তাড়াহুড়া করে সরকার গঠনের সুযোগ নেই by শাহেদ চৌধুরী/মসিউর রহমান খান
নতুন
সরকার গঠনের দিনক্ষণ নির্ধারণ নিয়ে আওয়ামী লীগে একাধিক মত। একটি পক্ষ
নির্বাচনের পরপরই সরকার গঠনের পক্ষে থাকলেও অন্যরা বলছে, তাড়াহুড়া করে
সরকার গঠনের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী, এ জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি
পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। নতুন স্পিকার নির্বাচন নিয়েও সমস্যায় পড়েছে
আওয়ামী লীগ। প্রায় সবাই ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার করার পক্ষে মত
দিলেও এ নিয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে। এ অবস্থায় কীভাবে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে
স্পিকার করা যায়, তা নিয়ে আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ
নীতিনির্ধারকদের একটি অংশ ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই নতুন
সরকার গঠনের পক্ষে। শীর্ষ নেতাদের আরেকটি অংশ বর্তমান নবম জাতীয় সংসদের
মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সরকার গঠনের কথা বলছে। তারা বলছেন, এর অন্যথা হলে
সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটতে পারে। এ অবস্থায় সাংবিধানিক ও আইনগত দিকগুলো খতিয়ে
দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের
পর বৈঠকে বসেছেন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাদের সঙ্গে রয়েছেন
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক কয়েকজন উপদেষ্টা। এ নিয়ে তারা মঙ্গলবার
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়া এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন
প্রসঙ্গও আলোচিত হয়েছে। বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এমন সরকারি কর্মকর্তা ও
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টাদের দু'জন জানিয়েছেন, সংবিধানের ১২৩(ক)
অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদপূর্তির আগে নির্বাচন হলে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুযোগ
নেই। সংবিধান অনুযায়ী, ২৪ জানুয়ারি সংসদের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে। এর পরই শপথ
নেবেন দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে ২৫ জানুয়ারি
নবনির্বাচিত এমপিরা শপথ নিতে পারেন।
নির্বাচনের পরপরই নতুন সরকারের পথচলা শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে ওই নেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন। তাদের মতে, ২৬ জানুয়ারি কিংবা দশম জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
সরকার গঠন ও স্পিকার নির্বাচন নিয়ে সাংবিধানিক ও আইনগত দিকগুলো আজ-কালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করবেন তার সাবেক দুই উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও ড. মসিউর রহমান।
মঙ্গলবারের বৈঠকে মহিলা এমপি নির্বাচনের প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার করার পক্ষে। তবে এ নিয়ে আইনগত জটিলতা রয়েছে। বৈঠকে এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী ১ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহিলা এমপি নির্বাচনের পর সংসদ অধিবেশন শুরু হলে ড. শিরীনকে স্পিকার করার বেলায় কোনো জটিলতা থাকবে না।
এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সাবেক দুই উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও ড. মসিউর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আইন সচিব (ড্রাফটিং) শহিদুল হক ও অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওসার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এইচটি ইমাম ও ড. মসিউর রহমান। এ বৈঠকে মহিলা এমপি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, সরাসরি এমপি পদে নির্বাচন না করায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার করা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ গ্রহণের বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে তাদের শপথ পড়াবেন স্পিকার। কোনো কারণে তিন দিনের মধ্যে সম্ভব না হলে নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ পড়াবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ওই বৈঠকেই নতুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হবে। এমপি না হওয়ায় নতুন স্পিকার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থাকবে না ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর। তিনি সাবেক হয়ে যাবেন। নতুন স্পিকার নির্বাচিত হবেন।
সে ক্ষেত্রে আবারও স্পিকার পদে নির্বাচন করতে হলে তাকে যে কোনো আসনে উপনির্বাচন কিংবা সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। তখন নতুন স্পিকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নতুন করে এমপিদের ভোটে স্পিকার নির্বাচিত হতে হবে ড. শিরীনকে। এটা এক ধরনের জটিল প্রক্রিয়া বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা।
নতুন এমপিদের শপথ গ্রহণের এক মাসের মধ্যে নতুন সংসদের অধিবেশন ডাকার বিধান রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ২৫ জানুয়ারি এমপিদের শপথ হলে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করতে হবে।
এর আগেই মহিলা এমপি নির্বাচন করতে চাইছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতারা। আইন অনুযায়ী, মহিলা এমপি নির্বাচন করবেন নির্বাচিত এমপিরা। এ জন্য তাদের শপথ গ্রহণের দিনই দলভিত্তিক ভোটার তালিকা তৈরি করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন হবে ৯০ দিনের মধ্যে।
এ সময়ের মধ্যে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার করার সুযোগ নেই। তাই আগামী ১ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহিলা এমপি নির্বাচন করতে হবে। তারা শপথ নেবেন ১০ ফেব্রুয়ারি। এরপর ডাকতে হবে নতুন সংসদের অধিবেশন। সে ক্ষেত্রে সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকেই স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
নির্বাচনের পরপরই নতুন সরকারের পথচলা শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে ওই নেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন। তাদের মতে, ২৬ জানুয়ারি কিংবা দশম জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
সরকার গঠন ও স্পিকার নির্বাচন নিয়ে সাংবিধানিক ও আইনগত দিকগুলো আজ-কালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করবেন তার সাবেক দুই উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও ড. মসিউর রহমান।
মঙ্গলবারের বৈঠকে মহিলা এমপি নির্বাচনের প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার করার পক্ষে। তবে এ নিয়ে আইনগত জটিলতা রয়েছে। বৈঠকে এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী ১ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহিলা এমপি নির্বাচনের পর সংসদ অধিবেশন শুরু হলে ড. শিরীনকে স্পিকার করার বেলায় কোনো জটিলতা থাকবে না।
এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সাবেক দুই উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও ড. মসিউর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আইন সচিব (ড্রাফটিং) শহিদুল হক ও অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওসার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এইচটি ইমাম ও ড. মসিউর রহমান। এ বৈঠকে মহিলা এমপি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, সরাসরি এমপি পদে নির্বাচন না করায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার করা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ গ্রহণের বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে তাদের শপথ পড়াবেন স্পিকার। কোনো কারণে তিন দিনের মধ্যে সম্ভব না হলে নবনির্বাচিত এমপিদের শপথ পড়াবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ওই বৈঠকেই নতুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হবে। এমপি না হওয়ায় নতুন স্পিকার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থাকবে না ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর। তিনি সাবেক হয়ে যাবেন। নতুন স্পিকার নির্বাচিত হবেন।
সে ক্ষেত্রে আবারও স্পিকার পদে নির্বাচন করতে হলে তাকে যে কোনো আসনে উপনির্বাচন কিংবা সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। তখন নতুন স্পিকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নতুন করে এমপিদের ভোটে স্পিকার নির্বাচিত হতে হবে ড. শিরীনকে। এটা এক ধরনের জটিল প্রক্রিয়া বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতা।
নতুন এমপিদের শপথ গ্রহণের এক মাসের মধ্যে নতুন সংসদের অধিবেশন ডাকার বিধান রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ২৫ জানুয়ারি এমপিদের শপথ হলে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করতে হবে।
এর আগেই মহিলা এমপি নির্বাচন করতে চাইছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতারা। আইন অনুযায়ী, মহিলা এমপি নির্বাচন করবেন নির্বাচিত এমপিরা। এ জন্য তাদের শপথ গ্রহণের দিনই দলভিত্তিক ভোটার তালিকা তৈরি করবে নির্বাচন কমিশন। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন হবে ৯০ দিনের মধ্যে।
এ সময়ের মধ্যে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার করার সুযোগ নেই। তাই আগামী ১ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহিলা এমপি নির্বাচন করতে হবে। তারা শপথ নেবেন ১০ ফেব্রুয়ারি। এরপর ডাকতে হবে নতুন সংসদের অধিবেশন। সে ক্ষেত্রে সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকেই স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
No comments