তদন্তের অগ্রগতি শুধু 'সন্দেহ' by সাহাদাত হোসেন পরশ
ব্যবধান মাত্র চার দিন। এরই মধ্যে
রাজধানীতে দুটি পৃথক ঘটনায় খুন হয়েছেন সাতজন। দুটি ঘটনাই ফ্ল্যাটের ভেতর
বেডরুমে। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর আর কে মিশন রোডের একটি বাসায় গলা
কেটে হত্যা করা হয় ছয়জনকে। চার দিনের মাথায় ২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর রামপুরায়
নিজ বাসায় খুন হন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ আলোকচিত্রী আফতাব আহমদ। সিক্স
মার্ডারের ১২ দিন পার হলেও পুলিশ চাঞ্চল্যকর এ খুনের ব্যাপারে এখনও কার্যত
অন্ধকারে। পুলিশি তদন্তের একই হাল আফতাব আহমদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়ও।
তবে দুটি ঘটনায় পুলিশি তদন্তের এখন পর্যন্ত অমিল এক জায়গায়। পুলিশ বলছে, দুই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। এখনও সন্দেহের মধ্যেই ঘুরপাক পুলিশি তদন্ত। যদিও সন্দেহের পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ এখনও পুলিশ হাতে পায়নি। দুটি পৃথক স্থানে সাতজনকে খুনের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বাস্তবে তদন্তের ফলাফল শূন্য। এদিকে, তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আপাতত চাঞ্চল্যকর দুই ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি করতে না পারার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশের ব্যস্ত থাকাকে দায়ী করছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর সমকালকে বলেন, সিক্স মার্ডার ও সাংবাদিক আফতাব আহমদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে আমরা কিছু ক্লু পেয়েছি। আফতাব হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সন্দেহের তালিকায় তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক হুমায়ুন কবির ছাড়াও একজন রাজমিস্ত্রি রয়েছেন। তাদের গ্রেফতার করা গেলে কিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।
গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর আর কে মিশন রোডের ৬৪/৬ নম্বর বাড়ির ফ্ল্যাটে গলা কেটে হত্যা করা হয় কথিত পীর হিসেবে পরিচয় দেওয়া লুৎফর রহমান ফারুক (৫৭), তার ছেলে সারোয়ার ইসলাম মনির (৩০), মঞ্জু (৩০) ও ফারুকের তিন অনুসারী মুজিবুর রহমান (৩০), শাহীন (২৪) ও রাসেলকে (২৫)।
পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সমকালকে জানান, আর কে মিশন রোডে সিক্স মার্ডারের ঘটনাটি পরিকল্পিত। উগ্রপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠীর কেউ নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করে থাকতে পারে। ফারুক দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ইমাম মাহাদির অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতেন। এমনকি অনেক সময় নিজেকেও ইমাম মাহাদি বলে দাবি করতেন। ফারুক হজরত মোহাম্মদ (সা.) শেষ নবী বলে স্বীকার করতেন না। তার লেখা কয়েকটি বইয়ে ফারুক এসব বিষয় উল্লেখ করেন। ফারুকের এমন কর্মকাণ্ড থেকে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো সদস্যই পরিকল্পিতভাবে ফারুক এবং তার ছেলে ও অনুসারীদের হত্যা করেছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় হিযবুত তাহ্রীর, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জেএমবিসহ পাঁচ জঙ্গি সংগঠন ছাড়াও জামায়াত-শিবিরের উগ্রপন্থিরাও রয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সিক্স মার্ডার একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাই বাসায় থাকা কোনো নারীকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেনি। তাদের একটি কক্ষে তারা বন্দি করে রেখেছিল। টার্গেট কিলিং হওয়ার খুব অল্প সময়ে ছয়জনকে খুন করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতেও সক্ষম হয় গ্রুপটি। হত্যার ধরনও বলছে, খুনিরা অত্যন্ত পারদর্শী। ছয়জনকে প্রায় একই স্টাইলে গলা কাটা হয়েছে।
তবে দুটি ঘটনায় পুলিশি তদন্তের এখন পর্যন্ত অমিল এক জায়গায়। পুলিশ বলছে, দুই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। এখনও সন্দেহের মধ্যেই ঘুরপাক পুলিশি তদন্ত। যদিও সন্দেহের পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ এখনও পুলিশ হাতে পায়নি। দুটি পৃথক স্থানে সাতজনকে খুনের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বাস্তবে তদন্তের ফলাফল শূন্য। এদিকে, তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আপাতত চাঞ্চল্যকর দুই ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি করতে না পারার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশের ব্যস্ত থাকাকে দায়ী করছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর সমকালকে বলেন, সিক্স মার্ডার ও সাংবাদিক আফতাব আহমদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে আমরা কিছু ক্লু পেয়েছি। আফতাব হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সন্দেহের তালিকায় তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক হুমায়ুন কবির ছাড়াও একজন রাজমিস্ত্রি রয়েছেন। তাদের গ্রেফতার করা গেলে কিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।
গত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর আর কে মিশন রোডের ৬৪/৬ নম্বর বাড়ির ফ্ল্যাটে গলা কেটে হত্যা করা হয় কথিত পীর হিসেবে পরিচয় দেওয়া লুৎফর রহমান ফারুক (৫৭), তার ছেলে সারোয়ার ইসলাম মনির (৩০), মঞ্জু (৩০) ও ফারুকের তিন অনুসারী মুজিবুর রহমান (৩০), শাহীন (২৪) ও রাসেলকে (২৫)।
পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সমকালকে জানান, আর কে মিশন রোডে সিক্স মার্ডারের ঘটনাটি পরিকল্পিত। উগ্রপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠীর কেউ নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করে থাকতে পারে। ফারুক দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ইমাম মাহাদির অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতেন। এমনকি অনেক সময় নিজেকেও ইমাম মাহাদি বলে দাবি করতেন। ফারুক হজরত মোহাম্মদ (সা.) শেষ নবী বলে স্বীকার করতেন না। তার লেখা কয়েকটি বইয়ে ফারুক এসব বিষয় উল্লেখ করেন। ফারুকের এমন কর্মকাণ্ড থেকে গোয়েন্দাদের সন্দেহ, উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো সদস্যই পরিকল্পিতভাবে ফারুক এবং তার ছেলে ও অনুসারীদের হত্যা করেছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় হিযবুত তাহ্রীর, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, জেএমবিসহ পাঁচ জঙ্গি সংগঠন ছাড়াও জামায়াত-শিবিরের উগ্রপন্থিরাও রয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সিক্স মার্ডার একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাই বাসায় থাকা কোনো নারীকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেনি। তাদের একটি কক্ষে তারা বন্দি করে রেখেছিল। টার্গেট কিলিং হওয়ার খুব অল্প সময়ে ছয়জনকে খুন করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতেও সক্ষম হয় গ্রুপটি। হত্যার ধরনও বলছে, খুনিরা অত্যন্ত পারদর্শী। ছয়জনকে প্রায় একই স্টাইলে গলা কাটা হয়েছে।
No comments