মেক্সিকোতে সোশাল বিজনেসের জমকালো আসর
যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকোতে বসেছে সামাজিক বাণিজ্যের এক জমজমাট আসর। এতে যোগ দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সামাজিক বাণিজ্য বিষয়ক বোদ্ধা, রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ। এ আসরের নাম গ্লোবাল সোশাল বিজনেস সামিট-২০১৪। ২৫শে নভেম্বর শুরু হয়ে এ আসর চলার কথা ২৮শে নভেম্বর পর্যন্ত। তবে ২৭শে নভেম্বর মূলপর্বের উদ্বোধন করবেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নাইতো। মেক্সিকো, লাতিন আমেরিকা সহ সারাবিশ্বে সামাজিক বাণিজ্য আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে মেক্সিকোতে শুরু হয়েছে এ সম্মেলন। এর মধ্য দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার হচ্ছে গ্লোবাল সোশ্যাল বিজনেস সামিট। বার্ষিক এ অনুষ্ঠানের আয়োজক গ্রামীণ ক্রিয়েটিভ ল্যাব ও ইউনূস সেন্টার। এতে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাবিদ। সম্মেলন উদ্বোধনের আগে গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রিসার্চ কনফারেন্স। আজ নির্বাচিত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেবেন ইয়ং চ্যালেঞ্জারস মিটিংয়ে। এ বছর এ সম্মেলনের মূলমন্ত্র হলো- ‘শেপিং সোশাল বিজনেস- টু শেপ দ্য ওয়ার্ল্ড অব ২০২০’। বিশ্বে সামাজিক বাণিজ্যে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল সোশ্যাল বিজনেস সামিট। এর মাধ্যমে সামাজিক বাণিজ্য সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া হয়। আলোচনা করা হয় বর্তমান ও গৃহীত চর্চা নিয়ে। সমাজের সবচেয়ে বড় চাপ বা সমস্যা হলো বেকারত্ব। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর পন্থা নির্ধারণে এই সম্মেলনে একের সঙ্গে অন্যের জানাশোনা হয়। সম্পর্ক হয়। আলোচনা হয়। সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়। এখানে সামাজিক বাণিজ্যের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার বিরুদ্ধে আলোচনা করার কথা সৃষ্টিশীল পন্থা নিয়ে। এবারের সম্মেলন ২৭শে নভেম্বর যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন ড. ইউনূস ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নাইতো। এ সময় তারা উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন। বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সামাজিক বাণিজ্য নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা এখানে তাদের মূল্যায়ন তুলে ধরবেন। তারা অংশ নেবেন সামাজিক বাণিজ্যবিষয়ক এক প্রদর্শনীতেও। এ বছর এ সম্মেলন আয়োজনে সহায়তা করছে গ্রিন স্ট্রিট, মেক্সিকোর দ্য আর্থ ফান্ড। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এ সম্মেলনে বৈশ্বিক সামাজিক বাণিজ্য আন্দোলনে আরেকটি মাইলফলক স্থাপন করতে চলেছে সমর্থনকারী অশোকা, বানামেক্স, সিমেক্স, মনিটারি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এন্ট্রিপ্রিনিউরশিপ ও তেলেভিসা ফাউন্ডেশন। এ আন্দোলনের উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য হলো কোন একটি শহর, প্রদেশ অথবা একটি দেশের মোট অর্থনীতির শতকরা ১ ভাগ অর্থ আগামী ৫ বছরের মধ্যে সামাজিক বাণিজ্যে আকৃষ্ট করা। গত বছর গ্লোবাল সোশাল সামিট হয়েছে মালয়েশিয়াতে। এ সম্মেলনের বাইরে মেক্সিকো সিটিতে এক্সহিবিট অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টার এক্সপো বানকোমার সান্তা এফই-তে ২৯শে নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বক্তব্য রাখবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
No comments