আমেরিকায় দাঙ্গা, লুটপাট
যুক্তরাষ্ট্রের
মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসনে কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউনকে হত্যার
রায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দাঙ্গা ও লুটপাট শুরু হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে
কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভকারীদের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। গ্র্যান্ড জুরি কৃষ্ণাঙ্গ
ওই কিশোরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়মুক্তি
দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ফার্গুসনের
বাসিন্দারা সহিংস এ বিক্ষোভ করছে। ৯ আগস্ট শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা
ড্যারেন উইলসনের গুলিতে মাইকেল ব্রাউন (১৮) নিহত হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা
ব্রাউনকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে ছয়টি গুলি করেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা
বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ চলে এবং পুলিশের সঙ্গে সহিংস
সংঘর্ষ হয়। সোমবার গ্র্যান্ড জুরি গুলিবর্ষণকারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
অভিযোগ গঠন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ফার্গুসন ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
বিক্ষোভ, দাঙ্গা ও লুটপাট শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবামা বলেন, আমিও ব্রাউনের বাবা-মা’র সঙ্গে মিলিতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি এ বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সামলাতে ফার্গুসন ও এ অঞ্চলের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদেরও আমি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি। ফার্গুসনের সেন্ট লুইস এলাকার পুলিশ প্রধান জন বেলমার বলেন, কৃষ্ণাঙ্গ ওই কিশোর নিহত হওয়ার পর গত আগস্টে যে ধরনের সহিংসতা হয়েছিল এখন সম্ভবত তার চেয়ে বেশি সহিংসতা হচ্ছে। তিনি বলেন, জনতার দিক থেকে কমপক্ষে ১৫০টি গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে রাতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখিনি এবং পুরো ঘটনায় আমি হতাশ। দুর্ভাগ্যক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।’ পুলিশ প্রধান বলেন, বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্ষোভকারীদের দেয়া আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। পুলিশের দুটি গাড়ি প্রকৃতপক্ষে পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম না। তবে আমরা ধৈর্য ধারণ করেছি। আমাদের ১০ হাজার পুলিশ সদস্য ছিল।’ আফ্রিকান আমেরিকান কমিউনিটির অনেকে পুলিশ কর্মকর্তা ড্যারেন উইলসনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানার জন্য ফার্গুসন শহরে দুপুর থেকে লোকজন জড়ো হতে থাকে। তবে জুরি বোর্ড রায়ে উল্লেখ করেছে, পুলিশ কর্মকর্তা আত্মরক্ষার্থে গুলি করার ফলে ব্রাউন মারা যান। তাই অভিযোগ থেকে পুলিশ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়া হল। এই ঘোষণার পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ফার্গুসনের বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকে, জুরি বোর্ডের এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি স্থানে ব্যারিকেড দেয় এবং পুলিশকে বিদ্রুপ করতে থাকে। রায়কে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ার থেকে শুরু করে শিকাগো, ডেট্রোয়েটসহ কৃষ্ণাঙ্গদের বসবাসরত এলাকায় রাতেই ব্যাপক বিক্ষোভ, সমাবেশ হয়। তবে অন্য এলাকাগুলোতে বিক্ষোভ, সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হলেও ফার্গুসন শহরের অবস্থা ভিন্ন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
ফার্গুসন শহরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সোমবার মধ্য রাত পর্যন্ত সেখানকার তিনটি ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। অনেক দোকানপাটে ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এএফপি।
ওবামা বলেন, আমিও ব্রাউনের বাবা-মা’র সঙ্গে মিলিতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি এ বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সামলাতে ফার্গুসন ও এ অঞ্চলের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদেরও আমি সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি। ফার্গুসনের সেন্ট লুইস এলাকার পুলিশ প্রধান জন বেলমার বলেন, কৃষ্ণাঙ্গ ওই কিশোর নিহত হওয়ার পর গত আগস্টে যে ধরনের সহিংসতা হয়েছিল এখন সম্ভবত তার চেয়ে বেশি সহিংসতা হচ্ছে। তিনি বলেন, জনতার দিক থেকে কমপক্ষে ১৫০টি গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে রাতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখিনি এবং পুরো ঘটনায় আমি হতাশ। দুর্ভাগ্যক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।’ পুলিশ প্রধান বলেন, বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্ষোভকারীদের দেয়া আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। পুলিশের দুটি গাড়ি প্রকৃতপক্ষে পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম না। তবে আমরা ধৈর্য ধারণ করেছি। আমাদের ১০ হাজার পুলিশ সদস্য ছিল।’ আফ্রিকান আমেরিকান কমিউনিটির অনেকে পুলিশ কর্মকর্তা ড্যারেন উইলসনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার জুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানার জন্য ফার্গুসন শহরে দুপুর থেকে লোকজন জড়ো হতে থাকে। তবে জুরি বোর্ড রায়ে উল্লেখ করেছে, পুলিশ কর্মকর্তা আত্মরক্ষার্থে গুলি করার ফলে ব্রাউন মারা যান। তাই অভিযোগ থেকে পুলিশ কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয়া হল। এই ঘোষণার পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ফার্গুসনের বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকে, জুরি বোর্ডের এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। বিক্ষোভকারীরা কয়েকটি স্থানে ব্যারিকেড দেয় এবং পুলিশকে বিদ্রুপ করতে থাকে। রায়কে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ার থেকে শুরু করে শিকাগো, ডেট্রোয়েটসহ কৃষ্ণাঙ্গদের বসবাসরত এলাকায় রাতেই ব্যাপক বিক্ষোভ, সমাবেশ হয়। তবে অন্য এলাকাগুলোতে বিক্ষোভ, সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হলেও ফার্গুসন শহরের অবস্থা ভিন্ন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
ফার্গুসন শহরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সোমবার মধ্য রাত পর্যন্ত সেখানকার তিনটি ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। অনেক দোকানপাটে ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এএফপি।
No comments