প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেলের বিদায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর পদে কাকে নিয়োগ দেবেন, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসছে সাবেক উপমন্ত্রী মিশেল ফ্লুরনয়ের নাম। নিয়োগ পেলে তিনি হবেন পেন্টাগনের প্রথম নারী প্রধান। খবর এএফপি ও ক্রিস্টিয়ান সায়েন্স মনিটরের। ফ্লুরনয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী হলে সেনাবাহিনীতে নারীর অংশগ্রহণ, যৌন হয়রানির ঘটনা এবং সম্মুখযুদ্ধে উপস্থিতির মতো বিষয়ে পেন্টাগনের নীতিমালায় পরিবর্তন আসতে পারে। সম্ভাব্য নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে আরও যাঁদের নাম আলোচিত হচ্ছে, তাঁরা হলেন সিনেটর জন রিড এবং সাবেক সহকারী মন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার। ওবামা সরকারের শেষ মেয়াদে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী দুই বছর দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পাবেন। ৫৩ বছর বয়সী ফ্লুরনয় মার্কিন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে বেশ পরিচিত। এ পর্যন্ত পেন্টাগনের সর্বোচ্চ নারী কর্মকর্তা তিনি।
ইরাক, আফগানিস্তান, প্রতিরক্ষা বাজেট, পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনের আস্তানায় অভিযান ইত্যাদি ব্যাপারে নীতিনির্ধারণী দায়িত্বে যুক্ত ছিলেন। সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস এবং লিওন প্যানেট্টা নিজ নিজ স্মৃতিকথায় ফ্লুরনয়ের প্রশংসা করেছেন। সামরিক বাহিনীতে নারীর অধিকার রক্ষা নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। পেন্টাগনের প্রধান পদে একজন নারী নিয়োগ পেলে তারা বিষয়টিকে স্বভাবতই স্বাগত জানাবে। সার্ভিস উইমেনস অ্যাকশন নেটওয়ার্ক নামের একটি সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অনু ভগবতী বলেন, ‘ফ্লুরনয় সবদিক দিয়েই যোগ্য। প্রতিরক্ষা বিভাগে তিনি বেশ সম্মানিত ব্যক্তিও বটে। আমি মনে করি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তিনি দুর্দান্ত হবেন।’ হেগেলের বিদায়ের সম্ভাব্য কারণ: চাক হেগেল গত বছর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও জোরাল কৌশল নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন হেগেল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা জানান, তাঁকে আসলে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
No comments