১৬ই ডিসেম্বরের আগেই সীমান্ত চুক্তির সুখবর!
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত চুক্তি নিয়ে ভারত আশাবাদী। আগামী সপ্তাহেই সম্ভবত চুক্তি সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলটি সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পেশ করা হবে। গত মঙ্গলবার সংসদের পররাষ্ট্র সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে বিলটি সর্বসম্মত ভাবে অনুমোদিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিরোধতিা করলেও স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস বিলটির পক্ষে মত দিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শর্ত মেনে বিলে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেই ছিটমহল হস্তন্তর ও পুনর্বাসনের সব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হবে। বিগত ইউপিএ সরকারের আমলে রাজ্যসভায় সীমান্ত সংক্রান্ত সংবিধনী বিলটি বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং অসম গণ পরিষদের আপত্তি সত্বেও জোর করে পেশ করে জিইয়ে রাখা হয়েছিল্। এরপরেই খসড়া বিলটিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল বিবেচনার জন্য। বর্তমান সরকারের আমলে কংগ্রেসের শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন কমিটি একাধিকবার আলোচনার মাধ্যমে বিলটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। বিজেপির অসম কমিটি বিলের ব্যাপারে প্রথম থেকে আপত্তি জানালেও এখন তারা দেশের স্বার্থে চুপ করে গিয়েছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয নেতৃত্বও আগেকার মনোভাব পরিত্যাগ করে বিলটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। আর এবার সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও । ফলে রাজ্যসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও সব দলের অনুমতি পাওয়ার পর বিলটি পাশ করাতে সরকার কোনও অসুবিধার মুখোমুখি হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই তিনি সীমান্ত সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলটি পাশ করাতে চান। বাংলাদেশের বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বরের আগেই বাংলাদেশকে সুখবরটি দিতে আগ্রহী বলেই বিলটি পেশ করার ব্যাপারে জোর তৎপরতা চলছে। আর বিলটি পাশ হয়ে গেলে আগামী বছরের জানুয়ারিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে যেতে পারেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রক সুত্রে জানা গেছ্ ে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময়ই সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত প্রটোকল টি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বাংলাদেশের সংসদে বিষয়টি অনুমোদিত হলেও ভারতের সংসদে তা পাস করানো যায়নি কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বাধার ফলে। তবে এখন যেভাবে সব দল বিলের পক্ষে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে মত জানিয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশনেই কোনও বিতর্ক ছাড়াই সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিলটি পাশ করানো সম্ভব হবে।এদিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিলটি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদিত হওয়ায় খবরে নতুন আশায় বুক বাঁধছেন ছিটমহলবাসী। মঙ্গলবার রাতে এ খবর পৌঁছনো মাত্র শাঁখ বাজিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। মিষ্টিও বিলি হয়েছে কোচবিহার সংলগ্ন ছিটমহলগুলিতে।
No comments