সংঘাতের পথ ছাড়ুন
নির্বাচনকালীন সরকারপদ্ধতি নিয়ে সরকার ও বিরোধীপক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় জনমনে যে গভীর আশঙ্কা-উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কিছুটা হলেও লাঘব হবে ঢাকায় আজকের বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেওয়ায়। বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুমতি চাইলেও তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলেছে ডিএমপি। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আজ রাজধানীতে যে সমাবেশ অনুষ্ঠানের আহ্বান করেছে, তা তাদের সংবিধানপ্রদত্ত রাজনৈতিক অধিকার। সুর্নিদিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া তাদের এই অধিকার খর্ব করার এখতিয়ার পুলিশ কর্তৃপক্ষ তথা সরকারের নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও জননিরাপত্তা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কার কথা বলে তাদের সমাবেশ অনুষ্ঠানের পথ বন্ধ করা গ্রহণযোগ্য নয়। সে বিবেচনায় বিলম্বে হলেও সরকার বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়ে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে। তবে সরকার ঢাকায় বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিলেও চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, বগুড়া, রাজশাহীসহ বিভিন্ন শহরে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে।
আবার অনেক শহরেই বিএনপি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা অগ্রাহ্য করে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। কয়েকটি স্থানে বিএনপির মিছিল-সমাবেশের বিপরীতে আওয়ামী লীগও অনুরূপ কর্মসূচি ঘোষণা করায় সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বগুড়ায় এ জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যা বিএনপি ভঙ্গ করার হুমকি দিয়েছে। চট্টগ্রামেও বিএনপি আজ দুপুরের পর লালদীঘি ময়দানে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করবেই—এমন ঘোষণা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি কেবল উদ্বেগজনক নয়, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্যও মারাত্মক হুমকি। সবকিছু মিলিয়ে যে মুখোমুখি সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা অনিবার্য ছিল না। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে অবিলম্বে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। সরকারের উচিত নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে এখনই আলোচনায় বসা। কেননা তারা যে নাশকতার আশঙ্কা করছে, তা অপনোদনের উপায় আলোচনায় বসা।
বিরোধী দলের নেতা নির্বাচনকালীন সরকারের যে রূপরেখা দিয়েছেন, তা থেকে আরও ছাড় দিতেও রাজি আছেন বলে বুধবার সংসদে জানিয়েছেন বিএনপির সাংসদেরা। সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই উসকানিমূলক বক্তব্য পরিহার করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতাকে টেলিফোন করবেন কিংবা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে চিঠি লিখবেন—এই সংবাদ মোটেই মানুষকে আশ্বস্ত করেনি। তারা দুই পক্ষের মধ্যে দ্রুত একটি ফলপ্রসূ আলোচনাই দেখতে চায়। একইভাবে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের সব কর্মসূচি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং তাতে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও কিংবা জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কিছু ঘটবে না। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উভয় পক্ষের ধৈর্য ও সংযম।
আবার অনেক শহরেই বিএনপি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা অগ্রাহ্য করে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। কয়েকটি স্থানে বিএনপির মিছিল-সমাবেশের বিপরীতে আওয়ামী লীগও অনুরূপ কর্মসূচি ঘোষণা করায় সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বগুড়ায় এ জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যা বিএনপি ভঙ্গ করার হুমকি দিয়েছে। চট্টগ্রামেও বিএনপি আজ দুপুরের পর লালদীঘি ময়দানে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পালন করবেই—এমন ঘোষণা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি কেবল উদ্বেগজনক নয়, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্যও মারাত্মক হুমকি। সবকিছু মিলিয়ে যে মুখোমুখি সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা অনিবার্য ছিল না। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে অবিলম্বে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন। সরকারের উচিত নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে এখনই আলোচনায় বসা। কেননা তারা যে নাশকতার আশঙ্কা করছে, তা অপনোদনের উপায় আলোচনায় বসা।
বিরোধী দলের নেতা নির্বাচনকালীন সরকারের যে রূপরেখা দিয়েছেন, তা থেকে আরও ছাড় দিতেও রাজি আছেন বলে বুধবার সংসদে জানিয়েছেন বিএনপির সাংসদেরা। সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই উসকানিমূলক বক্তব্য পরিহার করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতাকে টেলিফোন করবেন কিংবা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে চিঠি লিখবেন—এই সংবাদ মোটেই মানুষকে আশ্বস্ত করেনি। তারা দুই পক্ষের মধ্যে দ্রুত একটি ফলপ্রসূ আলোচনাই দেখতে চায়। একইভাবে বিএনপিসহ সব বিরোধী দলের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের সব কর্মসূচি হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং তাতে ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও কিংবা জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কিছু ঘটবে না। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উভয় পক্ষের ধৈর্য ও সংযম।
No comments