কাদের মোল্লার ন্যায়বিচার পাওয়া না পাওয়ার প্রশ্ন
ফাঁসির রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকারের
তাড়াহুড়োর কারণে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা
ন্যায়বিচার পেয়েছিলেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার আইনজীবীরা বলছেন,
সরকার তাড়াহুড়ো করে তাকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করেছেন। তবে এ বক্তব্যের
সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩-এ দণ্ডিত ব্যক্তিদের পক্ষে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন দায়েরের জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের পূর্ণ রায় প্রকাশের পর তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের তাড়াহুড়োর কারণে সেদিন তড়িঘড়ি করে রিভিউ আবেদন করা হয়েছিল। আমরা যদি সময় পেতাম, তাহলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারতাম। কিন্তু আমাদের তখন সময় দেয়া হয়নি। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির এ সভাপতি আরও বলেন, কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। সরকারের তাড়াহুড়োর কারণে তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হলেন কিনা জনমনে এখন সেই প্রশ্ন উঠেছে।
কাদের মোল্লার আরেক আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হল, কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদন দায়েরের জন্য ১৫ দিন সময় ছিল। কিন্তু সরকারের তাড়াহুড়োর কারণে আমরা দ্রুত রিভিউ আবেদন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরে তা দু’দিনের শুনানি করেই খারিজ করা হয়েছিল। রিভিউয়ের জন্য সময় পেলে কাদের মোল্লা আরও কয়েকদিন বেঁচে থাকতেন। তাকে অবশ্যই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, তিনি কেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন? তার রিভিউ আবেদনের শুনানি করেই তো খারিজ করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রায় দেন আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বর রায়ের পূর্ণ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। রায়ের কপি প্রকাশের পর ৮ ডিসেম্বর তা ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনাল সেদিনই মৃত্যুপরোয়ানা জারি করে আদেশটি ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। ৯ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রায় পুনর্বিবেচনার এবং জেল কোডের কোনো বিধান কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তাই যে কোনো দিন তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা যাবে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের এ বক্তব্যের পরের দিন রাতে ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। ওই রাতেই কাদের মোল্লার পক্ষে দুটি আবেদন দাখিল করা হয় আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে। এর একটি ছিল রিভিউ আবেদন গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে, অন্যটি ছিল রিভিউ আবেদন। এ দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিত করার আদেশ দেন। এরপর ১১ ও ১২ ডিসেম্বর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ দুটি আবেদনই খারিজ করে দেন। ১২ ডিসেম্বর রাতেই কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর থেকে তার ফাঁসি কার্যকরে সময় লাগে এক সপ্তাহ।
জামায়াতের আরেক সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের পরও একই অবস্থা দেখা যায়। ৩ নভেম্বর আপিলে ফাঁসি বহাল রাখার রায়ের পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘এই রায় রিভিউয়ের (পুনর্মূল্যায়নের) কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না’। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এর আগে কাদের মোল্লার রায়ের পরেও তার পক্ষ থেকে একটি রিভিউ আবেদন হয়েছিল, আদালত তা খারিজ করে দেন। এক্ষেত্রে রিভিউয়ের আর কোনো সুযোগ নেই’।
অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যক্তিগত মত জানিয়ে বলেন, ‘কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপির প্রয়োজন হবে না। সংক্ষিপ্ত আদেশেও তার ফাঁসি কার্যকর করা যেতে পারে’। এর দু’দিন পর আইনমন্ত্রী তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তিনি প্রাণভিক্ষার জন্য সাত দিনের সময় পাবেন। যখন থেকে তিনি মৃত্যুদণ্ড বহালের খবর শুনেছেন, তখন থেকে এ সাত দিনের গণনা শুরু হয়েছে।
পরে অবশ্য অ্যাটর্নি জেনারেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংক্ষিপ্ত আদেশ পাঠানো হবে, নাকি পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাঠানো হবে, তার সম্পূর্ণ এখতিয়ার আপিল বিভাগের। এছাড়া আপিল বিভাগ যেহেতু এখনও সংক্ষিপ্ত আদেশ পাঠাননি, সেহেতু পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিই পাঠাবেন বলে ধারণা করছি। মঙ্গলবার রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, রিভউয়ের রায় প্রকাশ হওয়ায় কামারুজ্জামানের রিভিউ নিয়ে দোদুল্যমনতা কেটে গেল। আমি বলেছিলাম রিভউ করার সুযোগ নেই। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টের এখতিয়ার বলে তার একটা সুষ্ঠু সমাধান হল।
মাহবুবে আলম আরও বলেন, কামারুজ্জামানের রিভিউ করার সুযোগ করে দিলেও তার ক্ষেত্রে জেলকোড প্রযোজ্য হবে না বলে রায়ে বলা হয়েছে। তবে কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি হওয়ার পরে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা (প্রাণ ভিক্ষা) চাইতে পারবেন। রিভিউ আবেদনের পরে কামারুজ্জামানের রায়ের কোনো পরিবর্তন না হলে রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, রিভিউ মানে ভুল সংশোধন করা, সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা এবং আইনের বরখেলাপ হয়েছে কিনা তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখা। যদি রায়ে কোনো ভুল হয় তা সংশোধন করে দেয়া। কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার পর রিভউ আবেদন করা হবে।
মঙ্গলবার কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন ১৯৭৩-এ দণ্ডিত ব্যক্তিদের পক্ষে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন দায়েরের জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগের পূর্ণ রায় প্রকাশের পর তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকারের তাড়াহুড়োর কারণে সেদিন তড়িঘড়ি করে রিভিউ আবেদন করা হয়েছিল। আমরা যদি সময় পেতাম, তাহলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারতাম। কিন্তু আমাদের তখন সময় দেয়া হয়নি। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির এ সভাপতি আরও বলেন, কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। সরকারের তাড়াহুড়োর কারণে তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হলেন কিনা জনমনে এখন সেই প্রশ্ন উঠেছে।
কাদের মোল্লার আরেক আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হল, কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদন দায়েরের জন্য ১৫ দিন সময় ছিল। কিন্তু সরকারের তাড়াহুড়োর কারণে আমরা দ্রুত রিভিউ আবেদন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরে তা দু’দিনের শুনানি করেই খারিজ করা হয়েছিল। রিভিউয়ের জন্য সময় পেলে কাদের মোল্লা আরও কয়েকদিন বেঁচে থাকতেন। তাকে অবশ্যই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, তিনি কেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন? তার রিভিউ আবেদনের শুনানি করেই তো খারিজ করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রায় দেন আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বর রায়ের পূর্ণ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। রায়ের কপি প্রকাশের পর ৮ ডিসেম্বর তা ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনাল সেদিনই মৃত্যুপরোয়ানা জারি করে আদেশটি ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠান। ৯ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রায় পুনর্বিবেচনার এবং জেল কোডের কোনো বিধান কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তাই যে কোনো দিন তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা যাবে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের এ বক্তব্যের পরের দিন রাতে ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। ওই রাতেই কাদের মোল্লার পক্ষে দুটি আবেদন দাখিল করা হয় আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে। এর একটি ছিল রিভিউ আবেদন গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে, অন্যটি ছিল রিভিউ আবেদন। এ দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিত করার আদেশ দেন। এরপর ১১ ও ১২ ডিসেম্বর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ দুটি আবেদনই খারিজ করে দেন। ১২ ডিসেম্বর রাতেই কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর থেকে তার ফাঁসি কার্যকরে সময় লাগে এক সপ্তাহ।
জামায়াতের আরেক সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের পরও একই অবস্থা দেখা যায়। ৩ নভেম্বর আপিলে ফাঁসি বহাল রাখার রায়ের পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘এই রায় রিভিউয়ের (পুনর্মূল্যায়নের) কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না’। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এর আগে কাদের মোল্লার রায়ের পরেও তার পক্ষ থেকে একটি রিভিউ আবেদন হয়েছিল, আদালত তা খারিজ করে দেন। এক্ষেত্রে রিভিউয়ের আর কোনো সুযোগ নেই’।
অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যক্তিগত মত জানিয়ে বলেন, ‘কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপির প্রয়োজন হবে না। সংক্ষিপ্ত আদেশেও তার ফাঁসি কার্যকর করা যেতে পারে’। এর দু’দিন পর আইনমন্ত্রী তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তিনি প্রাণভিক্ষার জন্য সাত দিনের সময় পাবেন। যখন থেকে তিনি মৃত্যুদণ্ড বহালের খবর শুনেছেন, তখন থেকে এ সাত দিনের গণনা শুরু হয়েছে।
পরে অবশ্য অ্যাটর্নি জেনারেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংক্ষিপ্ত আদেশ পাঠানো হবে, নাকি পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাঠানো হবে, তার সম্পূর্ণ এখতিয়ার আপিল বিভাগের। এছাড়া আপিল বিভাগ যেহেতু এখনও সংক্ষিপ্ত আদেশ পাঠাননি, সেহেতু পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিই পাঠাবেন বলে ধারণা করছি। মঙ্গলবার রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, রিভউয়ের রায় প্রকাশ হওয়ায় কামারুজ্জামানের রিভিউ নিয়ে দোদুল্যমনতা কেটে গেল। আমি বলেছিলাম রিভউ করার সুযোগ নেই। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টের এখতিয়ার বলে তার একটা সুষ্ঠু সমাধান হল।
মাহবুবে আলম আরও বলেন, কামারুজ্জামানের রিভিউ করার সুযোগ করে দিলেও তার ক্ষেত্রে জেলকোড প্রযোজ্য হবে না বলে রায়ে বলা হয়েছে। তবে কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি হওয়ার পরে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা (প্রাণ ভিক্ষা) চাইতে পারবেন। রিভিউ আবেদনের পরে কামারুজ্জামানের রায়ের কোনো পরিবর্তন না হলে রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, রিভিউ মানে ভুল সংশোধন করা, সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা এবং আইনের বরখেলাপ হয়েছে কিনা তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখা। যদি রায়ে কোনো ভুল হয় তা সংশোধন করে দেয়া। কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার পর রিভউ আবেদন করা হবে।
No comments