মিসবাহ-ইউনিসের সেঞ্চুরি
শ্রীলংকার বিপক্ষে জুটি গড়ার পুরনো ঐতিহ্য
আছে মিসবাহ-উল হক এবং ইউনিস খানের। গতকালের আগে আরও দু'বার বড় জুটি
গড়েছিলেন ইউনিস-মিসবাহ। একটা ছিল ১৩০ রানের জুটি, অন্যটা ঠিক ১০০ রানের।
গতকাল আবুধাবিতে প্রথম টেস্টে জুটির রেকর্ড আরও বাড়িয়ে নিলেন তারা। গতকাল
চতুর্থ উইকেটে মিসবাহ ও ইউনিস ২১৮ রানের জুটি গড়েন। আর এই জুটির কল্যাণেই
প্রথম টেস্টে চালকের আসনে বসেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে
পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩২৭ রান। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে শ্রীলংকার প্রথম ইনিংসের
চেয়ে ১২৩ রানে এগিয়ে আছে মিসবাহ-উল হকরা।
পাকিস্তানের পক্ষে গতকাল সেঞ্চুরি করেছেন মিসবাহ ও ইউনিস খান। সেনানায়কের বল মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরি করেন মিসবাহ-উল হক। এটা তার পঞ্চম শতক। গতকাল ৭৭তম ওভারের হেরাথের করা পঞ্চম বল কাভার ড্রাইভের মাধ্যমে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি করেন ইউনিস খান। এটা ছিল ইউনিসের ক্যারিয়ারের ২৩তম টেস্ট শতক। গতকাল লাঞ্চের পরই খেলার রঙ বদলে দেয় মিসবাহ-ইউনিস জুটি। লাঞ্চের আগে ১৫.৪ ওভারে মাত্র ৩৮ রান তোলেন তারা। কিন্তু লাঞ্চের পরেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। মাত্র ৩৩ ওভারে ১৩০ রান তোলেন তারা। এ সময় ওভারপ্রতি রান তোলার গড় ছিল ৩.১৭। লংকান বোলারদের ওপর প্রথমে আক্রমণ শুরু করেন ইউনিস খান। অন্য প্রান্তে ধরে খেলছিলেন মিসবাহ। দিন শেষে তাই অপরাজিত থেকেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। ২৩তম সেঞ্চুরির পর ইউনিস ১৩৬ করে ইরাঙ্গার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। এ ইনিংস খেলতে ১৯৮ বলের মোকাবেলা করেন ইউনিস। সুস্থিরভাবে ব্যাট করে মিসবাহ দ্বিতীয় দিন শেষে ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪ উইকেটে ৩২৭ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে পাকিস্তান। ১২৩ রানের লিড যে তারা অনেকদূর টেনে নিতে চাইবে, তা বলাই বাহুল্য। এক পর্যায়ে মাত্র ৮৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। শ্রীলংকা ২০৪ রানে অলআউট হওয়ার পর পাকিস্তান ১ উইকেটে ৪৬ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে। দ্বিতীয় দিন শুরুতেই উইকেট হারায় তারা। লাঞ্চের আগেই আউট হন আহমেদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজ। ইরাঙ্গার বলে আউট হওয়ার আগে শেহজাদ করেছেন ৩৮। ওয়ানডে সিরিজে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করা হাফিজ অবশ্য টেস্টে ভালো করতে পারেননি। গতকাল দিনের শুরুতেই লাকমলের বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হন। দিনের শেষে সেঞ্চুরিয়ান মিসবাহর সঙ্গে আসাদ শফিক ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : শ্রীলংকা প্রথম ইনিংস : ২০৪ (৬৫ ওভার) (ম্যাথুজ ৯১, করুনারত্নে ৩৮, সিলভা ২০; জুনায়েদ ৫/৫৮, ভাট্টি ৩/৬৫, আজমল ২/৩২)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস :৩২৭/৪ (১০৯ ওভার) (শেহজাদ ৩৮, খুররম ২১, ইউনিস ১৩৬, মিসবাহ ১০৫*; এরাঙ্গা ২/৬৩)।
পাকিস্তানের পক্ষে গতকাল সেঞ্চুরি করেছেন মিসবাহ ও ইউনিস খান। সেনানায়কের বল মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরি করেন মিসবাহ-উল হক। এটা তার পঞ্চম শতক। গতকাল ৭৭তম ওভারের হেরাথের করা পঞ্চম বল কাভার ড্রাইভের মাধ্যমে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি করেন ইউনিস খান। এটা ছিল ইউনিসের ক্যারিয়ারের ২৩তম টেস্ট শতক। গতকাল লাঞ্চের পরই খেলার রঙ বদলে দেয় মিসবাহ-ইউনিস জুটি। লাঞ্চের আগে ১৫.৪ ওভারে মাত্র ৩৮ রান তোলেন তারা। কিন্তু লাঞ্চের পরেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। মাত্র ৩৩ ওভারে ১৩০ রান তোলেন তারা। এ সময় ওভারপ্রতি রান তোলার গড় ছিল ৩.১৭। লংকান বোলারদের ওপর প্রথমে আক্রমণ শুরু করেন ইউনিস খান। অন্য প্রান্তে ধরে খেলছিলেন মিসবাহ। দিন শেষে তাই অপরাজিত থেকেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। ২৩তম সেঞ্চুরির পর ইউনিস ১৩৬ করে ইরাঙ্গার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। এ ইনিংস খেলতে ১৯৮ বলের মোকাবেলা করেন ইউনিস। সুস্থিরভাবে ব্যাট করে মিসবাহ দ্বিতীয় দিন শেষে ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪ উইকেটে ৩২৭ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে পাকিস্তান। ১২৩ রানের লিড যে তারা অনেকদূর টেনে নিতে চাইবে, তা বলাই বাহুল্য। এক পর্যায়ে মাত্র ৮৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। শ্রীলংকা ২০৪ রানে অলআউট হওয়ার পর পাকিস্তান ১ উইকেটে ৪৬ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে। দ্বিতীয় দিন শুরুতেই উইকেট হারায় তারা। লাঞ্চের আগেই আউট হন আহমেদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজ। ইরাঙ্গার বলে আউট হওয়ার আগে শেহজাদ করেছেন ৩৮। ওয়ানডে সিরিজে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করা হাফিজ অবশ্য টেস্টে ভালো করতে পারেননি। গতকাল দিনের শুরুতেই লাকমলের বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হন। দিনের শেষে সেঞ্চুরিয়ান মিসবাহর সঙ্গে আসাদ শফিক ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : শ্রীলংকা প্রথম ইনিংস : ২০৪ (৬৫ ওভার) (ম্যাথুজ ৯১, করুনারত্নে ৩৮, সিলভা ২০; জুনায়েদ ৫/৫৮, ভাট্টি ৩/৬৫, আজমল ২/৩২)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস :৩২৭/৪ (১০৯ ওভার) (শেহজাদ ৩৮, খুররম ২১, ইউনিস ১৩৬, মিসবাহ ১০৫*; এরাঙ্গা ২/৬৩)।
No comments