পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষিতার মৃত্যু মমতার বিরুদ্ধে মামলা by রক্তিম দাশ
কলকাতায়
গণধর্ষণের শিকার ১৬ বছরের এক কিশোরী মঙ্গলবার মারা গেছে। এ ঘটনায় ওই
কিশোরীর বাবা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে থাকা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ক্ষমতাসীন
তৃণমূলের ক্যাডাররাই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ধর্ষিতার পরিবার জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পুলিশের যোগসাজশে তাদের হুমকি দিচ্ছে
তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাডাররা। ধর্ষিতার বাবা জানান, দাবি না মানা পর্যন্ত
তিনি মেয়ের মৃতদেহ সৎকার করবেন না। পুলিশ ট্যাক্সিচালক ওই ব্যক্তিকে
পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে দিতে বলেছে বলেও দাবি করেন তিনি। ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায়
পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এ ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বামেরা।
ঘটনার জন্য অভিযুক্ত ৬ জন জেলে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও গঠন করা হয়েছে।'
মারা যাওয়া ধর্ষিতার বাবা তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য সরকারি আরজি কর মেডিকেল
কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসায় অবহেলার জন্য দায়ী করছেন। কিশোরীর বাবা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে মামলা
করেন। গণধর্ষণের মামলায় এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৫ অক্টোবর
ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। তৃণমূল ক্যাডাররা মামলা প্রত্যাহারের হুমকি
দিয়ে ২৩ ডিসেম্বর শরীরে আগুন দেয় তারা। এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে
মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালে মারা গেছে কলকাতার মধ্যমগ্রামের ধর্ষিত কিশোরী।
রাতে তড়িঘড়ি করে ওই লাশের সৎকার করার চেষ্টা করে পুলিশ। ধর্ষিতার পরিবার ও
বিরোধী দলের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে তা করতে পারেনি। পরিবারের অভিযোগ,
মঙ্গলবার মারা যাওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনের তরফে জোর করে লাশ নিমতলা শ্মশানে
পাঠিয়ে দেয়। তবে পরিবার ও বামফ্রন্টের বাধার মুখে সৎকার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বাম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে
পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। গতকাল
সিটু অফিস থেকে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বামফ্রন্ট গতকাল ও আজ
ধিক্কার দিবস পালনের ডাক দিয়েছে। কিশোরীর মা বলেন, 'কেন মেয়েটাকে অন্য
হাসপাতালে পাঠানো হলো না?
No comments