। দেশের বহু বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তির রাজনৈতিক সূতিকাগার ছিল বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ।
বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রগতির পথে অপ্রতিরোধ্যভাবে হেঁটে চলছি আমরা। এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে আমরা পৌঁছে যেতে চাই সমৃদ্ধির শীর্ষে। সমুদ্রের নীল জলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমাদের জন্য তৈরি হোক অর্থনীতির নবভিত্তি। বিশ্বমন্দায়ও দারিদ্র্র্যের হার অর্ধেকে টেনে ধরে আনার সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভূখণ্ড এখন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
আজ শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির তিন তারকাখচিত গৌরবের পতাকা আমাদের কাঁধে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যেখানেই ছাত্রছাত্রীদের অধিকারের প্রশ্ন, সেখানেই অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমরা আমাদের ছোট ভুলগুলোকে শুধরে নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে শান্তি অব্যাহত রেখে প্রগতির পথে অবিচল হেঁটে যাব। আজকের দিনে এটাই আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের হাতেই গড়ব ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ, স্বপ্ন দেশরত্ন শেখ হাসিনার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৮তম জন্মদিনে সবাইকে শুভেচ্ছা।
লেখকদ্বয় : যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
আজ গৌরব, ঐতিহ্য আর সংগ্রামের ৬৮ বছরে পা দিচ্ছে সবার ভালো লাগার, ভালোবাসার সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশ-বিদেশের সব শিক্ষার্থী বন্ধু ও দেশবাসীকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তৈরি বাঙালির মুক্তি ও সংগ্রামের অগ্রভাগের সংগঠন ছাত্রলীগ। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও পুরনো এই ছাত্র সংগঠনটির আছে শুধুই ত্যাগ আর ইতিহাস গড়ার ইতিহাস। শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির তিন তারকাখচিত ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটি বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতা অর্জনে যেমন ভূমিকা রেখেছে, তেমনি স্বাধীনতার গৌরব রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের আন্দোলনে সব সময়ই অগ্রভাগের সেনানীর ভূমিকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের রক্তে ভেজা লাল-সবুজের পতাকা। শ্যামল সবুজ বাংলার সেই রক্তভেজা পতাকায়ও মিশে আছে আমাদের প্রিয় সংগঠনের ১৭ হাজার অগ্রজের টগবগে রক্ত। ১৯৪৮ সালের আজকের দিনে (৪ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দূরদর্শিতায় স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রথম জন্ম নেয়া সংগঠনের নাম ছাত্রলীগ। জাতির পিতার সেই আস্থায় অবিচল থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকেই দেশমাতৃকার জন্য অনন্য ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
’৭৫-এর নৃশংসতায় জাতির পিতাকে হারিয়ে সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া দেশটি স্বৈরশাসকের হাত ধরে পেছনের দিকে হাঁটতে থাকে। প্রায় দেড় দশকের পশ্চাদ্দিগ¦র্তী জাতিকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে আলোর সন্ধান দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাজপথের ঝাঁঝালো মিছিলের অগ্রভাগের সাহসী সেনানীর ভূমিকায় ছিল এই আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা। খাবার স্যালাইন আর নিজ হাতে শত শত নেতাকর্মীর রুটি তৈরি করে অনাহারী দুর্যোগাক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস ও মানসিকতা আছে আমাদের নেতাকর্মীদের। দেশের যে কোনো সংকটে মা, মাটি ও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা আর মমত্ববোধ থেকেই সব সময় জনতার পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুর্যোগ-দুর্ভোগে সব সময়ই আর্তমানবতার পাশে থেকেছে একটি নাম, ছাত্রলীগ। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসই ছাত্রলীগের ইতিহাস।’ কোনো ইতিহাসবেত্তা পাওয়া যাবে না যিনি আমাদের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বাদ দিয়ে বাঙালি জাতির সঠিক ইতিহাস রচনা করতে পারবেন।
শুধু স্বাধীনতা অর্জনে বুকের তাজা রক্ত দিয়েই নয়; বিএনপি-জামায়াত জোটের দুঃশাসনের সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, শিক্ষার্থীদের বেতন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন, সর্বোপরি শিক্ষাঙ্গনকে জঙ্গিবাদমুক্ত রাখতে কাজ করেছে ছাত্রলীগ, যা আজও অব্যাহত আছে। ক্লিন ক্যাম্পাস; সেভ ক্যাম্পাস কর্মসূচির আওতায় শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত রাখার আন্দোলন আমরা অব্যাহত রাখব। জ্ঞানচর্চার স্থলে মৌলবাদের উন্মেষ আমরা রুখবই। আমার ভাই, আমার বোনের জন্য নিরাপদ জ্ঞানচর্চার বিদ্যাপীঠ নিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব শিক্ষার্থীদের একমাত্র আস্থার সংগঠন হিসেবে আমরাই কাঁধে তুলে নিয়েছি।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আজও মাঠে সোচ্চার আমরা। যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলার দৃপ্ত শপথে দীক্ষিত সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মী। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দেশের পুনঃশৃংখলিত গণতন্ত্র উদ্ধারে, দেশরত্ন শেখ হাসিনা মুক্তির আন্দোলনে সেনা শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে প্রথম উচ্চারণ তোলে ছাত্রলীগ। দেশের বহু বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তির রাজনৈতিক সূতিকাগার ছিল বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ।
বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রগতির পথে অপ্রতিরোধ্যভাবে হেঁটে চলছি আমরা। এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে আমরা পৌঁছে যেতে চাই সমৃদ্ধির শীর্ষে। সমুদ্রের নীল জলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমাদের জন্য তৈরি হোক অর্থনীতির নবভিত্তি। বিশ্বমন্দায়ও দারিদ্র্র্যের হার অর্ধেকে টেনে ধরে আনার সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভূখণ্ড এখন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
আজ শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতির তিন তারকাখচিত গৌরবের পতাকা আমাদের কাঁধে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যেখানেই ছাত্রছাত্রীদের অধিকারের প্রশ্ন, সেখানেই অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমরা আমাদের ছোট ভুলগুলোকে শুধরে নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে শান্তি অব্যাহত রেখে প্রগতির পথে অবিচল হেঁটে যাব। আজকের দিনে এটাই আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের হাতেই গড়ব ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ, স্বপ্ন দেশরত্ন শেখ হাসিনার। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৮তম জন্মদিনে সবাইকে শুভেচ্ছা।
লেখকদ্বয় : যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
No comments