চুক্তি বিড়ম্বনায় ক্ষতি সাধারণের
ইরান-ছয় জাতি পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। দেশটির জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ, পরমাণু চুল্লির নজরদারি এবং তেহরানের ওপর থেকে পশ্চিমাদের অবরোধ তুলে নেয়া নিয়ে আটকে গেছে চুক্তি। সোমবার এর ডেডলাইন শেষ হলেও চুক্তি স্থগিত করে সময় বাড়ানো হয়েছে। পরমাণু অস্ত্র ও চুক্তি বিষয়ে ইরানিদের ভাবনা-ভোগান্তির বাস্তবচিত্র ফুটে উঠেছে বিবিসির এ সরেজমিন প্রতিবেদনে...
ইরানিদের ভাবনা-ভোগান্তি নিয়ে বিবিসির সরেজমিন প্রতিবেদনতেহরানের স্বার্থরক্ষা চাই
আমাদের দেশের সীমান্ত পাকিস্তান, ভারত, কাজাখস্তান ও ন্যাটো সদস্য তুরস্ক দ্বারা বেষ্টিত। আল্লাহ না করুক, যদি কোনো চরমপন্থী গোষ্ঠী পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আমদের ওপর আক্রমণ করে, তবে আমরা কী নিয়ে মোকাবেলা করব? কিন্তু আমাদের যথেষ্ট উপাদান থাকা দরকার। তাই আমাদের কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ ছাড়া চুক্তি করলে তা বিশ্বাসঘাতকতা হবে।
আলী, ইস্পাহান।
চুক্তি তাড়াতাড়ি হোক
ইরানের কয়েক হাজার মেধাবী ও দক্ষ লোক যুক্তরাষ্ট্রে আছে। তারা দেশে এসে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশ্বের সঙ্গে দেশকে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিতে আগ্রহী। আর এসব কারণে পরমাণু চুক্তি তাড়াতাড়ি হওয়া দরকার।
সেতারেহ, শিক্ষক, তেহরান
নিরাপদ স্থিতিশীল অবস্থা চাই
ইরানের পরমাণুবিষয়ক চুক্তির সঙ্গে আমাদের মানসিক স্থিতি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জড়িত। সবকিছু সুন্দর ও নিরাপদে চলার জন্য এই চুক্তি তাড়াতাড়ি হওয়া দরকার। এতে আমরা অধিক নিরাপত্তা পাবো ও অর্থনৈতিক কল্যাণ বাড়বে।
পারভীন, নারীকর্মী, তেহরান
সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে
ইরানের পরমাণু আলোচনায় যারা চূড়ান্ত সমঝোতায় আসতে চাচ্ছেন না, তারা সাধারণ মানুষের অবস্থা জানেন না।
১২ বছর ধরে চলামান এই চুক্তি বিড়ম্বনা জনগণের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিভিন্ন অবরোধে ব্যবসা-বাণিজ্য অচল। যেমন চালের দাম এখন সাধারণ অবস্থার চেয়ে ৫ গুণ বেড়ে গেছে।
সোমা, ব্যবসায়ী, আহবাজ
দুইদিকের স্বার্থ দেখতে হবে
চুক্তি হোক বা না-হোক, এ ব্যাপারে খুব একটা ভাবি না।
তবে ইরান বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশ। এজন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সমস্যা হলে বিশ্ববাজারে তার প্রভাব পড়বে। আবার ইরানের অর্থনীতি অনেকটা ইউরোপের ওপর নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে উভয়পক্ষের স্বার্থেই ফলপ্রসূ চুক্তি হওয়া দরকার।
মোহাম্মদ, তেল ব্যবসায়ী, মাহশার
অবরোধ তুলে নিতে হবে
আমরা সবাই ইরানের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার অপেক্ষায় আছি। এজন্য চুক্তি হওয়া দরকার। অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। আমার রোগীদের অর্ধেকই চিকিৎসার টাকা দিতে অক্ষম। আমি মনে করি সবকিছু তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে।
ভাহিদ, ডাক্তার, তেহরান
ইরানিদের ভাবনা-ভোগান্তি নিয়ে বিবিসির সরেজমিন প্রতিবেদনতেহরানের স্বার্থরক্ষা চাই
আমাদের দেশের সীমান্ত পাকিস্তান, ভারত, কাজাখস্তান ও ন্যাটো সদস্য তুরস্ক দ্বারা বেষ্টিত। আল্লাহ না করুক, যদি কোনো চরমপন্থী গোষ্ঠী পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং আমদের ওপর আক্রমণ করে, তবে আমরা কী নিয়ে মোকাবেলা করব? কিন্তু আমাদের যথেষ্ট উপাদান থাকা দরকার। তাই আমাদের কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণ ছাড়া চুক্তি করলে তা বিশ্বাসঘাতকতা হবে।
আলী, ইস্পাহান।
চুক্তি তাড়াতাড়ি হোক
ইরানের কয়েক হাজার মেধাবী ও দক্ষ লোক যুক্তরাষ্ট্রে আছে। তারা দেশে এসে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশ্বের সঙ্গে দেশকে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিতে আগ্রহী। আর এসব কারণে পরমাণু চুক্তি তাড়াতাড়ি হওয়া দরকার।
সেতারেহ, শিক্ষক, তেহরান
নিরাপদ স্থিতিশীল অবস্থা চাই
ইরানের পরমাণুবিষয়ক চুক্তির সঙ্গে আমাদের মানসিক স্থিতি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জড়িত। সবকিছু সুন্দর ও নিরাপদে চলার জন্য এই চুক্তি তাড়াতাড়ি হওয়া দরকার। এতে আমরা অধিক নিরাপত্তা পাবো ও অর্থনৈতিক কল্যাণ বাড়বে।
পারভীন, নারীকর্মী, তেহরান
সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে
ইরানের পরমাণু আলোচনায় যারা চূড়ান্ত সমঝোতায় আসতে চাচ্ছেন না, তারা সাধারণ মানুষের অবস্থা জানেন না।
১২ বছর ধরে চলামান এই চুক্তি বিড়ম্বনা জনগণের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বিভিন্ন অবরোধে ব্যবসা-বাণিজ্য অচল। যেমন চালের দাম এখন সাধারণ অবস্থার চেয়ে ৫ গুণ বেড়ে গেছে।
সোমা, ব্যবসায়ী, আহবাজ
দুইদিকের স্বার্থ দেখতে হবে
চুক্তি হোক বা না-হোক, এ ব্যাপারে খুব একটা ভাবি না।
তবে ইরান বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি তেল উৎপাদক দেশ। এজন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সমস্যা হলে বিশ্ববাজারে তার প্রভাব পড়বে। আবার ইরানের অর্থনীতি অনেকটা ইউরোপের ওপর নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে উভয়পক্ষের স্বার্থেই ফলপ্রসূ চুক্তি হওয়া দরকার।
মোহাম্মদ, তেল ব্যবসায়ী, মাহশার
অবরোধ তুলে নিতে হবে
আমরা সবাই ইরানের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার অপেক্ষায় আছি। এজন্য চুক্তি হওয়া দরকার। অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। আমার রোগীদের অর্ধেকই চিকিৎসার টাকা দিতে অক্ষম। আমি মনে করি সবকিছু তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে।
ভাহিদ, ডাক্তার, তেহরান
No comments