সারা দেশে সংঘর্ষ, নিহত-৮, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ- লালখান বাজার ও বহদ্দার হাটে ভাংচুর, সড়কে অগ্নি সংযোগ
১৮ দল ও আওয়ামী লীগের পাল্টা-পাল্টি
কর্মসূচি চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা
ঘটে। এতে কক্সবাজার, নীলফামারি, সাতক্ষীরা ও চাঁদপুরে ৮ জনের মৃত্যু
হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ নেতাকর্মী।
নোয়াখালীতে জেলা
আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসযোগ করা হয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়ায়
পুলিশ-বিজিবি’র সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জন মারা
গেছেন। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে আর
তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে একজন মারা যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায়
অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও রাবারবুলেট
নিক্ষেপ করে পুলিশ। স্থানীয় এমপি হারুনুর রশিদ এক বিবৃতিতে, ফরিদগঞ্জে
বিএনপি’র শান্তিপুর্ণ মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ হামলায়
বিএনপি ৩ কর্মী হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা
সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছেন। তিনি বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ মিছিলে এই
বর্বরোচিত হামলা ও নির্মমভাবে গুলি বর্ষণ করে শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করায়
তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করা ও শান্ত
থাকার আহ্বান জানান। সংঘর্ষে নীলফামারিতেও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরায়
এক কর্মীর মারা গেছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে হার্ট
এটাকে তিনি মারা যান। পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৮ দলের
নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংষর্ঘ হয়েছে বিভিন্ন
জেলায়। সংঘর্ষে কয়েকশ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম: বাংলানিউজ>>>
বিজিবি’র ফাঁকা গুলিবর্ষণের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে- লালখান বাজার ও বহদ্দার হাটে ভাংচুর, সড়কে অগ্নি সংযোগ
নির্দলীয়
সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ চলাকালীন নগরীর লালখান
বাজার ইস্পাহানি মোড়ে তান্ডব চালিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত শিবির কর্মীরা।
পুলিশের উপর হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে তারা।
পরে বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত হয়ে ফাঁকা গুলি চালালে তারা পালিয়ে যায়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিনা উস্কানিতে ইস্পাহানি মোড় এলাকায় ইটপাটকেল নিয়ে ভাংচুর শুরু করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মীরা। একদল অবস্থান নেয় ওয়াসা মোড়ে। অন্যদল ইস্পাহানি মোড়ে তান্ডব চালায়।
ওয়াসা মোড় থেকে ইস্পাহানি মোড় পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করে। আশপাশের অস্থায়ী দোকানপাট ভাংচুর করে নিয়ে এসে সড়কে অগ্নিসংযোগ করে তারা। এছাড়া সড়কে টায়ার জ্বালানো হয়।
ভাংচুর চালানো হয় আমিন শপিং সেন্টারসহ অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। উপড়িয়ে ফেলা হয় সড়ক ডিভাইডারের রোপন করা গাছ। ভাংচুরকারীদের মাথায় ছিল সাদা ফট্টি বাঁধা। হাতে লোহার পাত ও গজারী লাঠি।
এসময় পুলিশ বাধা দিতে চাইলে কয়েক’শ কর্মী জড়ো হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মীদের আক্রমণে পুলিশ পিছু হঠে।
এসময়ে ইস্পাহানি মোড়ের হোটেল এভিনিউ সীমানার প্রাচীরের ভেতরের একটি মোটর সাইকেল অগ্নিসংযোগ করে তারা। এসময় ওখানে থাকা একটি কারও ভাংচুর করা হয়। সাড়ে পাঁচটার দিকে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফাঁকা গুলি চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার(দক্ষিণ)মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘হামলাকারিরা বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করে এবং সড়কে অগ্নি সংযোগ করে। পরে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।’
এর আগে বহদ্দার হাট এলাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বহদ্দারহাট এলাকা দিয়ে মিছিল নিয়ে কাজির দেউড়ির সমাবেশে আসার সময় এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মানের বিভিন্ন সামগ্রী ভাংচুর চালায় তারা। এছাড়া বিএনপি’র মিছিলটি সমাবেশে আসার সময় বহদ্দার হাট ও চকবাজার এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বাসার কাঁচ ভাংচুর করে।
চকবাজার শাহজালাল ব্যাংকের এটিএম বুথের গার্ড মো. মুছা বাংলানিউজকে জানান, বিএনপি কর্মীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাংকে পাথর ও গাছের গুঁড়ি ছুড়ে ভাংচুর চালায়। এসময় গাছের একটি গুঁড়ি লেগে আমি নিজেও আহত হই।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক(তদন্ত) শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, “দু’পক্ষ মিছিল নিয়ে বহদ্দার হাট পার করার সময় একপক্ষ অন্য পক্ষের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’
পরে বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত হয়ে ফাঁকা গুলি চালালে তারা পালিয়ে যায়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিনা উস্কানিতে ইস্পাহানি মোড় এলাকায় ইটপাটকেল নিয়ে ভাংচুর শুরু করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মীরা। একদল অবস্থান নেয় ওয়াসা মোড়ে। অন্যদল ইস্পাহানি মোড়ে তান্ডব চালায়।
ওয়াসা মোড় থেকে ইস্পাহানি মোড় পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করে। আশপাশের অস্থায়ী দোকানপাট ভাংচুর করে নিয়ে এসে সড়কে অগ্নিসংযোগ করে তারা। এছাড়া সড়কে টায়ার জ্বালানো হয়।
ভাংচুর চালানো হয় আমিন শপিং সেন্টারসহ অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। উপড়িয়ে ফেলা হয় সড়ক ডিভাইডারের রোপন করা গাছ। ভাংচুরকারীদের মাথায় ছিল সাদা ফট্টি বাঁধা। হাতে লোহার পাত ও গজারী লাঠি।
এসময় পুলিশ বাধা দিতে চাইলে কয়েক’শ কর্মী জড়ো হয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মীদের আক্রমণে পুলিশ পিছু হঠে।
এসময়ে ইস্পাহানি মোড়ের হোটেল এভিনিউ সীমানার প্রাচীরের ভেতরের একটি মোটর সাইকেল অগ্নিসংযোগ করে তারা। এসময় ওখানে থাকা একটি কারও ভাংচুর করা হয়। সাড়ে পাঁচটার দিকে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফাঁকা গুলি চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার(দক্ষিণ)মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘হামলাকারিরা বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করে এবং সড়কে অগ্নি সংযোগ করে। পরে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।’
এর আগে বহদ্দার হাট এলাকায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বহদ্দারহাট এলাকা দিয়ে মিছিল নিয়ে কাজির দেউড়ির সমাবেশে আসার সময় এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মানের বিভিন্ন সামগ্রী ভাংচুর চালায় তারা। এছাড়া বিএনপি’র মিছিলটি সমাবেশে আসার সময় বহদ্দার হাট ও চকবাজার এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বাসার কাঁচ ভাংচুর করে।
চকবাজার শাহজালাল ব্যাংকের এটিএম বুথের গার্ড মো. মুছা বাংলানিউজকে জানান, বিএনপি কর্মীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাংকে পাথর ও গাছের গুঁড়ি ছুড়ে ভাংচুর চালায়। এসময় গাছের একটি গুঁড়ি লেগে আমি নিজেও আহত হই।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক(তদন্ত) শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, “দু’পক্ষ মিছিল নিয়ে বহদ্দার হাট পার করার সময় একপক্ষ অন্য পক্ষের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’
No comments