অদম্য ঈশ্বর! by এনামুল হক
হাত দুটো খুব একটা কাজ করে না, প্রায় অবশ। শরীরেও জোর কম। এই প্রতিকূলতাগুলো লেখাপড়ায় বাধা হতে পারেনি। হাতে লিখতে না পারলেও অদম্য ইচ্ছায় মুখে কলম নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষাও দিচ্ছে। তার নাম ঈশ্বর চন্দ্র সূত্রধর। বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে। উল্লাপাড়ার বালসাবাড়ি হাজী আমিনুল উচ্চবিদ্যালয় প্রাথমিক সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন গিয়ে ঈশ্বর চন্দ্র সূত্রধর। আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল মুখে কলম নিয়ে প্রশ্নের উত্তর লিখেছেন ঈশ্বর। মুখে কলম নিয়ে এমন সুন্দর করে লেখা যায়, যা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। ঈশ্বর চন্দ্রের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জন্মগতভাবেই সে প্রতিবন্ধী। দুটো হাতই তার প্রায় অবশ। শক্তি পায় কম। তাই জোর কম শরীরেও। দুই ভাইবোনের মধ্যে ঈশ্বর চন্দ্র সূত্রধর সবার ছোট। ছোটবেলায় মা কুন্তি রানী মারা যাওয়ার পর দিনমজুর পিতা প্রফুল্ল চন্দ্র সূত্রধর আবার বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। এমন অবস্থায় বিবাহিত বোন রেবা রানী তাকে লালন-পালন করতে থাকেন। কেবল তার অদম্য ইচ্ছার কারণেই রেবা রানী লেখাপড়া করার জন্য পাশের পারসোনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি করে দেয়। এরপর স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল কবিরের সহযোগিতায় সে চতুর্থ শ্রেণি পাস করে। এ বছর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ঈশ্বর চন্দ্র পরীক্ষা কক্ষে অপর পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুখে কলম ধরে লিখছে। পরীক্ষা শেষে কথা হয় ঈশ্বরের সঙ্গে। সে জানায়, তার বোন রেবা রানী এবং স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় সে এ পর্যন্ত এসেছে। সব প্রতিকূলতার মধ্যেও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একজন উপযুক্ত মানুষ হওয়ার ইচ্ছা ঈশ্বরের। পারসোনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল কবির বললেন, ঈশ্বর ছাত্র হিসেবে ভালো। লেখার পাশাপশি মুখ দিয়েও সে চমৎকার ছবি আঁকে। এ ছাড়া স্কুলে তার ব্যবহার আচরণও সুন্দর। বোন রেবা রানী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ঈশ্বরের লেখাপড়ার প্রতি খুব ঝোঁক ছিল। শরীর না পারলেও কেবল মনের জোরে মুখ দিয়ে লিখে লেখাপড়া শুরু করে। মনের জোরেই সে এ পর্যন্ত এসেছে। তা ছাড়া ভালো পড়ালেখা করার কারণে শিক্ষকরাও অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছে। জানি না ভাগ্যে কী আছে?’
আজ মঙ্গলবার ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ঈশ্বর চন্দ্র পরীক্ষা কক্ষে অপর পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুখে কলম ধরে লিখছে। পরীক্ষা শেষে কথা হয় ঈশ্বরের সঙ্গে। সে জানায়, তার বোন রেবা রানী এবং স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় সে এ পর্যন্ত এসেছে। সব প্রতিকূলতার মধ্যেও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একজন উপযুক্ত মানুষ হওয়ার ইচ্ছা ঈশ্বরের। পারসোনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল কবির বললেন, ঈশ্বর ছাত্র হিসেবে ভালো। লেখার পাশাপশি মুখ দিয়েও সে চমৎকার ছবি আঁকে। এ ছাড়া স্কুলে তার ব্যবহার আচরণও সুন্দর। বোন রেবা রানী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ঈশ্বরের লেখাপড়ার প্রতি খুব ঝোঁক ছিল। শরীর না পারলেও কেবল মনের জোরে মুখ দিয়ে লিখে লেখাপড়া শুরু করে। মনের জোরেই সে এ পর্যন্ত এসেছে। তা ছাড়া ভালো পড়ালেখা করার কারণে শিক্ষকরাও অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেছে। জানি না ভাগ্যে কী আছে?’
No comments