২৬ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল
২০ বছর পর আবার রামি বারবাখকে মুখে তুলে খাইয়ে দিলেন তাঁর মা। গতকাল মুক্তি পাওয়া ২৬ ফিলিস্তিনি বন্দীর একজন রামি ছবি রয়টার্স |
মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি আলোচনা অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে ইসরায়েল গতকাল মঙ্গলবার আরও ২৬ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তির পর পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিরলে ওই ২৬ ফিলিস্তিনিকে শত শত মানুষ স্বাগত জানায়। গত শনিবারই তাঁদের মুক্তি অনুমোদন করেছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ভুক্তভোগী ইসরায়েলি পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের মুক্তির প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়।
১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির আগে এই ২৬ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। হত্যা কিংবা হত্যার চেষ্টার দায়ে ১৯ থেকে ২৮ বছর কারাদণ্ড হয়েছিল তাঁদের। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরুর অংশ হিসেবে ১০৪ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা। ২৬ জনের এই দলটি তৃতীয়। আরও ২৬ জনকে মুক্তি দিলে ইসরায়েলের প্রতিশ্রুত ১০৪ জন বন্দীর মুক্তির প্রক্রিয়া শেষ হবে। গত সোমবার রাতেই মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আটজন ইসরায়েলি তল্লাশি চৌকি পার হয়ে গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমের দিকে যান। অন্য ১৮ জন দুটি গাড়িতে রওনা হন পশ্চিমতীরের রামাল্লার উদ্দেশে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস রামাল্লায় তাঁর সদর দপ্তরে যাওয়া মুক্তিপ্রাপ্তদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, সব ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী সব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া না হলে চূড়ান্ত শান্তি চুক্তিতে সই করব না।’ এর আগে মুক্তিপ্রাপ্তদের ফিলিস্তিনের বীর বলে উল্লেখ করে প্রশংসা করেন মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াই করে কারাবরণ করেছিলেন এই বীরেরা। ধারণা করা হচ্ছে, তৃতীয় দফা ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তির পর আবারও জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে ইহুদি বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেবে ইসরায়েল। এর আগে দুই দফা বন্দী মুক্তির পর সেটাই করেছে দেশটির সরকার। ইসরায়েলের এ ধরনের উদ্যোগ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ক্ষুব্ধ করবে। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলে আসছেন, নতুন ইহুদি বসতি নির্মাণ বন্ধ করা না হলে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসবে না ফিলিস্তিন। সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। গত মার্চ থেকে দশমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন কেরি। বন্দী মুক্তির এ ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। বিবিসি ও এএফপি।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী সব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া না হলে চূড়ান্ত শান্তি চুক্তিতে সই করব না।’ এর আগে মুক্তিপ্রাপ্তদের ফিলিস্তিনের বীর বলে উল্লেখ করে প্রশংসা করেন মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, ইসরায়েলি দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াই করে কারাবরণ করেছিলেন এই বীরেরা। ধারণা করা হচ্ছে, তৃতীয় দফা ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তির পর আবারও জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে ইহুদি বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেবে ইসরায়েল। এর আগে দুই দফা বন্দী মুক্তির পর সেটাই করেছে দেশটির সরকার। ইসরায়েলের এ ধরনের উদ্যোগ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ক্ষুব্ধ করবে। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলে আসছেন, নতুন ইহুদি বসতি নির্মাণ বন্ধ করা না হলে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসবে না ফিলিস্তিন। সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। গত মার্চ থেকে দশমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন কেরি। বন্দী মুক্তির এ ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। বিবিসি ও এএফপি।
No comments