বিচারক নিয়োগের নীতিমালা হয়নি ৫ বছরেও by ওয়াকিল আহমেদ হিরন
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা
প্রণয়ন হয়নি বিদায়ী মহাজোট সরকারের আমলেও। সম্পূর্ণভাবে করা খসড়া
নীতিমালাটি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী
কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও তা চূড়ান্তভাবে প্রণয়ন করা হয়নি। ২০১২ সালে
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ
থেকে এ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিচারক নিয়োগের খসড়া নীতিমালা
তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা, বয়স ও শিক্ষাগত
যোগ্যতার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল খসড়া নীতিমালায়। পার্শ্ববর্তী
অন্যান্য দেশের বিচারক নিয়োগের বিধান অনুসরণ করে সাবেক প্রধান বিচারপতি,
অভিজ্ঞ আইনবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা-পর্যালোচনা করে খসড়াটি প্রণয়নও
করা হয়েছিল। সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের অননুমোদনের কারণে তা চূড়ান্ত
হয়নি। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন না দেওয়ায় খসড়া
নীতিমালাটি আইন মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে
নীতিমালা প্রণয়ন করতে না পারায় এশীয় ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) শর্ত
পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে ঝুলে রয়েছে বিচারক নীতিমালা প্রণয়নের
বিষয়টি।
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এডিবির পক্ষ থেকে প্রতিবছর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ন্যায়পাল নিয়োগ, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়ন ও স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে এ প্রকল্পের ব্যয় বাবদ ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী এডিবির ঢাকা অফিস থেকে একই বছরের ২৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ তিনটি কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে এসব কাজের উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন তদারকির জন্য সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের উপকমিটি গঠন করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলে রাবি্ব মিয়া সমকালকে বলেন, ওই কমিটি কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। ফলে ঝুলে রয়েছে বিচারক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়টি।
বিচারক নিয়োগে উচ্চ আদালতের রীতি ও পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণে কোনো পরিপূর্ণ বিধিমালা নেই। ১৯৫৮ সালের 'রুলস অব দ্য হাইকোর্ট অব জুডিকেচার ফর ইস্ট পাকিস্তান' অনুযায়ী হাইকোর্টের রীতি ও পদ্ধতি পরিচালিত হয়ে আসছে। সাবেক প্রাদেশিক সরকারের আমলে হাইকোর্টের বিধিমালা বর্তমানে অনেকাংশ অনুপযোগী, অকার্যকর ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
২০০৯ সালের ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক রায়ে জোট সরকারের সময়ে বাদ পড়া ১০ বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন। তাতে বলা হয়, বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ গ্রহণ সাংবিধানিক রেওয়াজ। এ রেওয়াজ সাংবিধানিক রীতিনীতিতে পরিণত হয়েছে। এটা আইনের শাসনের অংশ, বিচারক নিয়োগ ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ বা মতামত প্রাধান্য পাবে। তবে তাদের পেশাগত যোগ্যতা ও উপযুক্ততা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের মতামত নেওয়া হবে।
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে ১০০ জন বিচারপতি রয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে উচ্চ আদালতে ৪৭ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়। বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয়করণের অভিযোগ ওঠে সব সরকারের বিরুদ্ধে। সংবিধানে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ গ্রহণের বিষয়টি পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে ছিল না। ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের বিধানটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিদায়ী মহাজোট সরকার সংবিধানে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করে। অর্থাৎ প্রধান বিচারপতির পরামর্শ ছাড়া রাষ্ট্রপতি কাউকে হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগ দিতে পারবেন না, যা অনুসরণ করেই বিচারক নিয়োগের বিধান প্রচলিত রয়েছে।
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এডিবির পক্ষ থেকে প্রতিবছর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ন্যায়পাল নিয়োগ, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে নীতিমালা প্রণয়ন ও স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে এ প্রকল্পের ব্যয় বাবদ ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী এডিবির ঢাকা অফিস থেকে একই বছরের ২৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ তিনটি কাজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে এসব কাজের উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন তদারকির জন্য সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের উপকমিটি গঠন করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলে রাবি্ব মিয়া সমকালকে বলেন, ওই কমিটি কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। ফলে ঝুলে রয়েছে বিচারক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়টি।
বিচারক নিয়োগে উচ্চ আদালতের রীতি ও পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণে কোনো পরিপূর্ণ বিধিমালা নেই। ১৯৫৮ সালের 'রুলস অব দ্য হাইকোর্ট অব জুডিকেচার ফর ইস্ট পাকিস্তান' অনুযায়ী হাইকোর্টের রীতি ও পদ্ধতি পরিচালিত হয়ে আসছে। সাবেক প্রাদেশিক সরকারের আমলে হাইকোর্টের বিধিমালা বর্তমানে অনেকাংশ অনুপযোগী, অকার্যকর ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
২০০৯ সালের ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক রায়ে জোট সরকারের সময়ে বাদ পড়া ১০ বিচারপতিকে স্থায়ী নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন। তাতে বলা হয়, বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ গ্রহণ সাংবিধানিক রেওয়াজ। এ রেওয়াজ সাংবিধানিক রীতিনীতিতে পরিণত হয়েছে। এটা আইনের শাসনের অংশ, বিচারক নিয়োগ ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ বা মতামত প্রাধান্য পাবে। তবে তাদের পেশাগত যোগ্যতা ও উপযুক্ততা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগের মতামত নেওয়া হবে।
বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে ১০০ জন বিচারপতি রয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে উচ্চ আদালতে ৪৭ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়। বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয়করণের অভিযোগ ওঠে সব সরকারের বিরুদ্ধে। সংবিধানে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ গ্রহণের বিষয়টি পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে ছিল না। ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের বিধানটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিদায়ী মহাজোট সরকার সংবিধানে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করে। অর্থাৎ প্রধান বিচারপতির পরামর্শ ছাড়া রাষ্ট্রপতি কাউকে হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগ দিতে পারবেন না, যা অনুসরণ করেই বিচারক নিয়োগের বিধান প্রচলিত রয়েছে।
No comments