আন্দোলন থেকে সরে আসা ভুল ছিল -মূল্যায়ন বিএনপির by রিয়াদুল করিম
৫
জানুয়ারির নির্বাচনের পর আন্দোলন থেকে সরে আসাটা ভুল ছিল বলে মনে করছে
বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারকদের বিশ্লেষণ হচ্ছে, সে সময় আন্দোলন অব্যাহত
রাখতে পারলে একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ এভাবে
জেঁকে বসতে পারত না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের
দাবিতে অনড় থেকে বিএনপি গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা
দেয়। এ লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত জোট ১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের
অবরোধের ডাক দেয়। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করতে না পারায় এমনিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় কোনো দিকনির্দেশনা ছাড়া আকস্মিক আন্দোলন থেকে সরে আসায় হামলা-মামলায় পর্যুদস্ত নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়ে। তাদের কাছে এই বার্তা গিয়েছিল যে এ সরকারকে মেনেই নিচ্ছে বিএনপি। এখন বিএনপির নেতারা মনে করছেন, গত বছর ৫ জানুয়ারিকেন্দ্রিক সারা দেশে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তা আরও কিছুদিন চালিয়ে গেলে সরকারের অবস্থান সহজে এত শক্ত হতো না। শুরু থেকেই চাপে থাকত। বিশেষ করে নতুন সরকার শপথ নেওয়ার আগেই আন্দোলন থেকে সরে আসাটা একেবারেই ঠিক হয়নি বলে দলের এখনকার মূল্যায়নে বলা হচ্ছে। এমনকি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও গত ১১ নভেম্বর দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে এক বৈঠকে আন্দোলন থেকে সরে ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলন থেকে সরে আসা ভুল ছিল বলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বীকার করেছেন। চেয়ারপারসনের এ বক্তব্যের সঙ্গে তরিকুল ইসলাম নিজেও একমত বলে জানান। তিনি এ-ও বলেন, তখন আওয়ামী লীগ বলেছিল, এটি নিয়মরক্ষার নির্বাচন। এখন তাদের উচিত তাদের আগের সেই ‘কমিটমেন্টে’ ফিরে যাওয়া। দেশের স্বার্থে সংকট দূর করতে সংলাপ-সমঝোতা জরুরি।
তবে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র বলছে, ওই সময় সহিংসতা এড়াতে বিএনপির ওপর কূটনৈতিক চাপ ছিল। দলের চেয়ারপারসনের কয়েকজন উপদেষ্টা ও প্রভাবশালী দুটি দেশের কূটনীতিকদের পরামর্শে আন্দোলন থেকে সরে এসেছিলেন খালেদা জিয়া। তা ছাড়া নির্বাচন হয়ে যাওয়ায় নেতা-কর্মীরাও আগের মতো মাঠে থাকছিলেন না। বিশেষ করে, ঢাকায় নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাতে না পারাটাও বিএনপির বড় ব্যর্থতা বলে মনে করা হচ্ছে। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সভায় এ জন্য ঢাকা মহানগরের নেতাদের ভৎর্সনাও করেছেন।
নির্বাচনের এক মাস পর ৪ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেছিলেন যে আগে দল গোছানো হবে, তারপর আবার আন্দোলন শুরু করবেন। কিন্তু গত এক বছরেও দল গোছানোর কার্যক্রম খুব একটা গতি পায়নি। এত দিনে দলের মহাসচিব পদে স্থায়ীভাবে কাউকে নিযুক্ত করতে পারেনি বিএনপি। গত বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে জেলা কমিটিগুলো পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিলেও তা ভেস্তে যায়। গত ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আহ্বায়ক কমিটি করে দুই মাসের সময় দেওয়া হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য। কিন্তু এখনো ওয়ার্ড বা থানা কমিটিও ঘোষণা করতে পারেনি। যদিও আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্বশীল নেতারা দাবি করছেন, মহানগরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটির কাজ অনেকটাই গুছিয়ে আনা হয়েছে। এর বাইরে ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সংগঠনেরই নতুন কমিটি ঘোষণার পরপর একাংশ ‘বিদ্রোহ’ করে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি সূত্র জানায়, দলের নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়াটাও ভুল হয়েছে। কিন্তু তাঁরা এ মত দলীয় ফোরামে উপস্থাপন করার মতো পরিবেশ পাননি। কারণ, দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে খালেদা জিয়া অনড় ছিলেন। ওই অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে কথা বললে ‘সরকারের দালাল’ আখ্যা পাওয়ারও আশঙ্কা ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, নেতাদের কেউ শেখ হাসিনার অধীন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন এমন কথা তিনি জানেন না বা শোনেননি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করতে না পারায় এমনিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায় কোনো দিকনির্দেশনা ছাড়া আকস্মিক আন্দোলন থেকে সরে আসায় হামলা-মামলায় পর্যুদস্ত নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়ে। তাদের কাছে এই বার্তা গিয়েছিল যে এ সরকারকে মেনেই নিচ্ছে বিএনপি। এখন বিএনপির নেতারা মনে করছেন, গত বছর ৫ জানুয়ারিকেন্দ্রিক সারা দেশে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তা আরও কিছুদিন চালিয়ে গেলে সরকারের অবস্থান সহজে এত শক্ত হতো না। শুরু থেকেই চাপে থাকত। বিশেষ করে নতুন সরকার শপথ নেওয়ার আগেই আন্দোলন থেকে সরে আসাটা একেবারেই ঠিক হয়নি বলে দলের এখনকার মূল্যায়নে বলা হচ্ছে। এমনকি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও গত ১১ নভেম্বর দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে এক বৈঠকে আন্দোলন থেকে সরে ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলন থেকে সরে আসা ভুল ছিল বলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বীকার করেছেন। চেয়ারপারসনের এ বক্তব্যের সঙ্গে তরিকুল ইসলাম নিজেও একমত বলে জানান। তিনি এ-ও বলেন, তখন আওয়ামী লীগ বলেছিল, এটি নিয়মরক্ষার নির্বাচন। এখন তাদের উচিত তাদের আগের সেই ‘কমিটমেন্টে’ ফিরে যাওয়া। দেশের স্বার্থে সংকট দূর করতে সংলাপ-সমঝোতা জরুরি।
তবে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র বলছে, ওই সময় সহিংসতা এড়াতে বিএনপির ওপর কূটনৈতিক চাপ ছিল। দলের চেয়ারপারসনের কয়েকজন উপদেষ্টা ও প্রভাবশালী দুটি দেশের কূটনীতিকদের পরামর্শে আন্দোলন থেকে সরে এসেছিলেন খালেদা জিয়া। তা ছাড়া নির্বাচন হয়ে যাওয়ায় নেতা-কর্মীরাও আগের মতো মাঠে থাকছিলেন না। বিশেষ করে, ঢাকায় নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাতে না পারাটাও বিএনপির বড় ব্যর্থতা বলে মনে করা হচ্ছে। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সভায় এ জন্য ঢাকা মহানগরের নেতাদের ভৎর্সনাও করেছেন।
নির্বাচনের এক মাস পর ৪ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেছিলেন যে আগে দল গোছানো হবে, তারপর আবার আন্দোলন শুরু করবেন। কিন্তু গত এক বছরেও দল গোছানোর কার্যক্রম খুব একটা গতি পায়নি। এত দিনে দলের মহাসচিব পদে স্থায়ীভাবে কাউকে নিযুক্ত করতে পারেনি বিএনপি। গত বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে জেলা কমিটিগুলো পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিলেও তা ভেস্তে যায়। গত ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আহ্বায়ক কমিটি করে দুই মাসের সময় দেওয়া হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য। কিন্তু এখনো ওয়ার্ড বা থানা কমিটিও ঘোষণা করতে পারেনি। যদিও আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্বশীল নেতারা দাবি করছেন, মহানগরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটির কাজ অনেকটাই গুছিয়ে আনা হয়েছে। এর বাইরে ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই সংগঠনেরই নতুন কমিটি ঘোষণার পরপর একাংশ ‘বিদ্রোহ’ করে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি সূত্র জানায়, দলের নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়াটাও ভুল হয়েছে। কিন্তু তাঁরা এ মত দলীয় ফোরামে উপস্থাপন করার মতো পরিবেশ পাননি। কারণ, দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে খালেদা জিয়া অনড় ছিলেন। ওই অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে কথা বললে ‘সরকারের দালাল’ আখ্যা পাওয়ারও আশঙ্কা ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, নেতাদের কেউ শেখ হাসিনার অধীন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন এমন কথা তিনি জানেন না বা শোনেননি।
No comments