নিয়ম ভেঙে রাস্তা পারাপার ৩৩১ জনকে দণ্ড
ওভারব্রিজ ব্যবহার না করায় জরিমানার শিকার পথচারী |
অবৈধভাবে রাস্তা পারাপার ঠেকাতে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেল মোড় থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছে। দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ৪টি চেকপয়েন্ট বসিয়ে এ অভিযান শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। সপ্তাহব্যাপী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে এ ধরনের অভিযান চালানো হবে বলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আইন মেনে ফুটওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ও ফুটপাথ ব্যবহার করতে পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এ আদালত বসানো হয়েছে বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জানিয়েছেন। কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে ও ট্রাফিক সিগন্যাল পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে রাস্তা পারাপারের সময় দু’টি আদালতের অধীনে গতকাল ৩৩১ জনকে জরিমানা করে ২৪ হাজার ৯৫ টাকা আদায় করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে হোটেল সোনারগাঁও মোড় ও বাংলামোটরে দু’টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ শুরু করে। সড়ক পারাপারে নিয়ম ভঙ্গকারী পথচারীদের ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হারে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া ৬ মাসের কারাদ- দেয়ার বিধান রয়েছে। হোটেল রূপসী বাংলা থেকে সোনারগাঁও মোড় পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে ২টি চেকপয়েন্ট বসিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ডিএমপির কমিশনার বেনজীর আহমেদ জানান, অপরাধের ধরন অনুযায়ী ২০০ টাকা জরিমানা ও সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল দিতে পারবে এ আদালত। প্রথম দিনের অভিযানে বাংলামোটরে মোট ১৫৯ জনকে আর্থিক জরিমানা করা হয়। এদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৬০ টাকা। নির্বাহী ম্যাজিট্রেট আবদুল কুদ্দুস জানান, ১৮৬০ সালের দ-বিধি আইনের ৩৯০ ধারায় যত্রতত্র রাস্তা পার হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। কেউ জরিমানা না দিতে পারলে তাকে ৩৯১ ধারা অনুযায়ী ৬ মাসের কারাদ- দেয়া হচ্ছে। তবে গতকাল প্রথম দিনে কাউকে কারাদ- দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, কাউকে শাস্তি দেয়া এ অভিযানের উদ্দেশ্য নয়। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এ অভিযান চালানো হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিট্রেট আরও বলেন, অসুস্থ, বয়স্ক, নারী ও শিশুদের পুলিশের সহায়তায় রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর যারা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সত্ত্বেও ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করছেন না তাদের জরিমানার মুখোমুখি করা হচ্ছে। বাংলামোটর মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় রঞ্জিত নামে একজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে ২০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। রঞ্জিত জানান, অভিযানের খবর তিনি জানতেন না। শরীফ মেলামাইনের গাড়িচালক মো. জুলহাস কাঁঠালবাগান থেকে মগবাজার যাওয়ার পথে বাংলামোটর মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় পুলিশের হাতে আটক হন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৩০ টাকা জরিমানা করেন। পরে ওই পথচারী প্রতিজ্ঞা করেন তিনি আর কখনও নিয়ম ভেঙে রাস্তা পার হবেন না। একই স্থানে পুলিশের হাতে আটক হন বরিশাল থেকে হলি ফ্যামেলি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ফরম জমা দিতে আসা আইরিন জাহান ও তার পিতা আবদুল জলিল। পরে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেন। একই ভাবে কাওরানবাজার থেকে গুলিস্তান যাওয়ার পথে বাংলামোটরে রাস্তা পার হতে গিয়ে আটক হন মো. ফয়েজউল্লাহ। তিনি সকালে ভোলা থেকে ঢাকা এসেছেন। অন্যদিকে নিয়ম ভেঙে রাস্তা পার হওয়ার সময় আবুল বাশার নামে একজনকে আটক করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিয়ে আসা হলে তিনি জানান, আমার আত্মীয় মারা গেছে তাই তাড়াতাড়ি রাস্তা পার হওয়ার জন্য ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করেননি। অভিযান চলার সময় দু’বার জরিমানার স্লিপ শেষ হয়ে গেলে আর্থিক দ- পাওয়াদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। বাংলামোটরের নাজ এন্টারপ্রাইজে কর্মরত সানাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, জরিমানা দেয়ার জন্য আমি দেড় ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেছি। নিয়ম ভেঙে রাস্তা পার হওয়ার জন্য যদি আমার চাকরি চলে যায় তবে এর দায় কে নেবে? একটি কুরিয়ার সার্ভিসে কর্মরত সিকান্দার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অনুনয় করে বলেন, স্যার আমার টাকা নাই, আমি গরিব মানুষ। পরে ২০ টাকা আর্থিক জরিমানা দিয়ে তিনি ছাড়া পান।
এদিকে কাওরানবাজারের ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তার নেতৃত্বে হোটেল সোনারগাঁও মোড় থেকে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত তিনটি চেকপয়েন্ট বসানো হয়। চেকপয়েন্টগুলো সার্ক ফোয়ারা সিগন্যাল, আন্ডারপাস ও ফুটওভারব্রিজের মাঝামাঝি এবং ফার্মগেট পুলিশ বক্সের কাছে বসানো হয়েছে। কাওরানবাজারে যানজটে বসে থাকা খন্দকার দেলোয়ার বলেন, উদ্যোগটা ভাল। এতে জনসচেতনতা বাড়বে। এরপর থেকে আমিও রাস্তা পারাপারে সচেতন হবো। তিনি আরও বলেন, তবে যত ভাল উদ্যোগ হোক না কেন, কাজের সময় প্রত্যেক মোড়ে যানজটে বসে থাকতে কি ভাল লাগবে? আর ফুটওভারব্রিজগুলো এত উঁচু ও খাড়া যে, কেউই পরিশ্রম করে তাতে উঠতে চায় না। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ভবনের সামনে কাঁটাতার ডিঙিয়ে সড়ক পার হচ্ছিলেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থী আলফু। এ সময় পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি তার বোনের ফরম পূরণের টাকা জমা দিতে তাড়াহুড়া করে রাস্তা পার হচ্ছিলেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, ১টার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ টাকা জমা নেবে না। পরে অনেক অনুনয় বিনয় করেও তিনি ছাড়া পাননি। সেখানে দায়িত্বরত পল্লবী থানার ট্রফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার মেরিনা জানান, ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা না করা পর্যন্ত তিনি তাকে ছাড়তে পারবেন না। মেরিনা বলেন, এ অভিযানের ফলে পথচারীদের সামান্য কষ্ট হলেও অনেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম আরও জানান, বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ আদালতের অধীনে ১৭২ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এসব দ-প্রাপ্ত পথচারীর কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৯৯৩৫ টাকা। তিনি জানান, বিকাল ৫টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনার কথা থাকলেও ওই সময় পথচারীদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় রাত পর্যন্ত অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ অভিযানের উদ্দেশ্য জনসচেতনতা বাড়ানো। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। এক সপ্তাহ পর কিভাবে মনিটরিং করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনসচেতনতা বাড়লে রাস্তা পারাপারে আইন অমান্যের প্রবণতা কমবে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও বিষয়টি ভালভাবে তদারক করতে পারবেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় সেখানে উপস্থিত হন ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ, জয়েন্ট কমিশনার (ট্রাফিক), জয়েন্ট কমিশনার ক্রাইম, ডিসি পশ্চিম, ডিসি মিডিয়া সেল, এডিসি ট্রাফিক পশ্চিম, ট্রাফিক মনিটর সেল, সিনিয়র এসি ট্রাফিক (মোহাম্মদপুর), সিনিয়র এসি ট্রফিক (তেজগাঁও)। এর আগে পাইলট প্রকল্পের আওতায় শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেল মোড় থেকে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত ডিএমপি এ ব্যাপারে প্রচারাভিযান চালায়। ঢাকা মহানগর ট্রাফিক দক্ষিণের উপ-কমিশনার (ডিসি) খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করা হয়েছে। যারা এ নিয়ম না মেনে যত্রযত্র পারাপার হচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় ?আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছে।
এদিকে কাওরানবাজারের ভ্রাম্যমাণ আদালতটি পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। তার নেতৃত্বে হোটেল সোনারগাঁও মোড় থেকে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত তিনটি চেকপয়েন্ট বসানো হয়। চেকপয়েন্টগুলো সার্ক ফোয়ারা সিগন্যাল, আন্ডারপাস ও ফুটওভারব্রিজের মাঝামাঝি এবং ফার্মগেট পুলিশ বক্সের কাছে বসানো হয়েছে। কাওরানবাজারে যানজটে বসে থাকা খন্দকার দেলোয়ার বলেন, উদ্যোগটা ভাল। এতে জনসচেতনতা বাড়বে। এরপর থেকে আমিও রাস্তা পারাপারে সচেতন হবো। তিনি আরও বলেন, তবে যত ভাল উদ্যোগ হোক না কেন, কাজের সময় প্রত্যেক মোড়ে যানজটে বসে থাকতে কি ভাল লাগবে? আর ফুটওভারব্রিজগুলো এত উঁচু ও খাড়া যে, কেউই পরিশ্রম করে তাতে উঠতে চায় না। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ভবনের সামনে কাঁটাতার ডিঙিয়ে সড়ক পার হচ্ছিলেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থী আলফু। এ সময় পুলিশ তাকে আটক করে। তিনি তার বোনের ফরম পূরণের টাকা জমা দিতে তাড়াহুড়া করে রাস্তা পার হচ্ছিলেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, ১টার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ টাকা জমা নেবে না। পরে অনেক অনুনয় বিনয় করেও তিনি ছাড়া পাননি। সেখানে দায়িত্বরত পল্লবী থানার ট্রফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার মেরিনা জানান, ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা না করা পর্যন্ত তিনি তাকে ছাড়তে পারবেন না। মেরিনা বলেন, এ অভিযানের ফলে পথচারীদের সামান্য কষ্ট হলেও অনেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম আরও জানান, বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ আদালতের অধীনে ১৭২ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এসব দ-প্রাপ্ত পথচারীর কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৯৯৩৫ টাকা। তিনি জানান, বিকাল ৫টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনার কথা থাকলেও ওই সময় পথচারীদের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় রাত পর্যন্ত অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ অভিযানের উদ্দেশ্য জনসচেতনতা বাড়ানো। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। এক সপ্তাহ পর কিভাবে মনিটরিং করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনসচেতনতা বাড়লে রাস্তা পারাপারে আইন অমান্যের প্রবণতা কমবে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারাও বিষয়টি ভালভাবে তদারক করতে পারবেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার সময় সেখানে উপস্থিত হন ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ, জয়েন্ট কমিশনার (ট্রাফিক), জয়েন্ট কমিশনার ক্রাইম, ডিসি পশ্চিম, ডিসি মিডিয়া সেল, এডিসি ট্রাফিক পশ্চিম, ট্রাফিক মনিটর সেল, সিনিয়র এসি ট্রাফিক (মোহাম্মদপুর), সিনিয়র এসি ট্রফিক (তেজগাঁও)। এর আগে পাইলট প্রকল্পের আওতায় শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেল মোড় থেকে ফার্মগেট পুলিশ বক্স পর্যন্ত ডিএমপি এ ব্যাপারে প্রচারাভিযান চালায়। ঢাকা মহানগর ট্রাফিক দক্ষিণের উপ-কমিশনার (ডিসি) খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারে জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করা হয়েছে। যারা এ নিয়ম না মেনে যত্রযত্র পারাপার হচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় ?আনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছে।
No comments