ধুঁকে ধুঁকে চলছে উপজেলার সরকারি কলেজ
কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে সরকারি মুজিব
মহাবিদ্যালয়-এ চলছে শিক্ষক সংকট। এ কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াও বিঘ্নিত
হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই এলাকার সংসদ সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন। আশু শিক্ষক
সংকট নিরসনের অনুরোধ করেছেন তিনি। মন্ত্রীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে
বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) কলেজটিতে শিক্ষক পদায়নের
প্রক্রিয়া চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু বসুরহাটই নয়, দেশের উপজেলা
পর্যায়ের বেশির ভাগ এবং জেলা পর্যায়ের কিছু কিছু কলেজে শিক্ষক সংকট
বর্তমানে তীব্র। সম্প্রতি শিক্ষা ক্যাডারের ৩ স্তরে সর্বমোট ২ হাজার ১৩০
জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়। এরপর মফস্বলের কলেজগুলোতে এই সংকট আরও চরম আকার
ধারণ করেছে।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, মফস্বলের কলেজগুলো সবসময়ই আমাদের অগ্রাধিকারে থাকে। পদোন্নতির কারণে কিছু শিক্ষক অন্যত্র বদলির সুযোগ পেয়েছেন সত্যি। তবে সবাইকে সরিয়ে আনা হয়েছে। সবেতনে অনেককেই আগের স্থানে রেখে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া আরও প্রভাষক নিয়োগের জন্য আমরা ইতিমধ্যে সাড়ে তিন হাজার পদের রিকুইজিশন (চাহিদা) সরকারি কর্মকমিশনকে দিয়েছি। আশা করছি, ৩৪ ও ৩৫তম বিসিএস থেকে এটা দ্রুত পূরণ করা সম্ভব হবে। জানা গেছে, সারা দেশে বর্তমানে ৩০৩টি সরকারি কলেজ আছে। এরমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজ মাত্র দুটি আর মাদ্রাসা ৪টি। উচ্চ মাধ্যমিক এবং উপজেলা পর্যায়ের কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ছাড়া আর সব পদ প্রভাষকের। সাধারণত অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকরা অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ হয়ে থাকেন। ফলে এসব কলেজে নেতৃত্বের সমস্যা নেই। কিন্তু একদিকে সহস্রাধিক প্রভাষকের সহকারী অধ্যাপক হওয়া আর আড়াই হাজার প্রভাষকের পদ শূন্য থাকায় এর প্রভাব পড়েছে উপজেলা তথা মফস্বলের কলেজে। ফলে এসব কলেজ চলছে ধুঁকে ধুঁকে।
জানা গেছে, সর্বশেষ তিন স্তরের পদোন্নতির ফলে ২৪তম বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া প্রভাষকরা সবাই সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন। ২৫ থেকে ২৭তম বিসিএসের কয়েকটি বিষয় বাদে বাকিরা সহকারী হয়েছেন। কিন্তু ২৮তম বিসিএস থেকে ৩৩তম পর্যন্ত সবাই প্রভাষকই আছেন। ২৫ থেকে ৩৩তম বিসিএসে মোট আড়াই হাজার প্রভাষক আছেন। জানা গেছে, এদের মধ্যে অনেকেই মামার জোরে ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কলেজে আছেন। ফলে বসুরহাটের মুজিব মহাবিদ্যালয়ের মতো উপজেলা পর্যায়ের কলেজগুলো ভুগছে শিক্ষক সংকটে।
সাধারণত ঢাকার বাইরের কলেজে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদায়ন করে মাউশি। ঢাকার বাইরে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক এবং ঢাকায় সব ধরনের কর্মকর্তার পদায়ন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, নতুন পদোন্নতিতে মফস্বলের কলেজে ছোটখাটো ধাক্কা লাগতে পারে, এই আশংকা থেকেই আমরা পদোন্নতি পরবর্তী পদায়নে সবেতনে আগের স্থানে রেখে দিয়েছি। এটা মূলত এক ধরনের সংযুক্তিই। তারপরও এটা করতে হয়েছে। এর বাইরে দেশের কোনো কলেজে কত সংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে সেটাও নিরূপণের কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ সব তথ্য পাওয়া যাবে। এরপর সেগুলো পূরণে উদ্যোগ নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকায় কিছু সংযুক্তি প্রয়োজনের নিরিখে করা হয়। আমরা অপ্রয়োজনীয় সংযুক্তি বের করে তাদের থেকে প্রয়োজনে শিক্ষক সংকটে থাকা কলেজে পদায়ন করব। শিক্ষা ছুটিজনিত ওএসডি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষক- এই চারটি স্তর রয়েছে। সহকারী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পর্যায় পর্যন্ত তিন স্তরে পদোন্নতি দেয়া হয়। এরমধ্যে এবার অধ্যাপক পদে ৩৬৬, সহযোগী অধ্যাপক পদে ৬৭৬ ও সহকারী অধ্যাপক পদে ১ হাজার ৮৮ জন পদোন্নতি পেয়েছেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকের বেশির ভাগ মফস্বলের কলেজের। কিন্তু পদোন্নতির পর তাদের খুব কমসংখ্যকই এ উপজেলা পর্যায়ের কলেজে পদায়ন পেয়েছেন। জেলার বড় বড় কলেজে চলে এসেছেন। এর বাইরে ইনসিটু (নিুপদে কর্মরত, কিন্তু উপরের পদের বেতনভোগী) ৪৩ অধ্যাপক, ১২৮ সহযোগী অধ্যাপক এবং ২২২ জন সহকারী অধ্যাপককেও পদায়ন করা হয়। এদের বেশির ভাগই ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের বড় বড় কলেজ ও অন্য সরকারী দফতরে নিয়োজিত ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের পদোন্নতির কারণে প্রায় ৬ বছর ধরে ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কিছু প্রভাষককে ঢাকার বাইরে পদায়ন করা হয়। ঢাকায় থাকা এসব প্রভাষকের বেশির ভাগই প্রভাবশালী। অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ারও অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে মন্ত্রণালয় চিহ্নিত এসব কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে পাঠিয়ে দেয়। জানা গেছে, এ ধরনের মোট ৬১ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। এরা আবার ঢাকায়ই থাকার জন্য নিজেদের সাবেক ছাত্রলীগার পরিচয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত গিয়েছেন। এ নিয়ে একশ্রেণীর ব্যক্তি বিতর্ক তৈরিরও চেষ্টা করছেন। জানতে চাইলে এই অংশের একজন বিজয় কুমার ঘোষ বলেন, যেসব কর্মকর্তা ঢাকার বাইরে বদলির আদেশ পেয়েছেন তাদের মধ্যে কিছু কর্মকর্তা ছাত্রলীগের পরিচয়ে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) সাইফুজ্জামান শিখরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা তাদের ঢাকার বাইরে বদলির ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করার কথাও জানান।
জানা গেছে, ৪৪২ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন সরকারি দফতরে রয়েছেন সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে। ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে আছেন আরও অন্তত ২শ কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তার অনুপস্থিতির প্রভাবও পড়েছে মফস্বলের কলেজগুলোতে। কেননা, গ্রামে থাকবেন না বলেই একশ্রেণীর কর্মকর্তা সংযুক্তি নিয়ে শহরের বিভিন্ন কলেজ ও সরকারি দফতরে ঢুকে পড়েছেন। আর ওএসডি হিসেবে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগ শিক্ষা ছুটি নেয়া। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষা ছুটির আড়ালেও অনেকেরই মূলত গ্রামে না যাওয়া আর শহরে থাকার মানসিকতা রয়েছে। এর বাইরে কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই সাধারণত শহরের কলেজে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে ফাঁকা থাকে গ্রামের কলেজ। মাউশির সহকারী পরিচালক কামাল হায়দার জানান, পদোন্নতির পর বাকি তিন স্তরে আর পদ শূন্য নেই। এরপরও নতুন করে কলেজ ধরে ধরে শূন্য পদ বের করার কাজ চলছে।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, মফস্বলের কলেজগুলো সবসময়ই আমাদের অগ্রাধিকারে থাকে। পদোন্নতির কারণে কিছু শিক্ষক অন্যত্র বদলির সুযোগ পেয়েছেন সত্যি। তবে সবাইকে সরিয়ে আনা হয়েছে। সবেতনে অনেককেই আগের স্থানে রেখে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া আরও প্রভাষক নিয়োগের জন্য আমরা ইতিমধ্যে সাড়ে তিন হাজার পদের রিকুইজিশন (চাহিদা) সরকারি কর্মকমিশনকে দিয়েছি। আশা করছি, ৩৪ ও ৩৫তম বিসিএস থেকে এটা দ্রুত পূরণ করা সম্ভব হবে। জানা গেছে, সারা দেশে বর্তমানে ৩০৩টি সরকারি কলেজ আছে। এরমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজ মাত্র দুটি আর মাদ্রাসা ৪টি। উচ্চ মাধ্যমিক এবং উপজেলা পর্যায়ের কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ছাড়া আর সব পদ প্রভাষকের। সাধারণত অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকরা অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ হয়ে থাকেন। ফলে এসব কলেজে নেতৃত্বের সমস্যা নেই। কিন্তু একদিকে সহস্রাধিক প্রভাষকের সহকারী অধ্যাপক হওয়া আর আড়াই হাজার প্রভাষকের পদ শূন্য থাকায় এর প্রভাব পড়েছে উপজেলা তথা মফস্বলের কলেজে। ফলে এসব কলেজ চলছে ধুঁকে ধুঁকে।
জানা গেছে, সর্বশেষ তিন স্তরের পদোন্নতির ফলে ২৪তম বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া প্রভাষকরা সবাই সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন। ২৫ থেকে ২৭তম বিসিএসের কয়েকটি বিষয় বাদে বাকিরা সহকারী হয়েছেন। কিন্তু ২৮তম বিসিএস থেকে ৩৩তম পর্যন্ত সবাই প্রভাষকই আছেন। ২৫ থেকে ৩৩তম বিসিএসে মোট আড়াই হাজার প্রভাষক আছেন। জানা গেছে, এদের মধ্যে অনেকেই মামার জোরে ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কলেজে আছেন। ফলে বসুরহাটের মুজিব মহাবিদ্যালয়ের মতো উপজেলা পর্যায়ের কলেজগুলো ভুগছে শিক্ষক সংকটে।
সাধারণত ঢাকার বাইরের কলেজে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদায়ন করে মাউশি। ঢাকার বাইরে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক এবং ঢাকায় সব ধরনের কর্মকর্তার পদায়ন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, নতুন পদোন্নতিতে মফস্বলের কলেজে ছোটখাটো ধাক্কা লাগতে পারে, এই আশংকা থেকেই আমরা পদোন্নতি পরবর্তী পদায়নে সবেতনে আগের স্থানে রেখে দিয়েছি। এটা মূলত এক ধরনের সংযুক্তিই। তারপরও এটা করতে হয়েছে। এর বাইরে দেশের কোনো কলেজে কত সংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে সেটাও নিরূপণের কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ সব তথ্য পাওয়া যাবে। এরপর সেগুলো পূরণে উদ্যোগ নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকায় কিছু সংযুক্তি প্রয়োজনের নিরিখে করা হয়। আমরা অপ্রয়োজনীয় সংযুক্তি বের করে তাদের থেকে প্রয়োজনে শিক্ষক সংকটে থাকা কলেজে পদায়ন করব। শিক্ষা ছুটিজনিত ওএসডি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষক- এই চারটি স্তর রয়েছে। সহকারী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পর্যায় পর্যন্ত তিন স্তরে পদোন্নতি দেয়া হয়। এরমধ্যে এবার অধ্যাপক পদে ৩৬৬, সহযোগী অধ্যাপক পদে ৬৭৬ ও সহকারী অধ্যাপক পদে ১ হাজার ৮৮ জন পদোন্নতি পেয়েছেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকের বেশির ভাগ মফস্বলের কলেজের। কিন্তু পদোন্নতির পর তাদের খুব কমসংখ্যকই এ উপজেলা পর্যায়ের কলেজে পদায়ন পেয়েছেন। জেলার বড় বড় কলেজে চলে এসেছেন। এর বাইরে ইনসিটু (নিুপদে কর্মরত, কিন্তু উপরের পদের বেতনভোগী) ৪৩ অধ্যাপক, ১২৮ সহযোগী অধ্যাপক এবং ২২২ জন সহকারী অধ্যাপককেও পদায়ন করা হয়। এদের বেশির ভাগই ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের বড় বড় কলেজ ও অন্য সরকারী দফতরে নিয়োজিত ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের পদোন্নতির কারণে প্রায় ৬ বছর ধরে ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কিছু প্রভাষককে ঢাকার বাইরে পদায়ন করা হয়। ঢাকায় থাকা এসব প্রভাষকের বেশির ভাগই প্রভাবশালী। অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ারও অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে মন্ত্রণালয় চিহ্নিত এসব কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে পাঠিয়ে দেয়। জানা গেছে, এ ধরনের মোট ৬১ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। এরা আবার ঢাকায়ই থাকার জন্য নিজেদের সাবেক ছাত্রলীগার পরিচয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত গিয়েছেন। এ নিয়ে একশ্রেণীর ব্যক্তি বিতর্ক তৈরিরও চেষ্টা করছেন। জানতে চাইলে এই অংশের একজন বিজয় কুমার ঘোষ বলেন, যেসব কর্মকর্তা ঢাকার বাইরে বদলির আদেশ পেয়েছেন তাদের মধ্যে কিছু কর্মকর্তা ছাত্রলীগের পরিচয়ে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) সাইফুজ্জামান শিখরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা তাদের ঢাকার বাইরে বদলির ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করার কথাও জানান।
জানা গেছে, ৪৪২ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন সরকারি দফতরে রয়েছেন সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে। ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে আছেন আরও অন্তত ২শ কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তার অনুপস্থিতির প্রভাবও পড়েছে মফস্বলের কলেজগুলোতে। কেননা, গ্রামে থাকবেন না বলেই একশ্রেণীর কর্মকর্তা সংযুক্তি নিয়ে শহরের বিভিন্ন কলেজ ও সরকারি দফতরে ঢুকে পড়েছেন। আর ওএসডি হিসেবে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগ শিক্ষা ছুটি নেয়া। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষা ছুটির আড়ালেও অনেকেরই মূলত গ্রামে না যাওয়া আর শহরে থাকার মানসিকতা রয়েছে। এর বাইরে কর্মকর্তাদের বেশির ভাগই সাধারণত শহরের কলেজে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে ফাঁকা থাকে গ্রামের কলেজ। মাউশির সহকারী পরিচালক কামাল হায়দার জানান, পদোন্নতির পর বাকি তিন স্তরে আর পদ শূন্য নেই। এরপরও নতুন করে কলেজ ধরে ধরে শূন্য পদ বের করার কাজ চলছে।
No comments