আসামি থেকেই যাচ্ছেন মেয়র আরিফ
সাবেক অর্থমন্ত্রী, বরেণ্য কূটনীতিক শাহ
এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিটের নারাজি দেয়া হচ্ছে না। ফলে আসামি
থেকেই যাচ্ছেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুুরী। মঙ্গলবার যুগান্তরের সঙ্গে
আলাপ হয় মামলার বাদী ও ভিকটিমের পরিবারের। গ্রেনেড হামলায় নিহত কিবরিয়ার
ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, চার্জশিটে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। নারাজি
দেয়ার চিন্তা করছি না। তবে হত্যা ষড়যন্ত্রে জড়িত দুএকজন এবারও বাদ পড়েছে।
হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. এমদাদুল হক এর মধ্যে অন্যতম।
হত্যাকাণ্ডের দিন তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত রহস্যজনক। অদৃশ্য ক্ষমতা তাকে
আড়াল করে রেখেছে। শুনেছি একজন সংসদ সদস্য তাকে শেল্টার দিয়ে যাচ্ছেন।
মেয়র আরিফকে চার্জশিটে আসামি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চার্জশিটে আমাদের ভিকটিম পরিবারের কোনো হাত নেই। মেয়র আরিফ কিভাবে চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেন তা আমাদের জানার কথাও না। তিনি বলেন, হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানের ভিডিও রেকর্ডকৃত জবানবন্দি শুনেছি। সেখানে আরিফুল হক নয়, আরিফুল ইসলাম নামে একজনের নাম এসেছে। সেই আরিফ এ আরিফ কিনা তা আমি জানিনা। তদন্তকারীরাই বলতে পারবেন। তবে মামলার জন্য ভিডিও বক্তব্য নয়, লিখিত বক্তব্য প্রাধান্য পাওয়ার কথা। আদালতে দেয়া মুফতি হান্নানের বক্তব্য পড়লে বুঝা যাবে। তিনি বলেন, আমার বাবার প্রকৃত ঘাতক ছাড়া নিরাপরাধ কেউ অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত হোক তা আমি চাই না। আবার নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তারা যত বড় ক্ষমতাধরই হোক, তাদের আমি ভয় করি না। তাদের বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার। তিনি বলেন, ঘাতকরা শুধু আমার বাবার হত্যাকারীই নয়, এই দেশ ও জাতির জন্য চরম হুমকি।
ড. রেজা কিবরিয়া এখন বিশ্বের অর্থনীতিবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি পিডিএফের বাংলাদেশ প্রধান, অক্সফোর্ড ইউনির্ভাসিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ছাড়াও বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন দীর্ঘ ১৮ বছর।
কিবরিয়া হত্যা মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি কিছুটা নাখোশ ভিকটিমের পরিবারের ওপর। বিকালে ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, মামলার চার্জশিট হয়েছে। এ চার্জশিট ভিকটিমের পরিবার গ্রহণ করেছেন। তারা সন্তুষ্ট থাকলে নারাজি দেয়ার প্রয়োজন নেই। তারা অনেক বিজ্ঞ ও সচেতন। তারাই পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি স্রেফ মামলার বাদী। আমাদের নেতা কিবরিয়া গ্রেনেড হামলায় নিহত হওয়ার পর আমি মামলা করেছিলাম। এখন আমরা ন্যায়বিচার প্রার্থী। স্পর্শকাতর এ মামলার সম্পূরক চার্জশিট নিয়ে শুরু থেকেই চলছে নানা লুকোচুরি। নানা ভুল ধরা পড়ে চার্জশিট জমা দেয়ার পর। জমা দেয়া চার্জশিটে প্রথমে অভিযুক্ত করা হয় আরিফুল ইসলাম চৌধুরী নামের একজনকে। অথচ নাম ঠিকানা উল্লেখ করা হয় সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর। এছাড়া চার্জশিটে শায়েস্তানগরের স্থলে শায়েস্তাগঞ্জ উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে আবার চার্জশিটটি সংশোধন করে ইসলাম-এর স্থলে হক এবং শায়েস্তাগঞ্জ-এর স্থলে শায়েস্তানগর বসিয়ে সংশোধন করা হয়। সম্প্রতি সিলেট সিটি মেয়র, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা পারুল। তিনি ভুল সংশোধনের কথা স্বীকার করেছেন।
চার্জশিটে সিলেটের মেয়র আরিফকেই আসামি করা হয়েছে এটা নিশ্চিত হওয়ার পর সিলেটে তোলপাড় চলছে। এর আগে কিবরিয়া হত্যা মামলার প্রথম চার্জশিট দিয়েছিলেন সিআইডির তৎকালীন সিনিয়র এসএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান। তিনি ১০ জনকে অভিযুক্ত করেছিলেন। মামলার দ্বিতীয় দফার চার্জশিট দেন সিআইডির তৎকালীন সিনিয়র এসএসপি রফিকুল ইসলাম। ওই চার্জশিটে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী, বরেণ্য কূটনীতিক শাহ এএমএস কিবরিয়া।
মেয়র আরিফকে চার্জশিটে আসামি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চার্জশিটে আমাদের ভিকটিম পরিবারের কোনো হাত নেই। মেয়র আরিফ কিভাবে চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেন তা আমাদের জানার কথাও না। তিনি বলেন, হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানের ভিডিও রেকর্ডকৃত জবানবন্দি শুনেছি। সেখানে আরিফুল হক নয়, আরিফুল ইসলাম নামে একজনের নাম এসেছে। সেই আরিফ এ আরিফ কিনা তা আমি জানিনা। তদন্তকারীরাই বলতে পারবেন। তবে মামলার জন্য ভিডিও বক্তব্য নয়, লিখিত বক্তব্য প্রাধান্য পাওয়ার কথা। আদালতে দেয়া মুফতি হান্নানের বক্তব্য পড়লে বুঝা যাবে। তিনি বলেন, আমার বাবার প্রকৃত ঘাতক ছাড়া নিরাপরাধ কেউ অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত হোক তা আমি চাই না। আবার নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তারা যত বড় ক্ষমতাধরই হোক, তাদের আমি ভয় করি না। তাদের বিরুদ্ধে আমি সোচ্চার। তিনি বলেন, ঘাতকরা শুধু আমার বাবার হত্যাকারীই নয়, এই দেশ ও জাতির জন্য চরম হুমকি।
ড. রেজা কিবরিয়া এখন বিশ্বের অর্থনীতিবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে তিনি পিডিএফের বাংলাদেশ প্রধান, অক্সফোর্ড ইউনির্ভাসিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ছাড়াও বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন দীর্ঘ ১৮ বছর।
কিবরিয়া হত্যা মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি কিছুটা নাখোশ ভিকটিমের পরিবারের ওপর। বিকালে ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, মামলার চার্জশিট হয়েছে। এ চার্জশিট ভিকটিমের পরিবার গ্রহণ করেছেন। তারা সন্তুষ্ট থাকলে নারাজি দেয়ার প্রয়োজন নেই। তারা অনেক বিজ্ঞ ও সচেতন। তারাই পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি স্রেফ মামলার বাদী। আমাদের নেতা কিবরিয়া গ্রেনেড হামলায় নিহত হওয়ার পর আমি মামলা করেছিলাম। এখন আমরা ন্যায়বিচার প্রার্থী। স্পর্শকাতর এ মামলার সম্পূরক চার্জশিট নিয়ে শুরু থেকেই চলছে নানা লুকোচুরি। নানা ভুল ধরা পড়ে চার্জশিট জমা দেয়ার পর। জমা দেয়া চার্জশিটে প্রথমে অভিযুক্ত করা হয় আরিফুল ইসলাম চৌধুরী নামের একজনকে। অথচ নাম ঠিকানা উল্লেখ করা হয় সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর। এছাড়া চার্জশিটে শায়েস্তানগরের স্থলে শায়েস্তাগঞ্জ উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে আবার চার্জশিটটি সংশোধন করে ইসলাম-এর স্থলে হক এবং শায়েস্তাগঞ্জ-এর স্থলে শায়েস্তানগর বসিয়ে সংশোধন করা হয়। সম্প্রতি সিলেট সিটি মেয়র, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা পারুল। তিনি ভুল সংশোধনের কথা স্বীকার করেছেন।
চার্জশিটে সিলেটের মেয়র আরিফকেই আসামি করা হয়েছে এটা নিশ্চিত হওয়ার পর সিলেটে তোলপাড় চলছে। এর আগে কিবরিয়া হত্যা মামলার প্রথম চার্জশিট দিয়েছিলেন সিআইডির তৎকালীন সিনিয়র এসএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান। তিনি ১০ জনকে অভিযুক্ত করেছিলেন। মামলার দ্বিতীয় দফার চার্জশিট দেন সিআইডির তৎকালীন সিনিয়র এসএসপি রফিকুল ইসলাম। ওই চার্জশিটে ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী, বরেণ্য কূটনীতিক শাহ এএমএস কিবরিয়া।
No comments